অত্যন্ত দ্রুততার সহিত বাংলার পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ন নগর ও সেনাঘাটি সোনারগাঁ হতে সুলতান শামসুদ্দিনের ভাগিনা সেনাপতি সিকন্দর গাজির মাধ্যমে অগোছালো ভাবে শ্রীহট্টে প্রথম অভিযান প্রেরণ করা হয়। সিকান্দর গাজি সিলেটে প্রবেশ করে তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। তখনকার যুগের মানুষ ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও যাদুটুনায় বিশ্বাসী। তারা মনে করত কামরূপ তথা শ্রীহট্টের মানুষ যাদুবিদ্যায় পারদর্শী। রাজা গৌড়গোবিন্দের যাদুটুনা শক্তির এক অজানা ভয়-ভীতি নিয়ে মুসলিম সেনারা পদব্রজে শ্রীহট্টের দিকে অগ্রসর হয়। যতই সামনে দিকে অগ্রসর হয় ততই তাদের মনে যাদুর ভয় ভীতি বৃদ্ধি পায়। সোনারগাঁ হতে আগত মুসলিম বাহিনী সিলেট প্রবেশের অনেক পূর্বে পাহাড়ের আড়াল থেকে গোবিন্দের সৈন্যরা তীরের মুখে জ্বালানী মিশ্রিত ন্যাকড়ায় আগুন লাগিয়ে নিক্ষেপ করলে বহু মুসলিম সেনা হতাহত হয় এবং তাহারা এগুলো গোবিন্দের যাদুর অগ্নিবান মনে করে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। সেনাপতি অনেক চেষ্টা করেও সেনাবাহিনীকে সামনে অগ্রসর করতে ব্যর্থ হন। সিকন্দর গাজি পরাজিত হয়েছেন এমনটি বলা যাবে না। তবে ধূর্ত রাজা গোবিন্দের কুটকৌশলে ব্যর্থ হয়ে প্রায় বিনা যুদ্ধে সিকান্দর গাজি কোন সাফল্য ছাড়াই শ্রীহট্ট ত্যাগ করেন। তবে মুসলিম আক্রমনে ভীতসন্তত্র হয়ে গৌড়গোবিন্দ এসময় শাহ সিকান্দর গাজি ও মুসলমানদের মনতুষ্টির জন্য সিলেটের পীরমহল্লায় দ্বিতীয় আদিনা মসজিদ নামে একটি মসজিদ নির্মান করে দেন বলে ধারনা করা হয়।
লেখক কবি ও ব্লগার ইসফাক কুরেশী (বামে), লেখক, ব্যাংকার ও সাস্ট প্রেসক্লাব সভাপতি সায়েদ আব্দুল্লাহ যীশু (ডানে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন