একলা বসে, কাটায় তাহার
বেলা।
উদাস চোখে চাহিয়া দেখে, কুশিয়ারায়,
নৌকা সারি সারি, বর্নালী পাল তুলা।
২
নদীর দু’পার মায়ের শাড়ির সবুজ ডোরা,
নদীর দু’পার মায়ের শাড়ির সবুজ ডোরা,
মাঝখানে হালকা টিয়া, নীলের কারুকাজ।
দূরদেশে ছুটছে কত, কার্গো পানসী জাহাজ,
জলের জোয়ারে ওদের, হচ্ছে কুচকাওয়াজ।
৩
ঢেউ দোলায়ে মাঝ নদীতে হাজার তরী,
জলের জোয়ারে ওদের, হচ্ছে কুচকাওয়াজ।
৩
ঢেউ দোলায়ে মাঝ নদীতে হাজার তরী,
ঘুর ঘুর ঘুর, দৃষ্টিসীমা, পার হইয়া যায়।
যাচ্ছে মানুষ সেজেগুজে ভাটির কুটুমবাড়ি।
ভাসান জলে, পানসী চড়ে, সহজ রাস্থায়।
৪
ভাসান জলে, পানসী চড়ে, সহজ রাস্থায়।
৪
নদীর জল পার
ভাসিয়ে আসে ঘরের কাছে,
ভয়ে তখন সেই
ছেলেটির প্রানে কম্প আসে।
নদীতীরে মাকড়ষা-পদ্ম, মেলিয়া ধরে প্রাণ,
রূপার জালে সাদা পাপড়ি, রূপসী অফুরান।
৫
জল ডাহুকের ডাকে প্রাণে উম্মাদনা আসে,
জল ডাহুকের ডাকে প্রাণে উম্মাদনা আসে,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে
সারাটা দিন হৃদয় জলে ভাসে।
ছোট্ট ছেলে নদীর
পানে উদাস হয়ে চায়,
কল্পনায় সে ঘুরে
বেড়ায়, মেঘনা যমুনায়।
৬
বাংলাদেশের সব নদীতে হৃদয় তার ঘুরে,
ভাটির নদে সাঁতার কেটে, যায় সে সাগরে।
হাজার নদীর মিতালী তার, হয়না কবু শেষ,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন