আজানের বিদগ্ধ তান
আজানের আহবানে বুক,
হয়
উতলা,
নাচিয়া কাঁপিয়া প্রাণ,
হয়ে
যায় মাতলা।
আজানের সুমিষ্ট ধ্বনি,
বাজে প্রাণে অনুরণী।
হৃদয় উজাড় করা ভক্তির অনুরাগে
সত্যের উত্থাল ঢেউ,
ডেকে
বলে, উঠো
তুমি জেগে।
হঠাৎ যখনই বাজে আজানের মধুর রাগিনী,
মনে হয়, ঘুমন্ত আমি,
এখনো
জাগিনী।
কে যেন সুন্দরের দিল আহবান,
সুউচ্চ মিনারে দাঁড়িয়ে ম্রিয়মান।
কাঁপাইয়া আকাশ বাতাস,
কাঁপাইয়া
বাগান,
গাহিল কে খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গানী গান।
আজানের বিপ্লবী সুর,
প্রাণে
প্রাণে করে প্রতিধ্বনি,
ব্যথা নয়,
দুঃখ
নয়, মনে
হয়, সান্ত্বনার
বাণী,
অন্ধকারে অর্ধমৃত মানুষের প্রাণ,
গতিলাভ করে গেয়ে আল্লার গান।
উ™£ান্ত হয়ে ছুটি শান্তিময় মসজিদের পানে,
প্রবল প্রতাপী খোদার মগ্ন হতে ধ্যানে।
আজানের সুললিত সুর,
সব
ক্লান্তি করে দূর,
শীতের কুয়াশা ঝরে,
মস্তিষ্কে
নামে যেন ভোর।
শান্তি পেতে অশান্তসব প্রাণ,
অস্থিরতায় করে আনচান।
অদৃশ্য এক ভাবাবেগ দুর্মর আঘাত হানে,
থাকিতে পারিনা,
আর
ছুটে চলি, মসজিদের পানে।
কোথায় সে বেলালের পুষ্পঝরা আজানের
ধ্বনি,
ইসলামের মাতৃভূমি মদিনায় উঠতো অনুরণী,
বেলালের সেই মধুসুর,
মরুভূমে ঘোষিত ভোর।
সেই বেলালের দরাজ কন্ঠ নেই পৃথিবীতে
আজি,
তবুও যে মনে পড়ে,
বেলালের
সেই কণ্ঠ, উঠে আজো বাজি।
আজানের মধুধ্বনী প্রাণে দেয় সাগরের ঢেউ,
ভাবাবেগে মনে হয়,
আমি
যেন আধ্যাত্মিক কেউ,
প্রভাতের প্রদীপ্ত আজান,
পৃথিবীতে স্বর্গের সেরা আহবান।
বিষাক্ত নাগিনীর শ্বাসে লালিত
শান্তিবানী,
সে আমার রক্তে রক্তে খেলা করে আজানের
ধ্বনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন