১
কৌশরের নরম ফর্সা গালে,
যেদিন গজালো মোর, সদ্য গোঁফদাড়ী,
যেদিন গজালো মোর, সদ্য গোঁফদাড়ী,
সেদিন এক নব্য চোখে দেখিলাম পৃথিবীর নারী।
যে নারীকে দেখিলাম, মাতা-ভগ্নি, বাল্য
কৈশরময়,
আজ তাকে স্বর্গের ভিন্নরূপি রূপসী এক দেবী মনে হয়।
২
তারপর আরও যখন মেলে দিলাম চোখ,
বীভৎস্য কাণ্ড দেখে চারপাশে, কাঁপলো এই বুক।
সলাজ চোখে দেখিলাম,
যৌবনা রমনী খুঁজে সবল এক পুরুষ কামুক।
উন্মুক্ত তরুণের স্থলিত বীর্য্যের গন্ধ
আমারে করিল উম্মুখ।
৩
চারপাশে এ কি দেখি,
কামউম্মাদ কিশোর-কিশোরীর আত্মঘাতি খেলা,
শরীরে চাপিলো আমার সর্বনাশা নেশা।
নিজেরে কেমনে থামাই, হারাই যে দিশা।
নিজেরে কেমনে থামাই, হারাই যে দিশা।
সকলের মাঝে আমি হলাম এক,
নিভু নিভু জ্বলন্ত মোমবাতি।
যৌবন আমারে দিল দুর্নিবার গতি।
৪
কাম-মধু বিষ এলো যৌবনের সাথ,
৪
কাম-মধু বিষ এলো যৌবনের সাথ,
কবিতার ধূয়া হয়ে উড়লো সারারাত।
যৌবনের উম্মাদনা কবিতার রাজ্যে হলো নাশ,
পবিত্র রইলাম আমি পৃথিবীর কাছ।
৫
আমি হলাম জৈন্তা রাজ্যের সেই
ঐতিহাসিক নিষ্পাপ নিথর পুজার মূর্তিটি।
যে নিজে জড় এক, ছিল পাপহীন,
তার চারপাশে নরবলী, কত পাপ হতো নিশিদিন।
রচনাকাল ঃ ১৯৮১ সাল, এম সি কলেজ জীবন।
রচনাকাল ঃ ১৯৮১ সাল, এম সি কলেজ জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন