ঝরলো শিশির
রাতটা ভরে,
ভীষণ শীতের তরে।
কাঁপলো মানুষ
লেপের ভিতর,
আবছা অন্ধকারে।
ভিজলো মাঠের ঘাস,
ভাসলো কুসুম
সুবাস।
রাত পোহায়ে
ফুটলো আলোর রেখা,
তালপুকুরে ভাসলো
পাতিহাস।
ঘুম ভাঙানী
পাখির ডাকে,
ভাঙলো সবার
হালকা ঘুম।
দেখলো তারা নয়ন
মেলে,
ঘনকুয়াশায় সব
নিঝুম।
প্রকৃতির নীরব
কূলে,
উঠল সবাই জড়তা
ভূলে।
দিলো গায়ে গরম
কাপড়,
শীত কুয়াশায় মনটা দোলে।
ধুয়াশা হাওয়ায়
পূর্ববাড়ীর দিকে,
কারের
আলো জ্বলছে ঝিকে মিকে।
মায়া মায়া আলো রঙ্গের শোভা,
কেড়ে নিলো এই হৃদয়টিকে।
খড়পাতার আগুন
ধীরে ধীরে,
উঠলো জ্বলে
বস্তিবাসীর ভিড়ে।
একে একে ন্যাংটা
ছেলের দল,
শীত পোহালো অগ্নিশিখা ঘিরে।
জাগলো পাড়া,
জাগলো
রাখাল,
সোনার রোদে আসলো
সকাল।
প্রজাপতি ছুটলো
ফুলের পানে,
শীতে আমজনতার যুদ্ধ চিরকাল।
বিশ্ববাসী উঠলো
জেগে,
গরম-পোষাক পরলো
আগে।
লেখাপড়ার শব্দে পাড়াময়,
অপূর্ব এক মায়ার পরশ লাগে।
প্রভাকর উঠলো
হেসে,
পূর্বাকাশে ভেসে
ভেসে।
শেষ হলো শীতের হিমেল ভোর,
ফিরলো সবাই প্রাণ চেতনার দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন