ওগো প্রিয়তমা সুন্দরী,
এ নয়ন চিরকাল দেখে যেন তোরে।
পলকহীন স্থির আঁখি মেলে,
শিশিরে সিক্ত হয়ে পৌষের ভোরে।
লজ্জা নেই মোর,
মাতালের মতো আমি দেখে যাব সারাঅঙ্গঁ তোর।
বক্ষে তোর লাল লাল টিলাদের সুদৃশ্য চূড়া,
বিচিত্র নদী-বন-গীরি অঙ্গে অঙ্গে জুড়া।
তাই মোর নীল দু’টি চোখ,
প্রেমে তোর দিশাহারা উদ্যত উম্মুখ।
হাকালুকির জলপদ্ম প্রিয়তমার গাল,
লন্ডলী মেয়ের মতো লাল, টুক্টুক্, লাল।
মনু খোয়াই সুরমা কুশিয়ারা,
সারা অঙ্গে ফুলে উঠা নীল শিরাধারা।
চরণে তার সবুজ পাটি জুতো,
উর্দ্ধে বাজে পাখির গান ঘুঙ্গুরের মতো।
ঝরে জল মাধবকুন্ড হতে,
জাফলং অপরূপী ভাসে নয়নেতে।
ভাটিদেশে
বরুন ফোটে, জলেতে করচ্ তুলে শির,
টাঙ্গুয়ার ঢেউয়ে ভাসে বুঁনো হাস, বক বাঁধে নীড়।
পূর্ণিমার রাতে ঢেউভেঙ্গে মুখ হাসে চাঁদ রূপালীর,
অজস্র পরিযায়ী পাখি ভাসমান ডালে রচে ভীড়।
তোমার রূপে নাচে আমার উদাসী এ মন,
কল্পনায় শ্রী অঙ্গে প্রাণ, জুড়ায় মিলন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন