মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অমর এক ভাস্কর হলে আমি

অমর এক ভাস্কর হলে আমি

আমি যদি হতে পারতাম, অমর এক ভাস্কর
পঞ্চদশ শতকের ইটালীর কালোজয়ী মিকেলাঞ্জেলার মত,
যার যাদু হস্ত পাথর কেটে বের করে আনতো
সুন্দর সুন্দর মানব-মানবীর জীবন্ত মূর্তি।

তাহলে করতাম কি জানো
 পাথর কেটে তৈরী করতাম আমার মানসির প্রতিমা
ওর চোখ ওর মুখ ওর বিষন্ন সহাস্য চেহারা
ওর লাজনম্র রমনীয় উচ্ছ্বাস
সব অবিকল ঢেলে দিতাম সেই সোনার প্রতিমায়।

আর করতাম কি জানো-
এই নিস্প্রান প্রতিমাকে বক্ষে জড়িয়ে কাটিয়ে দিতাম
দু’দিনের পৃথিবীতে জীবনের বাকী সব দিন
বাকী সব রাত।
জীবনের শেষ বেলা মৃত্যুর ডাক শুনা গেলে
অবিকল আমার এক বিগ্রহ সযতনে তৈরী করে
ওর দু’বাহুর বন্ধনে সুউষ্ণ বক্ষ আলিঙ্গনে
জড়িয়ে দিতাম আমার মানসির মূর্তিটাকে।

তারপর করতাম কি জানো-
তা রেখে দিতাম ঢাকা যাদুঘরের কোন এক প্রকোষ্টে
বাংলার ইতিহাস সন্ধানী মানুষের সশ্রদ্ধ সম্মানে
ভাবীকালের মানুষের জন্য চিরদিন।


হয়তো আমার (একজন বিদগ্ধ শিল্পীর) কাণ্ড দেখে

অনাগত কালের অনেক মানুষ
অট্টহাস্যে ফেটে পড়বে
সাগরের স্বচ্ছ ফেনার মতন।

আর আমার মত উদ্বাস্তুরা হয়তোবা
সজল চোখে আশে পাশে ফেলে যাবে,
দু’এক ফোঁটা নয়নের লবনাক্ত জল।

প্রজ্ঞাশীল মানুষেরা মনে মনে ভাব্বে
আমি আমার মানসিকে কত ভালবাসতাম,
কত ভালবাসতাম,
কত ভালবাসতাম।

আর সে পাষানীটা আমাকে কত ঘৃণা করতো,
কত ঘৃনা করতোকত ঘৃণা করতো।
রচনাকালঃ কলেজ জীবন। 

২টি মন্তব্য: