Pages

প্রকাশিত গ্রন্থ-সমূহ

শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬

সংক্ষেপে হজরত শাহদাউদ কুরায়শীর (রহঃ) জীবনী

চিত্রঃ দরগা ই হজরত শাহদাউদ কুরেশি(রঃ), রেঙ্গা দাউদপুর, দক্ষিণসুরমা, সিলেট।
মহাসাধক শাহদাউদ কুরায়শি বিশ্ববিশ্র দরবেশ হজরত শাহজালালের সহপাঠি, সহকর্মী, স্ববংশীয় একান্ত আপন জন তাঁর সঙ্গে আগত মহান ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সৈয়দ আহমদ কবির সোহরওয়ার্দির তত্ত্বাবধানে উভয়ে একসাথে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করেন শৈশব থেকে কাছাকাছি থেকে বড় হন তাঁরা জীবনটাও পরিচালিত হয় একত্রে একই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্য নিয়ে- তাহলো মহান প্রভুর সন্তুষ্টি এবং তাঁর মনোনীত ধর্ম ইসলামের প্রচার প্রসার তাঁর দরগার খাদেম বংশধর দাউদপুরের চৌধুরী পরিবার শাহদাউদ কুরায়শি সম্পর্কে বংশ পরম্পরাগত যে ধারণা লালন করেন সে মতে তিনি ৩৩ বৎসর বয়সক্রমে শাহজালালের সহিত সিলেট  আগমন করেন কাজেই আমরা মুসলমানদের সিলেট বিজয়ের সন ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ৩৩ বিয়োগ করে শাহদাউদ কুরায়শির জন্মসন অনুমানিক  ১২৭০ খ্রিস্টাব্দ নির্ধারণ করতে পারি আল্লাহর ঘর খানায়ে কাবা আল্লাহর নবি হজরত ইব্রাহিম(আঃ) এবং তাঁর পুত্র হজরত ইসমাইল(আঃ) প্রায় সাড়ে তিন হাজার বৎসর আগে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল পবিত্র মক্কায় মহান আল্লাহর এবাদতের জন্য এই ঘর তৈরী করেন আরবের সাধারণ লোকজন তাঁরই বংশধর কুরাইশরা পরবর্তীকালে ইব্রাহিমের (আঃ) শিক্ষা আদর্শ ভুলে গিয়ে পাপাচারে লিপ্ত হয় পবিত্র কাবাগৃহে ৩৬০টি পাথরের তৈরি দেবমূর্তি স্থাপন করে। ঠিক তখনই এই মক্কা নগরের সুবিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট সর্বশেষ নবি  রসুল হজরত মোহাম্মদ (সঃ) জন্মগ্রহণ করেন তারও সাত শত বৎসর পর এই রত্ন প্রসবিনী মক্কায় কোরাইশ বংশে অনুমানিক ১২৭০ খ্রিস্টাব্দে হেলিম কুরায়শির সুযোগ্য পুত্র আবু মোহাম্মদ  কোরেশির ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন হজরত শাহদাউদ কুরায়শি
পিতা আবু মোহাম্মদ ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক সর্ব বিষয়ে সুপন্ডিত ব্যক্তি পিতৃগৃহে কোরআন, হাদিস ফেকাহ শাস্ত্রে পাঠ সমাপ্ত করেন তৎকালীন যুগে ইসলামের কেন্দ্রস্থল মক্কার কাবাগৃহে অনেক প্রখ্যাত আলেম শিক্ষা দান করতেন শাহদাউদ কুরায়শি তাদের নিকট অত্যন্ত মনযোগ সহকারে শিক্ষা লাভ করে নিজেকে একজন জ্ঞানী গুণী ব্যাক্তিত্বে পরিণত করেন পিতার নির্দেশে উচ্চতর সাধনার জন্য নিজ জ্ঞাতি ভ্রাতা ওলিয়ে কামেল হজরত আহমদ কবির সোহরওয়ার্দি(রঃ) এর নিকট গমন করেন হজরত শাহজালালও(রঃ) তখন তাঁর আপন মামা হজরত আহমদ কবির সোহরওয়ার্দির নিকট শিক্ষারত ছিলেন শাহজালাল বয়সে তাঁর অনেক বড় ছিলেন। পরবর্তীকালে শাহদাউদ হজরত সৈয়দ জালাল উদ্দিন সররুখ বোখারি(:) সান্নিধ্য লাভ করেন হজরত সৈয়দ জালাল উদ্দিন সররুখ বোখারি(:) ছিলেন সোহরাওয়ার্দি তরিকার একজন শীর্ষ স্থানীয় পীর মুর্শিদ পরবর্তীকালে শাহদাউদ কুরায়শি হজরত শাহজালালের বয়াত লাভ করেন এবং এইরূপভাবে হজরত শাহজালাল(রঃ)ও তাঁর দীক্ষাগুরু পদে অভিষিক্ত হন
শাহজালাল আরব দেশ হতে যখন ভারতের দিকে রওয়ানা হন তখন মাত্র বারজন সঙ্গী আউলিয়া জন্মভুমির মায়া চিরতরে ত্যাগ করে তাঁর সহগামী হন, এই বারজনের অন্যতম  শাহদাউদ কুরায়শি শাহ তাজউদ্দিন কুরায়শি, হাজি খলিল, হাজি ইউসুফ, শেখ জাকারিয়া আরবি, মোহাম্মদ আলী ইয়ামেনি, আরিফ ইয়ামেনি, কামাল ইয়ামেনি, চাষনী পীর, শাহদাউদ কুরায়শি প্রমুখ বার জন আউলিয়াসহ শাহজালাল মক্কা শরিফ হইতে ভারতের দিকে যাত্রা শুরু করেন। সুদীর্ঘ্য যাত্রা পথে ৩৬০ আউলিয়ার অন্যরা একে একে শরীক হন। এই পুস্তকে আমি ইতিপূর্বে শাহজালালের জীবনী বিস্তারিত আলোচনা করেছি শাহজালাল দাউদ কুরায়শির জীবন একই বইয়ের দুটি পাতার মত তিনি শাহজালালের সহিত ভারত আসেন দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার আস্থানায় অবস্থান করেন শাহজালালের সঙ্গী হিসাবে উত্তর ভারত, বাঙ্গালালকনৌতি ইত্যাদি অঞ্চলে দীর্ঘ্যকাল ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত থাকেন অতঃপর তারা সোনারগাঁ গমন করেন এবং সোনারগাঁকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গে ইসলাম প্রচার করতে থাকেন এভাবে ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হিসাবে শাহ দাউদ কুরায়শি বঙ্গদেশে ইসলাম প্রচারে এক অনন্য অবদান রাখেন
১৩০৩  খ্রিস্টাব্দে  সিলেট বিজয়ের  পর  শৃংখলা    সুশাসন  প্রতিষ্ঠা করে শাহজালাল উপাসনা ধর্মালোচনায় আত্মনিয়োগ করেন ইসলাম প্রচারের জন্য তাঁর সঙ্গীয় আউলিয়াগনকে বৃহত্তর সিলেট তার পাশ্ববর্তী এলাকাসমুহে প্রেরণ করতে থাকেন এভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সিলেট বিজয়ের দুই তিন বৎসর পর শাহজালালের নির্দেশে ইসলাম প্রচারের জন্য সুরমা নদী পার হয়ে সিলেট শহরের ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দাউদপুর অঞ্চলে আগমন করেন তখনকার যুগে এই অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল অতি অল্প এবং যারা ছিল তারাও নও মুসলিম সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বেশীরভাগ লোক ছিল নিম্নবর্ণের হিন্দু তারা উচ্চবর্ণের হিন্দু জমিদার পুরহিতগন কতৃক নিগৃহীত হত। তৎকালীন সময়ে শ্রীহট্ট ছিল রাজা গৌড়গোবিন্দের রাজধানী কামরূপ অঞ্চলের অন্যতম সেরা নগরী এই সুপ্রসিদ্ধ নগরের সাথে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী এই দাউদপুর অঞ্চলের মানুষের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড় বর্তমান যুগের মত সেই পূর্বকালেও মানুষ প্রাত্যহিক কাজে দৈনন্দিন প্রয়োজনে এই শহরে যাতায়াত করত মুসলিম বিজয় দরবেশ শাহজালালের আগমন সংবাদ দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য এলাকার মত রেঙ্গা অঞ্চলের মানুষও এসে দরবেশ শাহজালালের আস্থানায় ভীড় জমায় মুসলমানগন সম্পর্কে এতদিন তাদের যে ভুল ধারনা প্রচলিত ছিল সংস্পর্ষে এসে তার অবসান ঘটে নতুন মুসলিম প্রশাসন দরবেশগনের আচার আচরণ  উপদেশে বিমুগ্ধ হয়ে অনেকে নুতন সাম্যের ধর্ম ইসলামে দীক্ষা গ্রহণ করতে থাকে তারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করে এই নও মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কে ভাল জ্ঞান ধারণা ছিলনা। রেঙ্গা অঞ্চলের অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হয়ে পড়েন এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে শাহজালাল তাঁর খানকায় অবস্থানরত প্রিয় সহচর শাহদাউদ কুরায়শিকে রেঙ্গা অঞ্চলে স্থায়ীভাবে প্রেরণের সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন শাহজালালের শিষ্যগনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তারা সব সময় নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করতেন গভীর বনের ভিতর অথবা টিলার উপর নীরব জায়গায় আস্থানা স্থাপন করতেন  মহান আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন হতেন দাউদপুর গ্রামটি তখনকার যুগে ছিল এক অরণ্যভুমি এই অরণ্যের কিছু উত্তরে বিশাল জলাভুমি দক্ষিণে বুড়িভরা নদী বহমান। তিনি তার শিষ্যগনের সহায়তায় বর্তমান মাজার সংলগ্ন বুড়িভরা নদীর তীরবর্তী বনভুমি পরিস্কার করে নিজ আস্থানা নির্মাণ করেন ক্রমে ক্রমে জনসমাগম বৃদ্ধি পেলে খানকা সংলগ্ন স্থানে একটি মসজিদ, একটি পুস্করণী  একটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন তৌহিদের দাওয়াতে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার লোকজন দলে দলে শাহ দাউদ কুরায়শির বয়াত গ্রহণ করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে শাহদাউদ কুরায়শির অক্লান্ত প্রচেষ্টায় যে অঞ্চল এক সময় পৌত্তলিকতার লীলাভুমি ছিলসেই রেঙ্গা অঞ্চলের  মসজিদে মসজিদে আজ প্রতিদিন পাঁচবার আজানের সুমধুর ধ্বনী উচ্চারিত হচ্ছে
সিলেট বিজয়ের পর শাহজালাল প্রায় চৌচল্লিশ বৎসর এই শহরে অবস্থান করেন মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করায় শাহদাউদ কুরায়শি এই অঞ্চলে শাহজালালের প্রতিনিধি হিসাবে আগমন করলেও স্বীয় গুরু শাহজালালের সহিত তার নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল প্রায়ই গুরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন যেকোন সমস্যা হলে গুরুর পরামর্শ নিতেন শাহজালাল কতৃক আয়োজিত যে কোন মাহফিলে সদলবলে উপস্থিত হতেন তিনি তৎকালীন সিলেটের মুসলিম কতৃপক্ষের নিকট হতে এই অঞ্চলের রাজস্ব আদায় বিচার আচারের কতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং এই এলাকায় ইসলামি বিধি বিধান প্রবর্তন ইসলামি সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন যতদূর জানা যায় শাহ দাউদ কুরায়শি স্থানীয় এক হিন্দু  জমিদারের একমাত্র কন্যাকে ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত করে বিয়ে করেছিলেন উক্ত ভদ্র মহিলার নাম কি ছিল তা জানা যায়না, তবে তিনি একজন কামেল ওলির সংস্পর্ষে এসে  অতি অল্প সময়ে ইসলমের সকল হুকুম আহকাম সম্বন্ধে শিক্ষা গ্রহণ করে এক ধর্মপরায়ণা মহিলা রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই মহিয়ষী মহিলা সারা জীবন শাহদাউদ কুরায়শির জীবনে জড়িত থেকে যথাসাধ্যভাবে ইসলাম স্বীয় স্বনামধন্য স্বামীর খেদমতে কাল অতিবাহিত করেন
শাহদাউদ কুরায়শি দাউদপুরে প্রায় ৪০ বৎসর অবস্থান করে নিজেকে ইসলাম প্রচারে নিবেদিত করেছিলেন তাঁর নামেই এলাকার দাউদপুর নামকরণ করা হয় জনশ্রতি অনুসারে তিনি সত্তুর বৎসর বয়সে ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
শাহদাউদ কুরায়শির ঔরসে রহিম দাউদ কুরায়শি নামে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন পিতার নিকট তিনি কোরআন, হাদিস ফিকাহ শাস্ত্রে বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করেন পিতার মাধ্যমে তিনি হজরত শাহজালালেরও সংস্পর্ষে আসেন তার কাছে মারেফত জ্ঞানে দীক্ষা নিয়ে একজন কামেল ওলিতে পরিণত হন এইভাবে রহিম দাউদ কুরায়শিও শাহজালালের একজন এদেশীয় শিষ্যের মর্যাদা লাভ করেন তিনি দাউদপুরে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত থেকে জীবন অতিবাহিত করেন
শাহদাউদ কুরায়শি কতৃক প্রতিষ্ঠিত দাউদপুর জামে মসজিদের উত্তরে যেখানে তিনি বসত করে ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকতেন সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয় পরবর্তীতে তাঁর সহধর্মিনীকে   একমাত্র পুত্র রহিম দাউদ কুরায়শিকে তাঁর পার্শ্বে সমাধিস্থ করা হয় আজও এই তিনটি কবর একই বেষ্টনীতে পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় বিরাজ করে এক ভাবগম্ভীর পুত পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে এই দরগার মাহাত্ম্য অপরিসীম গ্রামবাসী প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের পর আত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে জেয়ারত করেন এই পবিত্র মাজার শরিফ প্রতিদিন শত শত লোক এই মাজার জেয়ারত করে শাহদাউদ কোরায়শি  তাঁর পুত্র রহিম দাউদ কুরায়শির রুহানি ফয়েজ লাভ করে  এক অনাবিল শান্তি মানসিক প্রশস্তি নিয়ে ঘরে ফিরে যায়।
লেখার উৎসঃ শাহদাউদ কুরায়শির(রঃ) পরবর্তী নসবনামা, নসবনামার তথ্যাবলী, দাউদপুর চৌধুরী পরিবারের প্রাচীন দলিল দস্তাবেজ, সুলতানি, মোঘল ও বৃটিশ ইত্যাদি যুগের সামাজিক কাঠামো বিশ্লেষণ, কিছু অনুমান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শাহজালাল(রঃ) বিষয়ক  নানা গ্রন্থাবলী ইত্যাদি) 

শাহদাউদ কুরায়শীর পীর পীরের পীরগন
(সাজরাহ নামা বা মুর্শিদ পরিচিতি)
শাহদাউদ কোরায়শি, গ্রাম ; রেঙ্গা দাউদপুর, উপজেলা : দক্ষিণসুরমা জেলা : সিলেট জন্ম : ১২৭০ খ্রিঃ মৃত্যুঃ ১৩৪০ খ্রিঃ ।
শাহজালাল মুজররদ ইয়ামেনি, জন্ম : ১২৩৮খ্রিঃ মৃত্যু : ১৩৪৬ খ্রিঃ  সিলেট
সৈয়দ আহমদ কবির শহরউরদি, মৃত্যু : সফর ১০০ বৎসর বয়সে সমাধি: মুলতান।
সৈয়দ জালাল উদ্দিন সররুখ বোখারি, জন্ম তারিখ : ৫৯৫ হিজরি, মৃত্যুঃ ৬৯০ হিজরি, সমাধি: মুলতান
শেখ মখদুম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, জন্ম : ৫৬৬ হিজরি মৃত্যু : সফর ৬৬৬ হিজরি, সমাধি : মুলতান। 
শেখ শিহাব উদ্দিন শহরউরদি, জন্ম: ৫৩৯ হিজরি রজব মাসে মৃত্যু : বাগদাদ ৬৩২ হিজরি মহররম মাসে।
শেখ আবু নজিব জিয়াউদ্দিন, মৃত্যু: ১২ জমাদিউসসানি ৬৩২ হিজরি, বাগদাদ
অজিউদ্দিন শহরউরদি, মৃত্যু : ৫৬৬ হিজরি, বাগদাদ।
শেখ আমুবিয়া, মৃত্যু : ৩৯৩ হিজরি।
১০শেখ আহমদ দিনুরি, মৃত্যু : ৩৬৭ হিজরি, সমরকন্দ
১১শেখ মমশাদ সিন্দরি, মৃত্যু : ২৯৭ হিজরি 
১২শেখ সিংরি সুকতি, মৃত্যু : ২৫০ হিজরি, মহররম, বাগদাদ
১৩শেখ মারুফ কর্খি, মৃত্যু : ২০০ হিজরি ২য় মহররম, বাগদাদ 
১৪শেখ দাউদ তাই, মৃত্যু : ১৬৫ হিজরি, বাগদাদ 
১৫শেখ হাবিব আজমি, মৃত্যু : ১২১ হিজরি, বসরা, ইরাক 
১৬শেখ হাসান বসরি, মৃত্যু : ১১০ হিজরি রজব, বসরা, ইরাক, ৮৯ বৎসর বয়সে 
১৭খলিফা হজরত আলী(কঃ) জন্ম : মক্কা, হিজরি সনের ২৩ বৎসর পূর্বে মক্কায় মৃত্যু : নাজাফ, ইরাক, ৪০ হিজরি, রমজানে, ৬৩ বৎসর বয়সে 
১৮)  হজরত মোহাম্মদ(সঃ), জন্ম : মক্কা, হিজরি সনের ৫২ বৎসর পূর্বে সোমবার সকাল মৃত্যু : মদীনা, ১১ হিজরি ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার সকালবেলা ,৬৩ বৎসর বয়সে 
 সূত্র মুফতি আজহার উদ্দিন সিদ্দিকীর শ্রীহট্টে ইসলাম জ্যোতি প্রথম প্রকাশ-১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ।
        কবি লেখক ও ব্লগার ইসফাক কুরেশী, সুন্দরবনে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন