সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

বসন্তে তোমার রূপ

বসন্তে তোমার রূপ

বসন্তে তোমার রূপ কি বলিব আমি আর,
নিজেকে হারিয়ে ফেলি শ্রী অঙ্গে তোমার।
প্রজাপতি হয়ে আমি ঘুরি ফুলে ফুলে,
আমার আমিত্ব আমি একবারে যাই ভুলে।

গুঞ্জরী গানে গানে চঞ্চল হয় সারা মন,
টিলায় টিলায় সে যে জুড়ায় ভ্রমণ।
বিকশিত মুকুলের সুগন্ধ সাগরে,
স্বর্গের অমৃত সুধায় মন যায় ভরে।

চিরল পাতার নিচে সুরেলা কোকিল সুধায়,
‘‘বসন্ত এসেছে সব, জেগে উঠো গায়,
ভালোবাসার হয়েছে সময়,
মজো প্রেমে, দিলাম অভয়।”

লাল লাল কৃষ্ণচূড়া পলাশের ডাল,
তলায় বিরহী কিশোর, হায়রে মাতাল।
বক্ষে তার জ্বলে উঠে আগুনের লেলিহান শিখা,
ফুলে ফুলে দেখে তার মানসীর চোখ আঁকা।

জীবনের উৎফুল হাসি, উঠে সারা পৃথিবীর গায়,
নতুন পত্রকলি আঁখিমেলে বৃক্ষের শাখায় শাখায়।
নদীরা শীর্ণ হয়, বুকে উঠে, রূপালী বালুর চর,
মাছরাঙ্গা হলে আমি, এইখানে বাঁধিতাম ঘর।

কমলা রঙ্গের রোদ ছেয়ে ফেলে মাতাল নয়ন,
দুগ্ধ ফেনিল মেঘ মেলায় পেখম।
হাজার প্রজাতির পাখি নির্জন জলাধারে,
দলবেঁধে গান গায় হাজারে হাজারে।

আর আমি সকলের ভীড়ে ভীড়ে,
সারাদিন খুঁজি যেন কারে।
কি যাদু করিল পাগল জানিনা আমারে,
আটকে থাকিতে পারিনা ঘরে।

উম্মাদ হয়ে আমি চেয়ে দেখি সিলেটের বসন্ত স্বরূপ,
ভাষা মোর হারিয়ে যায়, হয়ে পড়ি, নিথর নিশ্চুপ।
স্বর্গ দাঁড়ায় তখন মোর চারিপাশ,
ফুলের তোড়া হাতে হুর গেলমান হয়ে পড়ে,
সব গাছ ও ঘাস।

বসন্তে সিলেট তোমার, কি আর, বলিব আমি,
বলেও হবেনা শেষ ভিজে গেলাম ঘামী।
বসন্তে তোমার কথা, কি বলিব, আমি আর,
হাজার কুসুমমালা পাশে উপহার।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন