অভাব হারা
আমি যে এক সুখী কিশোর সকল অভাবহারা,
এ দুনিয়ার নেয়ামতে আমার ঘরটি ভরা।
লিখাপড়া করে আমি হচ্ছি অনেক বড়,
পবিত্র এক বংশে আমার রক্ত হলো জড়।
পিতামাতা ভাইবোন মিলে,
আমার
সোনার ঘর,
ডানে বামে সবাই আপন কেহ নাই যে পর।
আল্লা আমার পথের সাথী আল্লা সহচর,
সত্যপথ আটুট আমি,
দুঃখ
নাই যে মোর।
সবুজ গ্রামে জন্ম আমার নিরব নিরালায়,
আমি উদাস পাখির গানে রাতের চন্দ্রিমায়।
ফুলের ঘ্রাণে সময় বহে উদার নীলিমায়,
প্রজাপতি ভ্রমর উড়ে হাওয়ায় হাওয়ায়।
পাতাঘন বৃক্ষ ডালে কুকিল পেচা বসে,
ঘাসে ঘাসে হাজার হাজার ক্ষুদেফুল হাসে।
সারাটা গাঁয়ের মাঠে মাঠে খেলে নানান
খেলা,
হঠাৎ দেখি অন্তরালে নামিয়া গেছে বেলা।
ভয়ে ভয়ে বন্ধ করে সকল হৈ চৈ,
অবেলাতে ফিরে ঘরে ভীষণ রৈ রৈ।
মা ডেকে কন “পুড়া কপালী ছেলে,
জ্বালিতেছ নিজের কপাল নিজে আগুন
জ্বেলে।”
মুখটা আমার মলিন হলে,
মায়ের
মন দয়ায় ভরে যায়,
মা জড়ে কন,
“লক্ষি
ছেলে, আয়রে
কোলে আয়।”
আমার মনের সকল ব্যথা তখনই উদাও হয়,
মনে হয়ে আমি যেন সুখের জলাশয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন