সুরমা নদীর রাঙ্গা মেয়ে মিষ্টি তোমার গা,
মনু-খোয়াই, কুশিয়ারা ধুইছে তোমার পা।
দারুন, দারুন, অরণ্যানী ঘেরা,
আকাশছোঁয়া পাহাড় শিরে, নিচে পাতাল খুড়া।
উপত্যকায়
চায়ের সারি আজব ডুরাকাটা,
মনে হয় কুড়ি ফুলে রঙ্গ গালিচা আটা।
রবার বনের শ্যামল ছায়ায় মুগ্ধ আমার মন,
বনহরিনী,
বাদর, কটা জাগায় শিহরণ।
দল বাঁধে বানরেরা ঝাকুনি দেয় ডালে,
ভূতের ভয় দেখায় ওরা একটু সুযোগ পেলে।
টিয়ারা সব হারিয়ে যায় সবুজ পাতার তলে,
লাফালাফি
করতাম আমি কাটবিড়ালী হলে।
গোয়াইন নদীর স্বচ্ছ জলে রানী-মাছের ঝাক,
সারিগাঙ্গে শুনি আমি গাঙ শালিকের ডাক।
মাধবকুন্ডের শুভ্রজলে রূপের কি যে ধার,
মানবাত্মা গোসল করে শিলার জলে তার।
তামাবিলে
পানের লতা, খাসিয়া মেয়ের ঝুলি,
নিস্পাপ এই, বনকন্যেরা অরণ্য বুলবুলি।
কাইসনা বিলের ঢেউয়ে আমার ভাসে ঘাসিয়ারা,
আগর বনে বউ-কথা-কও, গানে আত্মহারা।
লক্ষ্মী মেয়ে, সুরমাকন্যা, তোমায় ভালোবাসি,
প্রেমে পাগল আশিক আমি তোমায় ডুবে আছি।
তুমি মানব কন্যা হলে, বলছি আমি, চিরসত্য করে,
তোমায় আমি বউ সাজিয়ে আনতাম আমার ঘরে।
এমন করে মিটিয়ে দিতাম আমার মনের সাধ,
বেফাঁস কথা এসে গেল, ক্ষমাকর আমার অপরাধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন