শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছোটলোক

ছোটলোক
বিরহ-যন্ত্রনা এক অসহ্য শিহরণ,
বৈশাখের উত্তাপেও প্রাণ, শীতে কাঁপে ঠন-ঠন।
প্রেমের রঙ্গমঞ্চে খেলা করে কত ছলনাময়ী নারী,
সবল শিকার এসে নত হয়ে পায়ে পড়ে তারই।
 তারপর একদিন ধরা পড়ে মিথ্যা অভিনয়,
 খুন করে সে নারীকে, শুলে যেতে ইচ্ছে হয়।
দুয়াং পাতাইয়া শিকারিনি, তাতে  ঊই হয়ে বসে,
সেই উইরে খেতে শিকার, উড়ে উড়ে আসে।
 খেতে এসে ফাসে পাখি দোয়াঙ্গের প্রেমের আঠায়,
শেষমেশ অসহায় পরান যায়, ছুরির তলায়।

সেই সে শিকারি নারীকে
বলছি আমি-
পৃথিবীতে যেদিন ছিলনা তোমার কেউ
প্রিয়া বলে ডাকিবার,
সেদিন ছিলাম আমি।
তোমার রূপের একনিষ্ট উপাসক,
ছিলনা যেদিন কেউ,
সেদিনও ছিলাম আমি।

তোমার সুরের রাজ্যে বীনার ঝংকার তোলার
ছিলনা যেদিন কেউ,
সেদিন ছিলাম আমি।
তোমার তৃষ্ণার্থ হৃদয়ে প্রেম ডেলে দিবার
ছিলনা যেদিন কেউ,
সেদিনও ছিলাম আমি।
তোমার যৌবনের আগুনে বাতাস দিবার
যেদিন ছিলনা কোন লোক,
সেদিনও ছিলাম আমি

সেই আমি হঠাৎ উচ্ছিষ্ট হলাম ডাস্টবিনে,
আমার মৃতদেহ নিক্ষিপ্ত হলো শহরের বাগাড়ে।

কারণ,
এখন তোমার সব হয়েছে,
সুদৃশ্য বাড়ী হয়েছে, দামী গাড়ি হয়েছে,
হয়েছে 
টি.ভি ফ্রিজ  ভিডিও
বৃটিশ পাসপোর্ট।
তুমি এখন আছ রঙ্গের উচ্ছ্বল যমুনায়,
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করিয়া আমায়।
তোমাকে প্রিয়া বলার এসেছে বড়লোক,
নিষ্টুর পায়ে দলিত মথিত করে দিলে এই বুক,
আমি আজ ছোটলোক।
রচনাকাল ঃ আমার কলেজ জীবন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন