লাল গোলাপ
পটভূমিঃ আমি বাউল ও ভক্তি সঙ্গীতের একজন অনুরাগী। শৈশবে
আমাদের পাশের দড়া গ্রামের কটাই উদ্দিন বাউলের গাওয়া গান শুনতাম। তার ছেলে আলাউদ্দিন বাউল
আমার পাঠশালা ও হাইস্কুলের সহপাঠি। এ ধারার সঙ্গীতের প্রতি এক অনাবিল আকর্ষণ আমার ছেলেবেলার, যা আমাকে চাকুরী জীবনের ছুটির দিনগুলোতে
দু’একটা করে গান লিখতে অনুপ্রাণিত করে। একটা একটা করে লিখা হয়ে যায় ২২৭টি গান। মা আমাকে শিশুকালে আদর করে 'লালগোলাপ' নামে ডাকতেন। তাঁর সম্মানার্থে এই লালগোলাপ ছদ্মনামে লিখে যাই গানগুলো। আমার
বন্ধু সুকণ্ঠি বাউল শিল্পী শাহরুর রেজা প্রতিটি গানের অন্তত একটি লাইনে আমার মূল নামটি
ব্যবহারের পরামর্শ দেন যেমন করে বাউল ও লোকগীতিকারগণ তাঁদের গানে নিজ নাম সংযুক্ত করেন। এমন কি হাসন রাজা ও লালন শাহের মত প্রখ্যাত গীতিকবিগণ তাঁদের গানে নিজের নাম সংযোজন করে গেছেন। তবে আমার মত অর্বাচিন গীত রচয়িতার লিখিত গানে নতুনভাবে নিজের নাম সংযুক্ত করা খুব সহজ কাজ ছিলনা। গীতিকার আব্দুস সবুর মাখন বেশ সংশোধন করেন এসব গান। সবশেষে গানগুলো পাঠক ও শ্রোতাগণের সমীপে বসন্তের সুমিষ্ট বাতাসের মত ছড়িয়ে দিলাম।
-চৌধুরী ইসফাকুর
রহমান কুরায়শী
সূ চী প ত্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন