কবি, লেখক ও ব্লগার ইসফাক কুরেশী
১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেট বিজিত হবার পর বাঙ্গালার সুলতান শামস উদ্দিন ফিরোজের ভাগনা সিকান্দর খান গাজির উপর সিলেটের শাসনভার অর্পিত হয়। তিনিই হন সিলেটের প্রথম মুসলিম শাসনকর্তা। সিকান্দর গাজি ছিলেন একজন সুশাসক। কিন্তু তিনি বেশীদিন সিলেটে অবস্থান করতে পারেন নি। নতুন বিজিত মুসলিম অঞ্চল সিলেটে শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করে তিনি রাষ্ট্রের বৃহত্তর দায়িত্ব পালনে আবার সাতগাঁও ফিরে যান এবং সেখানে তার সমাধি রচিত হয়। তিনি ফিরে যাবার পর হজরতের সহচর শাহ সিকন্দর নামের অন্য একজন ব্যক্তির হাতে সিলেটের শাসন ক্ষমতা অর্পিত হয়। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকে তিনি সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে মারা যান।শাহ সিকন্দরের অকালমৃত্যুতে হজরত শাহজালাল(রঃ) হায়দার গাজি নামক তাঁর অন্য একজন শিষ্যকে শ্রীহট্টের শাসনভার অর্পণ করেন।হজরত শাহজালালের সময় সিলেটের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে প্রখ্যাত দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ লিখেছেন, “প্রশ্ন উঠতে পারে তখনকার শাসনব্যবস্থা কি সত্যিকার ইসলামি শাসনব্যবস্থা ছিল। যদি তা না হয় তাহলে হজরত শাহজালাল সে ব্যবস্থা মেনে নিলেন কেন। তার উত্তরে বলা যায় দিল্লির শাসনব্যবস্থা ইসলামি না হলেও সিলেটের শাসনব্যবস্থাতে ইসলামি আইন কানুন অধিকমাত্রায় প্রচলিত ছিল। সামন্ততন্ত্র তখন দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও হজরত শাহজালালের জীবনকালে সিলেটে কোন সামন্ত সর্দার সৃষ্টি হয় নি। কাজেই পারিপাশ্বিক অবস্থা অত্যন্ত প্রতিকূল থাকা সত্ত্বেও হজরত শাহজালাল তাঁর জীবনকাল পর্যন্ত এ সিলেটের বুকে এক আদর্শ ইসলামি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
দরগাহে হজরত শাহজালাল মজররদে ইয়ামেনি(রঃ) 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন