সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম ও সুদীর্ঘ্য নির্জন সাধনায় তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। সুদীর্ঘ্য জীবন পেরিয়ে বার্ধ্যক্যের জরা যন্ত্রনা তাঁকে ঘিরে ধরে। ক্রমে ক্রমে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তিনি বুঝতে পারলেন পরপারে গমনে আর অধিক বিলম্ব নেই। তখন তিনি বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী তাঁর ভক্ত মুরিদান ও খলিফাদেরকে ডেকে একত্রিত করে শেষবারের মত প্রয়োজনীয় উপদেশ প্রদান করলেন। অতঃপর সকলকে বিদায় করে দিয়ে তিনি তার হুজরায় প্রবেশ করেন। তিনি তাঁর খাদেমকে সতর্ক করে দেন, কেহ যেন তার হুজরা গৃহে প্রবেশ না করে ও কেহ যেন তাঁকে ডাক না দেয়। অতঃপর তিনি হুজরার দরজা বন্ধ করে করে আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন হন।
খাদেম হুজরা গৃহের দ্বারে পাহারা দিতে ছিল। তাঁর কোন সাড়াশব্দ পেলনা। পাশের মসজিদে যোহরের আজান ধ্বনীত হবার পরও যখন তিনি হুজরা হতে বের হলেন না, তখন খাদেম হুজররা গৃহের দরজা একটু ফাঁক করে দেখতে পেল তাঁর পবিত্র দেহ হুজরার মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছে ও তাঁর পবিত্র আত্মা দেহপিঞ্জর পরিত্যাগ করে অনন্ত অসীম পরমাত্মার সঙ্গে মিশে গেছে ও তাঁর পবিত্র দেহপিঞ্জর হতে এক অপূর্ব স্বর্গীয় জ্যোতি: বিচ্ছুরিত হচ্ছে। “ইন্নালিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহির রাজেউন।” সেই দিনটি ছিল বৃহসপতিবার, ২০ জেলকদ, ৭৪৬ হিজরি; ১৪ মার্চ, ১৩৪৬ খ্রীষ্টাব্দ। ইবনে বতুতার সফর নামা অবলম্বনে প্রায় সকল লেখক ও ঐতিহাসিকই হজরত শাহজালালের(র:) মৃত্যু তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১৩৪৬/৪৭ খ্রীষ্টাব্দে। হজরত শাহজালালের(র:) প্রত্যক্ষদর্শী ইবনে বতুতার সমকালীন সাক্ষী প্রমাণ উপেক্ষা করে অন্যকোন সনকে হজরত শাহজালালের (র:) মৃত্যু তারিখ নির্ধারণ কোন মতে সঠিক ও সত্যনিষ্ঠ হবে না।
১৩০৩ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার গৌড়ের বলবনী বংশীয় সুলতান শামস উদ্দিন ফিরোজ শাহ দেহলবীর আমলে তিনি সিলেটে শুভ পদার্পন করেছিলেন। ১৩৪৫ খ্রীষ্টাব্দে সোনারগাঁকে রাজধানী করে পূর্ব-বাঙ্গালার স্বাধীন ও সার্বভৌম সুলতান ফখর উদ্দিন (আল ফখরা) মোবারক শাহের রাজত্বকালে ১৩৪৬ খ্রীষ্টাব্দে সিলেটে তিনি তাঁর অগনিত মুরিদ ও ভক্তবৃন্দকে শোক সাগরে ভাসিয়ে জান্নাতবাসী হন। তখন তার বয়স ছিল অনুমানিক (১৩৪৬ খৃস্টাব্দ বিয়োগ ১৩৪৬ খৃস্টাব্দ) = ১০৬ বৎসর। উপাসনা গৃহের সন্নিকটেই তাঁর পবিত্র দেহ মোবারক সমাহিত করা হয়, যাহা বর্তমানে শাহজালালের দরগাহ নামে সুপরিচিত। দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির রাজত্বকালে তিনি সিলেটে আসেন এবং তাঁর পরলোকগমন কালে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন ছিলেন মোহাম্মদ বিন তোঘলক। বর্তমান সিলেট শহরের মধ্যমনি এক মনোরম টিলায় হজরত শাহজালাল ঘুমিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশ ও আসামের ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে শাহজালালের গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। তাঁকে কেন্দ্র করেই যুগে যুগে বহতা নদীর মত সিলেটের সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চির প্রবাহমান রয়েছে।
১৩০৩ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার গৌড়ের বলবনী বংশীয় সুলতান শামস উদ্দিন ফিরোজ শাহ দেহলবীর আমলে তিনি সিলেটে শুভ পদার্পন করেছিলেন। ১৩৪৫ খ্রীষ্টাব্দে সোনারগাঁকে রাজধানী করে পূর্ব-বাঙ্গালার স্বাধীন ও সার্বভৌম সুলতান ফখর উদ্দিন (আল ফখরা) মোবারক শাহের রাজত্বকালে ১৩৪৬ খ্রীষ্টাব্দে সিলেটে তিনি তাঁর অগনিত মুরিদ ও ভক্তবৃন্দকে শোক সাগরে ভাসিয়ে জান্নাতবাসী হন। তখন তার বয়স ছিল অনুমানিক (১৩৪৬ খৃস্টাব্দ বিয়োগ ১৩৪৬ খৃস্টাব্দ) = ১০৬ বৎসর। উপাসনা গৃহের সন্নিকটেই তাঁর পবিত্র দেহ মোবারক সমাহিত করা হয়, যাহা বর্তমানে শাহজালালের দরগাহ নামে সুপরিচিত। দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির রাজত্বকালে তিনি সিলেটে আসেন এবং তাঁর পরলোকগমন কালে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন ছিলেন মোহাম্মদ বিন তোঘলক। বর্তমান সিলেট শহরের মধ্যমনি এক মনোরম টিলায় হজরত শাহজালাল ঘুমিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশ ও আসামের ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে শাহজালালের গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। তাঁকে কেন্দ্র করেই যুগে যুগে বহতা নদীর মত সিলেটের সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চির প্রবাহমান রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন