শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬

পূর্ব বাড়ী

কবি লেখক ব্লগার ও পূবালী ব্যাংকার ইসফাক কুরেশী নেপালের নগরকোটে
মোহাম্মদ মোফাজ্জল চৌধুরী
শাহদাউদ কুরায়শির চতুর্দশ বংশধর মোহাম্মদ মোফাজ্জল চৌধুরীর বংশধররা দাউদপুরের পূর্ববাড়িতে বাস করেন। মোঃ মোফাজ্জল চৌধুরী একজন নাম করা জমিদার ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৮৪৯ সালে দাউদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রখ্যাত জমিদার আবু নসর চৌধুরী। মোফাজ্জল চৌধুরী প্রথম বিয়ে করেন ওসমানীনগরের করনসি গ্রামে। প্রথম পত্নীর মৃত্যুর পর রানাপিং ফাজিলপুর গ্রামের নজিবা খাতুন চৌধুরীকে তিনি বিয়ে করেন। মোহাম্মদ মোফাজ্জল চৌধুরীর নানাবাড়ি ছিল মৌলভীবাজার জেলার চৌয়ালিশ পরগনার জমিদার বংশে। রেঙ্গা পরগনার প্রথম ইংরেজি রেঙ্গা হাইস্কুল তাঁর প্রদত্ত জায়গায় স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমান দাউদপুর মাদ্রাসাও তাঁর প্রদত্ত ভূমিতে স্থাপিত রয়েছে। তিনি ও তাঁর পিতা আবুনছর চৌধুরী বর্তমান চৌধুরীবাজারেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমান চৌধুরীবাজার মসজিদ, বাজার-মসজিদ সংলগ্ন কবরগাহ, দাউদপুর মাদ্রাসার পশ্চিম এবং পূর্বদিকের দুইটি কবরগাহ, দাউদপুর জামে মসজিদের পুকুর ও শৌচাগার, দাউদপুরের পুর্বদিকের গ্রামেসমূহের মসজিদ ও কবরগাহ ইত্যাদি তার দানকৃত ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ১৯৩৯ সালে নব্বই বৎসর বয়সে দাউদপুর গ্রামে ইন্তেকাল করেন। তাঁর ছয় পুত্র ১) তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, ২) মুহিবুর রহমান চৌধুরী, ৩) মুখলেছুর রহমান চৌধুরী, ৪) রইছুর রহমান চৌধুরী, ৫) খলিলুর রহমান চৌধুরী ও ৬) শফিকুর রহমান চৌধুরী। মোফাজ্জল চৌধুরীর পাঁচ মেয়ে ছিলেন। তারা হন ১) লতিফা খাতুন, ২) আজিজুন্নেসা খাতুন, ৩) আফিয়া খাতুন, ৪) ছফিয়া খাতুন ও ৫) আম্বিয়া খাতুন।

১.০ তৈয়বুর রহমান চৌধুরী
তার জন্ম ১৮৮৯ সালে। দীর্ঘ্যকাল দাউদিয়া এম.ই. মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি ফাজিলপুর গ্রামের সফিকুন্নেছা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তাঁর ৬ পুত্র ১) শামসুদ্দোহা কুরায়শি, ২) গোলাম এহিয়া কুরায়শি ৩) আব্দুল হান্নান কুরায়শি, ৪) আব্দুস সোবহান কুরায়শি, ৫) আব্দুর রহমান কুরায়শি ও ৬) ফজলুর রহমান কুরায়শি। তিনি ১৯৭৪ সালের ৫ই মার্চ  ৮৫ বৎসর বয়সে পরলোকগমন করেন। নারাপিং ফাজিলপুর নিবাসী তার সহধর্মিনী সফিকুন্নেছা চৌধুরী ২৭ অক্টোবর ১৯৮৬ইং তারিখে পরলোকগমন করেন।

১.১ শহিদ শামসুদ্দোহা কুরায়শি
প্রথম পুত্র শামসুদ্দোহা কুরায়শি পাকিস্থান সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে চাকুরি করতেন। তিনি ১৯৩৬ সালে দাউদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত থাকাকালে বাঙ্গালি সেনারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তিনি সেই বিদ্রোহে যোগ দিয়ে পাকসেনাদের হাতে অন্যান্য অনেক বাঙ্গালি সৈনিকদের সাথে মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে শহিদ হন। তিনি বিয়ে করেন বড়লেখার গাংকুল গ্রামের এম.পি ও মন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর চাচাতো বোন মিসবাহ খানম চৌধুরীকে। শামসুদ্দোহা চৌধুরীর একমাত্র পুত্র বদরুদ্দোজা চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তার দীপা চৌধুরী ও মাজেদা চৌধুরী নামে দুই কন্যা রয়েছেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরী দাউদপুর মাদ্রাসায় ভুমিদান করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের এই আত্মদানকারী শহিদকে আমরা স্মরণ করি বিনম্র শ্রদ্ধায়।

                               চিত্রঃ শহীদ শামসুদ্দোহা কুয়ায়শি (বামে)

১.২ গোলাম এহিয়া কুরায়শি
দ্বিতীয় পুত্র গোলাম এহিয়া কুরায়শির জন্ম ১৯৩৮ সালের ২৩শে মার্চ দাউদপুর গ্রামে। কিছুদিন দাউদপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার পর ১৯৫৯ সালে পাকিস্থান ডাক বিভাগে চাকুরি পান। ১৯৯৫ সালে তিনি মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘর এর পোস্ট মাস্টার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ফুলবাড়ি গ্রামের মখলিসুর রহমান চৌধুরীর কন্যা সাহানা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। সাহানা চৌধুরী ২০ জানুয়ারি ২০১৯ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে দাউদপুর এনে দাফন করা হয়। তারা পবিত্র হজ্জ পালনও করেছেন। তাঁর একমাত্র পুত্র গোলাম মুত্তাকীন কুরায়শি (রিপন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. পাশ করেন। মুত্তাকীন কুরায়শি (রিপন) রনকেলী গ্রামের জাহিদ বখত চৌধুরীর কনিষ্ট কন্যা বাবরিন চৌধুরীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি গ্রিন ডেল্টা ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে ভি.পি পদে কর্মরত আছেন। গোলাম এহিয়া কুরায়শির প্রথম মেয়ে রুবা কোরেশির বিয়ে হয় মৌলভীবাজারের আখতারুল হক মুক্তার সহিত, তারা বর্তমানে বৃটেনে বসবাস করছেন ও দ্বিতীয় মেয়ে রুমা কোরেশির বিয়ে হয় বিয়ানীবাজার উপজেলার সাজনাপুর গ্রামের আতাউর রহমান চৌধুরীর (সিলেট পৌর কমিশনার) পুত্র ব্যবসায়ী কে. আলম চৌধুরীর সহিত, তারা বর্তমানে গুলশানে বসবাস করছেন। ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি মারা যান, এইদিন বাদ এসা তাকে দাউদপুর পারিবারিক কবরগাহে দাফন করা হয়। তিনি নিজ বাড়িতে একটি মসজিদ ও মক্তব প্রতিষ্ঠা করে যান।
                          চিত্রঃ সপরিবারে গোলাম এহিয়া কুরেশি

১.৩ আব্দুল হান্নান কুরায়শি খসরু 
তৃতীয় পুত্র আব্দুল হান্নান কুরায়শি আই.এ. পাশ করার পর পাকিস্থান ডাক বিভাগে কিছুদিন কাজ করেন। পরে বাংলাদেশ শিক্ষা বিভাগে চাকুরি করে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০১০ সালে সস্ত্রীক হজ্জ পালন করেন। তার দুই পুত্র নুরুল কুরায়শি ও কামরুল কুরায়শি। তার মেয়েরা হচ্ছেন হামিদা কুরায়শি স্বামী শামিম চৌধুরী বেখামুরা মৌলভীবাজার, জোবায়দা কুরায়শি স্বামী এডভোকেট সৈয়দ তারেক, ফাহমিদা, লোপা, রুনা ও মনি। তার মৃত্যুর তারিখ ৩রা অক্টোবর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ। তাকে দাউদপুরে দাফন করা হয়। 

১.৪ আব্দুস সোবহান কুরায়শি মছরু
চতুর্থ পুত্র আব্দুস সোবহান কুরায়শি আই.কম পাশ করার সরকারি চাকুরিতে যোগ দেন এবং ১৯৬৪ সাল থেকে সিলেট জেলা প্রশাসক অফিসে দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কানিশাইল গ্রামের সুলতানা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তার এক পুত্র মাহফুজ কুরায়শি ইলেকট্রনিক এন্ড ইকেট্রিক্যাল টেকনোলজিতে বিএসসি ইজ্ঞিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করছেন। তার দুই মেয়ে ফরিদা কুরায়শি ও শারমিন কুরায়শি। তিনি দাউদপুর দাখিল মাদ্রাসায় দাতা পরিবারের সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর দাউদপুর নিজ বাড়িতে ৭৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।

১.৫ আব্দুর রহমান কুরায়শি ফখরু
পঞ্চম পুত্র আব্দুর রহমান কুরায়শি সিলেট টেকনিক্যাল বিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল বিভাগে পাশ করার পর ছাতক পেপার মিলে চাকুরি করে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুর গ্রামের সৈয়দা নাইয়র জাহানকে বিয়ে করেন। তার দুই পুত্র তালিম কুরায়শি ও তুহিন কুরায়শি। একমাত্র মেয়ে তাজিনা কুরায়শি। ।

১.৬ ফজলুর রহমান কুরায়শি
ষষ্ঠ ও সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র ফজলুর রহমান কুরায়শি ম্যাট্টিক পাশ করার পর কিছুদিন বালাগঞ্জ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে সৌদি আরবের মদীনায় কিছুকাল কাটান ও কয়েক বার পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বেখামুরা গ্রামের সৈয়দ আব্দুল বারীর কন্যা সৈয়দা মশরফা বসরাকে বিয়ে করেন। তার দুই পুত্র ১) রিসালাত হাবিব কুরায়শি শোভ বি.এস.সি (অনার্স) এম.এস.সি (উদ্ভিদ বিঞ্জান), বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী ও ২) আরাফাত হাবিব কুরায়শি সৌরভ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ারিং বিষয়ে অনার্স সহ মাস্টার্স। সে লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্সের শিক্ষক। একমাত্র কন্যা সুমনা কুরায়শি ইংরেজিতে বি.এস.সি অনার্সসহ মাস্টার্স। সে বিবাহিতা ও বর্তমানে ক্যানাডা প্রবাসী। ফজলুর রহমান কুরায়শি ১৯ এপ্রিল ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ সোমবার রাত ৮ ঘটিকায় চৌষট্টি বৎসর বয়সে পরলোকগমন করেন। তাকে পরদিন দাউদপুরে দাফন করা হয়।
 
                         
ছবিঃ আরাফাত, সুমনা ও সৈয়দা মশরফা বুসরা

২.০ মুহিবুর রহমান চৌধুরী
তার জন্ম ১৮৯৮ সালে। মুহিবুর রহমান চৌধুরী ম্যাট্রিক পাশ করার পর স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন ও চাকুরি ছাড়া আন্দোলনে শরিক হয়ে তিনি কোলকাতায় সরকারি ট্রামচালকের চাকুরি ইস্তোফা দেন ও পরে দাউদপুর প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক পদে অনেক বৎসর কাজ করার পর অবসর গ্রহণ করেন। তিনি করনশি গ্রামের আজিমা খাতুন রানীকে বিয়ে করেন। মুহিবুর রহমান চৌধুরী ০২-১২-১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ও তার স্ত্রী আজিমা খাতুন রানী ১৭ অক্টোবর ১৯৮০  খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তাদের তিন ছেলে ১) মুজিবুর রহমান কুরায়শি মুরাদ ২) মফিজুর রহমান কুরায়শি ফরহাদ ৩) হাবিবুর রহমান কুরায়শি রেশাদ ও তিন মেয়ে ১) সালেহা খানম ২) সাদেকা খানম ৩) ফলকা খানমকে রেখে ইন্তেকাল করেন। তারা দাউদপুর পারিবারিক কবরগাহে সমাহিত হন।

২.১ মুজিবুর রহমান কুরায়শি (মুরাদ)
মুহিবুর রহমান চৌধুরী জ্যেষ্ঠ পুত্র মজিবুর রহমান কুরায়শির জন্ম ১৯৪৪ সালের ২০ নভেম্বর দাউদপুর গ্রামে। তিনি সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেট্রিকেল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ১৯৬৬ সালে তদানিন্তন ওয়াপদাতে সাব এসিস্টেন্ট ইজ্ঞিনিয়ার পদে চাকুরি গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিবাহী প্রকৌশলী পদ হইতে অবসর গ্রহণ করে পবিত্র হজ্জ পালন করেন ও ২০০৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর সিলেটে মারা যান। তিনি শাহজালালের দরগায় চিরশায়িত হন। তিনি গওহরপুর গ্রামের প্রাক্তন মন্ত্রী দেওয়ান আব্দুর রব চৌধুরীর নাতনি ও দেওয়ান আব্দুর রসুল চৌধুরীর কন্যা নাসরিন চৌধুরীর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর জৈষ্ঠ্য পুত্র মাহবুব রহমান বাবু অস্ট্রেলিয়া হতে কম্পিউটার সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে স্থায়ী হন। মেয়ে সাদিয়া আফরিন চৌধুরী টুনি এম.কম পাস করে রবির কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বর্তমানে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে বসবাস করছেন। কনিষ্ট ছেলে মাকসুদুল আলম তাসিম কম্পিউটার টেকনোলজীতে বি.এস.সি ইজ্ঞিনিয়ারিং পাস করে লংকা বাংলা ফাইনান্সে কর্মরত আছেন।
     চিত্রঃ মুজিবুর রহমান কুরেশী ও তাঁর বেগম নাসরিন চৌধুরী
২.২ মফিজুর রহমান কুরায়শি (ফরহাদ)
তার জন্ম ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে। মহিবুর রহমান চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র মফিজুর রহমান কুরায়শি ১৯৭৩ সাল থেকে শিক্ষকতায় নিয়োজিত থেকে বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। তিনি রণকেলী বড়বাড়ি নিবাসী আব্দুল লতিফ চৌধুরীর (মইয়ব মিয়া) কন্যা খোদেজা খাতুন চৌধুরী জুহেনার সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা ২০০৯ সালে পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তাঁর দুই পুত্র কাওসার মোস্তফা চৌধুরী ইংরেজিতে অনার্স সহ মাস্টার্স করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ও নাঈম মোস্তফা চৌধুরী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজতত্বে অনার্স সহ মাস্টার্স করেছেন। তার দুই মেয়ে এমেলি চৌধুরী ও কেলি চৌধুরী। এমেলির চৌধুরীর বিয়ে হয় ইটা পরগনার বালিদিঘি দেওয়ান বাড়ি। তার স্বামী দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক দীর্ঘ্যকাল দৈনিক সিলেটের ডাকের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

২.৩ হাবিবুর রহমান কুরায়শি (রেশাদ)
তার জন্ম ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে। মুহিবুর রহমান চৌধুরীর তৃতীয় পুত্র হাবিবুর রহমান কুরায়শি ইন্টারমেডিয়েট পাস করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে কিছুদিন কাজ করার পর সৌদি আরবে চলে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আসার পর ১৭ জুলাই ১৯৯৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর একমাত্র কন্যা আনিকা চৌধুরী পানিধার, বড়লেখায় অধ্যায়নরত।

২.৪ সালেকা খানম চৌধুরী
তার জন্ম ১৯৩৮ সালে, বিবাহ হয় ফুলবাড়ি গ্রামের মিরাবাড়ির আব্দুর রহিম চৌধুরী ধনমিয়ার সহিত। তার একমাত্র পুত্র ইউসুফ চৌধুরী ও একমাত্র কন্যা সাকেরা চৌধুরী। সাকেরা চৌধুরী লন্ডনে আছেন। সালেকা খানম ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সিলেটে মারা যান। ঐদিন বাদ জোহর শাহজালালের(রঃ) দরগায় চিরিশায়িত হন। তারা স্বামী ও স্ত্রী দুইজন ছিলেনই ধার্মিক ও নিস্পাপ। দুইজনই পবিত্র রমজানে দেহত্যাগ করেন।  

২.৫ সাদেকা খানম চৌধুরী
তার জন্ম ১৯৪০ সালে, বড়লেখা উপজেলার গাংকুল গ্রামের তফসিলদার আব্দুল মুকিত চৌধুরীর সহিত তাঁর বিয়ে হয়। তার তিন ছেলে ১) সাকের চৌধুরী ২) টিপু চৌধুরী  ৩) সিপলু চৌধুরী এবং দুই কন্যা ১) রেজি চৌধুরী ও ২) রেকি চৌধুরী।

২.৬ ফলকা খানম চৌধুরী
তার জন্ম ১৯৫৩ সালে দাউদপুর গ্রামে। কমলগজ্ঞ উপজেলার মুন্সিবাজারের জসমতপুর গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। তার স্বামী আব্দুল বাছিত চৌধুরী একজন চিকিৎসক। তাঁর চার পুত্র ছয়েফ চৌধুরী, ফয়েজ চৌধুরী, রিয়ান চৌধুরী ও শফি চৌধুরী। তাঁদের দুই কন্যা খালেদা খানম (আমানিপুর, লংলা) ও মুর্শেদা খানম (সুলতানপুর, কুলাউড়া)। 

৩.০ মুখলিছুর রহমান চৌধুরী
তার জন্ম ১৯১২ সালে দাউদপুরে, ম্যাট্রিক পাশ করার পূর্বেই তিনি স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন ও চাকুরি ছাড়া আন্দোলনে শরিক হয়ে কোলকাতায় ইংরেজদের সরকারি চাকুরি ইস্তোফা দিয়ে পরে ভারতের কালিমাটিতে টাটা স্টীল কোম্পানিতে চাকুরিতে নিযুক্ত হন ও ভারত বিভাগের কয়েক বৎসর পর দেশে ফিরে আসেন। চিরকুমার অবস্থায় তিনি ২৭শে জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে তিনি দাউদপুরে মারা যান।

৪.০ রইছুর রহমান চৌধুরী
তার জন্ম ১৯১৩ সালে, তিনি অল্প বয়সে মারা যান।

৫.০ খলিলুর রহমান চৌধুরী (কালু মিয়া)
তার জন্ম ১৯১৪ সালে দাউদপুর গ্রামে। তিনি বাড়িতে থেকে বিষয় সম্পত্তি দেখাশুনা করতেন। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের সায়রা খানম চৌধুরীর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৫ সালে এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা খানম চৌধুরী ২৭শে মে ১৯৯৪ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তার একমাত্র পুত্র মতিউর রহমান কুরায়শি ১৯৫৭ সালে দাউদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিয়ানিবাজারের দোবাগ গ্রামের সাহানা খানম চৌধুরীকে বিয়ে করেন। মতিউর রহমান কুরায়শি পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে ১লা জুলাই ২০০৩ সালে গ্রামের বাড়িতে মাত্র ছেচল্লিশ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর বড় ছেলে জাহিদুর রহমান কুরায়শি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ স্কুলের ‘সারার’ এসিস্টেন্ট কো-অর্ডিনেটার ছিলেন ও বর্তমানে লন্ডনে আছেন। তাঁর অন্যরা ছেলেরা হচ্ছেন সাহিদুর রহমান, জুবেদুর রহমান, রাফিউর রহমান, রাব্বিউর রহমান রুমন এবং দুই মেয়ে রিপা ও রুহি। মতিউর রহমান কুরায়শির প্রথম স্ত্রী সাহানা চৌধুরী ২২ শে ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে দাউদপুরে মারা যান।

৬.০ শফিকুর রহমান চৌধুরী (দলু মিয়া)


মোহাম্মদ মোফাজ্জল চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র শফিকুর রহমান চৌধুরীর জন্ম ১৯১৬ সালের ১লা অক্টোবর দাউদপুর গ্রামে। তিনি ১৯৩৭ সালে ভাদেশ্বর নাসির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ১৯৪১ সালে সিলেট এমসি কলেজ হতে বি.এ পাশ করার পর বৃটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। কিছুদিন কাজ করার পর বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ইংরেজের চাকুরি ইস্তোফা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। ১৯৫৪ সালের ২৫শে মার্চ পাতারিয়ার দেওয়ান খলিলুর রহমান চৌধুরী ও কুলাউড়া গাগটিয়া সাহেববাড়ির রফিকুন্নেছা চৌধুরীর কন্যা আসমতুন্নেছা চৌধুরীর (জন্মঃ১৯৩৮সাল) সহিত পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। বেশ কয়েক বছর তিনি সুনামগঞ্জের কানুনগো পদে কাজ করেন। পাকিস্থান হওয়ার পর তিনি নব গঠিত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে চাকুরি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নিজেকে শিক্ষকতায় নিয়োজিত করেন। এবং ১৯৯১ইং সালে রেবতী রমন হাইস্কুলের শিক্ষক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সস্ত্রীক পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তিনি দাউদপুর মাদ্রাসায় উত্তর দিকের ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি দান করেন। তিনি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ ও ফুটবলার ছিলেন। কোলকাতা মহামেডান ক্লাবে তার ফুটবল খেলার ইতিহাস রয়েছে। তিনি রেঙ্গা এলাকার অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে থেকে উন্নয়নে অবদান রাখেন। তিনি সারাজীবন নানা ধরণের সমাজসেবামূলক কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি ২৪ নভেম্বর ২০০৭ সাল রোজ শনিবার তিনপুত্র ও তিনকন্যা রেখে সিলেটে মারা যান। তিনি দাউদপুর মসজিদের সম্মুখস্থ পারিবারিক কবরগাহে এইদিন বাদ আসর চিরনিদ্রায় শায়িত হন। তাঁর সহধর্মিনী আসমতুন্নেছা চৌধুরী ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত তিনটায় সিলেটের সেফওয়ে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি বাদ আসর দাউদপুর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

  
              Image: Mrs. Asmatunnessa Chowdhury

৬.১ চৌধুরী তাহমিদুর রহমান কুরায়শি
তিনি ৩১শে ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে দাউদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শাহজালাল উপশহর নিবাসী জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী গ্রামের ইলিমুর রাজা চৌধুরীর একমাত্র কন্যা বিলকিস বাহার চৌধুরীর সহিত ১৯৯৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শফিকুর রহমান চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র তাহমিদুর রহমান কুরায়শি বি.এ পাস করে কিছুকাল ঢাকায় চাকুরি করে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান ও বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। তার একমাত্র পুত্র আজফার চৌধুরী লন্ডনে অর্থনীতিতে অনার্সসহ মাস্টার্স করেন। পরে তিনি লন্ডনে চার্টার একাউন্টেন্সি পাশ করেন। আজফার বৃটেনের বহুজাতিক কোম্পানির উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা। ও কন্যা নওসিন চৌধুরী লন্ডনে মিডিয়া ইনফরমেশন টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা শেষে সেখানে চাকুরি করছেন।

                    চিত্রঃ ইসফাক চৌধুরী, তাহমিদ চৌধুরী ও নিশাত চৌধুরী

৬.২ চৌধুরী ইসফাকুর রহমান কুরায়শি (সেফাক)

               
চিত্রঃ ইসফাক কুরেশী ও ডাঃ নুরজাহান বেগম চৌধুরী

৯ই পৌষ ১৩৭২ বাংলা ২৩শে ডিসেম্বর ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে রোজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণসুরমার দাউদপুর গ্রামে তার জন্ম হয়। হাজি সফিকুর রহমান চৌধুরী (বি.এ-১৯৪১সাল) ও আসমতুন্নেছা চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র ইসফাকুর রহমান কুরায়শি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাজনীতি বিজ্ঞানে ১৯৮৮ সালে এম. এস. এস এবং সিলেট পলিটেকনিক হতে সিভিল টেকনোলজিতে ১৯৮৬ সালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সিলেট আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৪ সালে এমবিএ করেন। তিনি পূবালী ব্যাংকের একজন এজিএম। তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করেন ও ২০১০ সালে পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ১৪ মে চারখাইয়ের সাচান গ্রামের ফুড কন্ট্রোলার আলহাজ্জ এনাম উদ্দিন চৌধুরী ও রণকেলি গ্রামের মলিকা খানম চৌধুরীর একমাত্র কন্যা ডাঃ নুরজাহান বেগম চৌধুরীর (শাহরিন) সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।তাঁর স্ত্রী ডাঃ নুরজাহান বেগম চৌধুরী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের এম.বি.বি.এস; পি.জি.টি (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিতে সি.সি.ইউ.এম. সার্টিফিকেট লাভ করেন। তিনি সিলেট শহরের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সনোলজিষ্ট। তার একমাত্র পুত্র জেফার রহমান কুরায়শী সিলেট নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। ১লা জানুয়ারি ১৯৯৭ সালে সিলেটের আয়শা ক্লিনিকে ডাঃ ফরহাত মহলের হাতে তার জন্ম হয়। ইসফাক কুরায়শী একজন কবি ও সাহিত্যিক। তিনি অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা। তার লিখিত অনেক প্রবন্ধ ও কলাম দেশের অনেক পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমানে সিলেট শহরের জেফার ভবন, ৩৩/২, সাগরদিঘির পারে নিজ বাসভবনে বসবাস করছেন। তিনি নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সেন্ট্রাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের পরিচালক। তিনি সিলেট মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সদস্য। (সদস্য নং-১৪৫০)
৬.৩ চৌধুরী নিশাতুর রহমান কুরায়শি

      চিত্রঃ বালক বয়সে নিশাত কুরেশী
সফিকুর রহমান চৌধুরীর তৃতীয় পুত্র নিশাতুর রহমান কুরায়শি একজন কলামিষ্ট। তার জন্ম ১০ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালে। নিশাত কোরেশি অর্থনীতিতে  বি.এস.এস (অনার্স) এবং এম.এস.এস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি কিছুদিন মদন মোহন কলেজের প্রভাষক ছিলেন ও  বর্তমানে তিনি জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন। তিনি মৌলভীবাজার  জেলার ত্রিলোক্য গ্রামের এডভোকেট তজম্মুল হোসেনের কন্যা প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা ফাহমিদা হোসেন লোমা বি.কম (অনার্স) এম.কম (একাউন্টিং) এর সহিত ৭ই আগস্ট ২০০৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মেয়ে জাইমা কুরায়শির জন্ম ৪ঠা আগস্ট ২০০৯ সালে।
                                          
             
                   চিত্রঃ ফাহমিদা লোমা
৬.৪ চৌধুরী মিল্লাতুর রহমান কুরায়শি
সফিকুর রহমান চৌধুরীর চতুর্থ পুত্র মিল্লাতুর রহমান কুরায়শির জন্ম ১৯৭৭ সালে ও তিনি এক বৎসর ছয় মাস বয়সে ১৯৭৮ সালে নিউমুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

৬.৫ আনিকা চৌধুরী রেহা
সফিকুর রহমান চৌধুরীর প্রথমা কন্যা আনিকা চৌধুরীর (রেহা) ১৯৫৮ সালে দাউদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে সিলেটের দরগামহল্লা মুফতিবাড়িতে তার বিয়ে হয়। তার স্বামী মুফতি মোঃ খালিদ (পিতা মুফতি মোঃ আলাউদ্দিন) ফেন্ছুগজ্ঞ সারকারখানা হতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ছয় পুত্র ও দুই কন্যা সন্থানের জননী। পুত্ররা হচ্ছেন ১) মুফতি মোঃ লবিদ বি.কম ২) মুফতি মোঃ রশিদ (হুদহুদ) বিএসসি (অনার্স) এমএসসি (প্রডাকশন ইজ্ঞিনিয়ারিং) শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ৩) ডাঃ মুফতি মোঃ শামস সার্জারি বিশেষজ্ঞ ৪) মুফতি মোঃ তানজির ব্যাংক কর্মকর্তা ৫) মুফতি মোঃ তানভির ৬) মুফতি মোঃ তাসনিম হিমু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। কন্যারা হলেন ১) মুফতি লতিফা খানম পপি স্বামী অহিদ চৌধুরী সিএ। বৃটেনের বহুজাতিক ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ২) মুফতি পলি খানম স্বামী ইসতিয়াক আহমদ চৌধুরী কোয়ার্ডন লিডার, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ। তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ খালিদ মারা যান ২০১৬ সালের ৩১শে মার্চ। আনিকা চৌধুরী ২০১৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় মাত্র ঊনষাট বছর বয়সে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে পরদিন হজরত শাহজালালের দরগায় মহিলা ইবাদাতখানার পিছনে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হয়। আল্লাহ তাঁদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন।
                             চিত্রঃ মুফতি মোঃ খালেদ ও আনিকা রেহা 

৬.৬ আজিজা চৌধুরী সেহা
সফিকুর রহমান চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা আজিজা চৌধুরীর (সেহা) ১৯৬০ সালে সুনামগজ্ঞ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ সালে তার বিয়ে হয় কানিহাটির তিন মেয়াদকালের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর(শোয়েব) সাথে, যিনি রশিদাবাদ ও সিরাজনগর চাবাগানের ব্যবস্থাপকও ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। তাঁরা এখন কানাডার টরেন্টোতে থাকেন। তিনি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্থানের জননী। তাঁর একমাত্র ছেলে হচ্ছেন রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরী ও মেয়েরা ১) চুন্নি চৌধুরী স্বামী হুমাউন চৌধুরী, কচুয়া, মৌলভীবাজার, বৃটেন প্রবাসী ২) ফারহানা চৌধুরী গিনী স্বামী আরিফ চৌধুরী, রণকেলি, সিলেট ৩) মুন্নি চৌধুরী স্বামী নাইম চৌধুরী, রণকেলি, সিলেট ৪) উর্মি চৌধুরী স্বামী জালাল চৌধুরী, চারখাই, সিলেট ৫) সুর্মি চৌধুরী স্বামী আদিয়াত আহমদ গ্রামঃ শীলঘাট, ঢাকাদক্ষিণ, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।
               চিত্রঃ আজিজা সেহা, রুহুল চৌধুরী ও আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী

৬.৭ আনিছা চৌধুরী মান্না
সফিকুর রহমান চৌধুরীর তৃতীয় কন্যা আনিছা চৌধুরীর (মান্না) ১৯৬৩ সালের জানুয়ারি মাসে দাউদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রণকেলী গ্রামের লিয়াকত হোসেন চৌধুরীর সাথে ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্থানের জননী। ছেলে তানভীর হোসেন চৌধুরী মুন্না একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক। ছাতকের শিমুলতলার এডভোকেট সুলেমান রাজা চৌধুরীর ভাতিজা মাহফুজ রাজা চৌধুরীর সঙ্গে তার মেয়ে আফরোজা জান্নাত চৌধুরীর (লিজা) বিয়ে হয়। তারা  বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন।
                ছবিঃ আনিছা চৌধুরী মান্না ও পুত্র ডাঃ তানভীর চৌধুরী মুন্না
৭.০ লতিফা খাতুন চৌধুরী
লতিফা খাতুন চৌধুরীর জন্ম ১৯০৫ সালে এবং তার বিয়ে হয় গাংকুল (পাথারিয়া) এর আব্দুল হাফিজ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে ফুলবাড়িতে মারা যান। তার ওয়াসিতানুসারে তাকে পরদিন দাউদপুরে দাফন করা হয়। তিনি বড়লেখার এমপি ও সাবেক মন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর চাচি। তার দুইপুত্র ১) আতিক চৌধুরী ২) রেজা চৌধুরী এবং দুই কন্যা ১) নজু খানম চৌধুরী স্বামী লুৎফুর রহমান চৌধুরী লতমিয়া, ফুলবাড়ি, সিলেট। ২) জেবু খানম চৌধুরী বিয়ে দাউদনগর, শায়েস্থাগজ্ঞ, হবিগজ্ঞ। 

৮.০ আজিজুন্নেসা চৌধুরী
আজিজুন্নেসা চৌধুরীর সঙ্গে কানিহাটি হাজিপুরের বৃটিশ আমলের পুলিশ ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী চৌধুরীর বিয়ে হয়। তার জন্ম ১৯০৬ সালে দাউদপুরে এবং ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে তিনি হাজিপুরে পরলোকগমন করেন। তার পুত্ররা হচ্ছেন ১) আব্দুল অহিদ চৌধুরী ২) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ৩) আব্দুল মুকিত চৌধুরী ৪) আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী শোয়েব, সাবেক চেয়ারম্যান, হাজিপুর ইউনিয়ন। তাঁর মেয়েরা হচ্ছেন ১) আসমা খানম, স্বামী ময়না মিয়া চৌধুরী, সাচানগ্রাম, চারখাই, সিলেট ২) সায়মা খানম, মৌলভীবাজার বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী ৩) সালমা খানম জজে খোরশেদ আলম চৌধুরী, কৌলা, কুলাউড়া ৪) মাসুমা খানম, স্বামী মুমিনুল হক চৌধুরী, গ্রামঃ বাটইআইল, জকিগঞ্জ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, সাবেক পরিচালক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। তিনি বর্তমানে ধানমণ্ডি, ঢাকায় বসবাস করছেন। আজিজুন্নেছা বড়লেখার সাবেক এমপি ও মন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী এবং জকিগঞ্জের এম. পি হাফিজ আহমদ মজুমদারের আপন চাচী শ্বাশুড়ি। তিনি পূবালী ব্যাংকের সাবেক এম ডি আব্দুল হালিম চৌধুরীর দাদি শ্বাশুড়ি। 

৯.০ আফিয়া খাতুন চৌধুরী
আফিয়া খাতুন চৌধুরীর সঙ্গে সিলেটের দরগামহল্লা নিবাসী মুফতি সিরাজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তার জন্ম ১৯০৮ সালে এবং তিনি ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্র“য়ারি সিলেটে পরলোকগমন করেন। হজরত শাহজালালের এক জোড়া খড়ম ও তরবারি তার কাছে রক্ষিত ছিল। তার ছেলেরা হচ্ছেন ১) মুফতি নজমুউদ্দিন আহমদ মামুন বি এ, এল এল বি। তিনি ২রা জানুয়ারি ২০২১ সালে পঁচাশি বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি সিলেট মহানগরের বিয়ের কাজি ছিলেন ২) মুফতি বদরুউদ্দিন এখলাস, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক, সোনালী ব্যাংক ৩) মুফতি কমর উদ্দিন কয়সর মৃত্যুঃ ২০২০ সাল ৪) মুফতি ফয়সল উদ্দিন কুটুত এবং তার মেয়েরা হচ্ছেন ১) হাসনা খানম খানদুরা, হবিগজ্ঞ ২) রশিদা খানম, মিয়াসাহেব বাড়ি, হাওয়াপাড়া, সিলেট ৩) ছারা খানম, মাছিহাটা, বি.বাড়িয়া। তিনি হযরত শাহজালালের(রঃ) তরবারি ও এক জোড়া খড়ম তিনি সারাজীবন সংরক্ষণ করেন।

১০.০ ছফিয়া খাতুন চৌধুরী
ছফিয়া খাতুন চৌধুরীর সঙ্গে ফুলবাড়ির সাদ উদ্দিন চৌধুরীর বিয়ে হয়। তিনি ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১০ ফেব্র“য়ারি ১৯৯৮ সালে মারা যান। তার পুত্ররা হচ্ছেন ১) ডঃ সদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেন্সেলার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইন্টারনেশন্যাল ইউনিভার্সিটি (মৃত্যুঃ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ) ২) বদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বি.এস.সি ইজ্ঞিনিয়ার (বুয়েট) সাবেক চীফ ইজ্ঞিনিয়ার সি এন্ড বি এবং সাবেক পাবলিক সার্ভিস কমিশন সদস্য, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ৩) এমাদ উদ্দিন চৌধুরী (মারুফ) এম.এস (লন্ডন), বিভাগ প্রধান, পরিসংখ্যান বিভাগ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ৪) ফারুক উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এম এ পাট মন্ত্রনায়ের সাবেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ৫) ডাঃ রূকন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (সারুফ), সাবেক মেজর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঢাকায় নিখোঁজ হন ২০০৪ সালে। মেয়েরা হচ্ছেন ১) রুনু চৌধুরী, ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ, গোলাপগঞ্জ ২) জুনু চৌধুরী রাজাপুর, বালাগঞ্জ, সিলেট ৩) রেহেনা চৌধুরী, সুনামগজ্ঞ ৪) সেহেনা চৌধুরী, বরায়া রফিপুর, গোলাপগজ্ঞ ৫) খয়রু চৌধুরী, ফুলবাড়ি ৬) খসরু চৌধুরী, কুলাউড়া।
ছবিঃ পদার্থবিঞ্জানী ও সাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ডঃ সদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী

১১.০ আম্বিয়া খাতুন চৌধুরী
আম্বিয়া খাতুন চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর মামাতো ভাই রানাফিং  ফাজিলপুর গ্রামের আব্দুর রকিব চৌধুরীর বিয়ে হয়। তাঁর জন্ম ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে এবং তিনি ২৬ ফেব্র“য়ারি ২০০০ সালে মারা যান। তাহার পুত্ররা হচ্ছেন- ১) আব্দুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ বিমানের সাবেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ২) এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী ৩) এডভোকেট মাসিয়াত উল্লাহ চৌধুরী ৪) হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরী ৫) শাহাদাত  উল্লাহ চৌধুরী ও ৬) এবাদাত উল্লাহ চৌধুরী। মেয়েরা হচ্ছেন ১) সেবিয়া খানম চৌধুরী, বারহাল জকিগজ্ঞ ২) সিরিয়া খানম চৌধুরী স্বামী সৈয়দ মইজুল ইসলাম (কদই মিয়া) নালিউরী ভাদেশ্বর ৩) ফাবিয়া খানম চৌধুরী স্বামী- হোসেন আহমদ চৌধুরী (ভারত) ৪) মর্জিয়া খানম চৌধুরী স্বামী ইজ্ঞিনিয়ার ফজলুর রহমান চৌধুরী ফাজিলপুর গোলাপগজ্ঞ ও ৫) ফাউলিন খানম চৌধুরী, বালাউট জকিগঞ্জ। তারা ভাইবোনরা সবাই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

আবুল বসর চৌধুরী
আবুল বসর চৌধুরীর পত্নী ছফর চান্দ খাতুন। ছফর চান্দ খাতুন দাউদপুর কোনার চৌধুরীবাড়ির আব্দুল মুজাফফর চৌধুরী ও ফজিরা খাতুনের কন্যা। এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে হাফিজা খাতুনের স্বামী ছিলেন দাউদপুর মাঝের চৌধুরীবাড়ির রহমানুর রাজা চৌধুরী। ছফর চান্দ খাতুন ও তাঁর মাতা ফজিরা খাতুন দাউদপুর মাদ্রাসায় ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে বিন্নাকান্দি মৌজায় প্রায় ২২ একর ভুমিদান করেন।

আবুল মুবাশ্বর চৌধুরী
আবুল মুবাশ্বর চৌধুরী ছিলেন তিন পুত্র ও তিন কন্যা। তারা হলেন- ১) ওয়াসির আলী  চৌধুরী ২) ওয়াতির আলী চৌধুরী ও ৩) ওয়াছিল আলী চৌধুরী এবং তিন কন্যা ১) মাহফুজা খানম স্বামী- মফজিল আলী চৌধুরী, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ২) জোবেদা খাতুন চৌধুরী স্বামী- ওয়াজেদ আলী চৌধুরী দুহাল, চারখাই, সিলেট ও ৩)  খোদেজা খাতুন চৌধুরী স্বামী- খন্দকার আমির উদ্দিন আহমদ গ্রামঃ আলাপুর, গওহরপুর, সিলেট। আবুল মুবাশ্বর চৌধুরীর তিন পুত্রের বংশধারা বিলুপ্ত হলেও তিনজন মেয়েরই বংশধর রয়েছেন। 
 আবুল মুবাশ্বর চৌধুরীর প্রথমা কন্যা মাহফুজা খানম চৌধুরী ও মফজিল আলী চৌধুরীর (কানিশাইল) দুই পুত্রঃ আব্দুল হাই চৌধুরী এবং আব্দুর রউফ চৌধুরী। আব্দুল হাই চৌধুরীর ছয় পুত্রঃ ১) আব্দুল মহি চৌধুরী ২) আব্দুল ফারাহ চৌধুরী ৩) আবুল উলাহ চৌধুরী ৪) আব্দুল লতিফ চৌধুরী ৫) মুহিবুর রহমান চৌধুরী ৬) কুতুব উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর তিন কন্যাঃ ১) আফিয়া খাতুন ২) আখলিমা খাতুন ও ৩) ছুফা বেগম। 
আব্দুল মহি চৌধুরীর দুই পুত্রঃ ১) আব্দুল কাদির হারুন ও ২) আদুল কাইয়ুম বাবু। তাঁর কন্যারা ১) জামিলা চৌধুরী জজে- নজরুল ২) হালিমা চৌধুরী জজে- আফতাব উদ্দিন ৩) সুলতানা চৌধুরী জজে- আব্দুস সোবহান চৌধুরী (মস্রু) রেঙ্গা দাউদপুর ৪) রোখশানা চৌধুরী জজে- মহিউদ্দিন চৌধুরী ৫) রোকেয়া চৌধুরী জজে- আশরাফ উদ্দিন ও ৬) ফাতেহা চৌধুরী। 
আব্দুর রউফ চৌধুরীর এক পুত্রঃ আব্দুল মুনিম সাধু ও এক কন্যাঃ জেবুন্নেছা জজে- আকিদত হোসেন সাং বালাউট, জকিগঞ্জ।
আবুল মুবাশ্বর চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা জোবেদা খাতুন চৌধুরী ওয়াজেদ আলী চৌধুরী (দুহাল, চারখাই) দম্পতির দুই পুত্রঃ ১) আখলাক আহমদ চৌধুরী ( জন্মঃ ১৮৯৭ ও মৃত্যুঃ ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ) ও ২) আলতাফ আহমদ চৌধুরী ( জন্মঃ ১৯০০ এবং মৃত্যুঃ ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ)। আখলাক আহমদ চৌধুরীর চার পুত্রঃ ১) আব্দুল খালিক চৌধুরী ২) আব্দুল মালিক চৌধুরী ৩) ছালিক আহমদ চৌধুরী ও ৪) রেদোয়ান আহমদ চৌধুরী। তাঁর চার কন্যাঃ ১) জাহানারা বেগম ২) রওশন আরা বেগম ৩) ছুফিয়া আখতার চৌধুরী ও ৪) ফরিদা আখতার চৌধুরী।
আলতাফ আহমদ চৌধুরীর ছয় পুত্রঃ ১) ইফতেখার আহমদ চৌধুরী ২) আশফাক আহমদ চৌধুরী ৩) তানভীর আহমদ চৌধুরী ৪) জুবের আহমদ চৌধুরী ৫) নাহাস আহমদ চৌধুরী ও ৬) শাহ্রুখ আহমদ চৌধুরী। তাঁহার দুই কন্যাঃ ১) মমতাজ জাহান চৌধুরী মমতা ও ২) নিশাথ জাহান চৌধুরী নেসু।
আবুল মুবাশ্বর চৌধুরীর তৃতীয় কন্যা খোদেজা খাতুন চৌধুরী ও খন্দকার আমির উদ্দিন আহমদের (আলাপুর, গহরপুর) পাঁচ পুত্রঃ ১) খন্দকার অজিহ উদ্দিন আহমদ (মৃত্যুঃ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ) ২) খন্দকার আলাউদ্দিন আহমদ ৩) খন্দকার মইন উদ্দিন আহমদ ৪) খন্দকার নাসির উদ্দিন আহমদ ও ৫) খন্দকার সামসুউদ্দিন আহমদ। তাঁদের তিন কন্যাঃ ১) আছিয়া খাতুন জজে- খন্দকার ইসলাহ উদ্দিন সাং আলাপুর, গহরপুর ২) সালেহা খাতুন জজে- আবু নছর মছরতুল হক চৌধুরী সাং ফুলবাড়ি থানাঃ গোলাপগঞ্জ ও ৩) ফাতেমা খাতুন জজে- দেওয়ান আব্দুল হামিদ চৌধুরী গ্রামঃ শতক পরগনাঃ দিনারপুর থানাঃ নবীগঞ্জ। 
খন্দকার অজিহ উদ্দিনের চার পুত্র ১) খন্দকার ছিরাজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক পরিচালক কসকো শিপিং, সাবেক পরিচালক ওয়ান ব্যাংক, সাবেক প্রেসিডেন্ট, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম। তিনি ২০২১ সালের জুলাই মাসে পচাশি বছর বয়সে চট্টগ্রামে মারা যান এবং সিলেটে হজরত শাহজালালের(রঃ) দরগায় চিরশায়িত হন। ২) খন্দকার করিম উদ্দিন আহমদ এডভোকেট, সিলেট। ৩) খন্দকার নাজিম উদ্দিন আহমদ সাবেক কর্মকর্তা ইসপাহানী শিপিং ৪) খন্দকার ফারুক উদ্দিন আহমদ বি এস সি ইঞ্জিনিয়ার, সাবেক এমডি ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি। খন্দকার অজিহ উদ্দিনের চার কন্যাঃ ১) ফখরে জাহান বেগম স্বামী লুতফুর রহমান জায়গিরদার এডভোকেট ২) তৈয়বা খাতুন স্বামী- সৈয়দ সামসুল আলম ৩) রফাতুজ জাহান বেগম আনজুমন স্বামী- আব্দুর রহিম চৌধুরী মোহাম্মদ জাহান বেগম মাহমুদা স্বামী- ফরিদ আহমদ চৌধুরী দক্ষিণভাগ।
সুত্রঃ খন্দকার করিম উদ্দিন আহমদ এডভোকেট ফোনঃ ০১৭১১৪৬৯৬৪৬ আব্দুল কাদির হারুন ফোনঃ ০১৭১৫২৬০৩৫৬     
মোহাম্মদ মোজম্মিল চৌধুরী
মোহাম্মদ মোজম্মিল চৌধুরী নিঃসন্তান ছিলেন। 
আবুল বসর, আবুল মুবাশ্বর ও মোহাম্মদ মোজম্মিল এই তিন ভাইয়েরই পুরুষ বংশধর না থাকায় এই তিন শাখাও দাউদপুরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই চার ভাইয়ের মধ্যে শুধুমাত্র মোহাম্মদ মোফাজ্জল  চৌধুরীর বংশধারা  আজও পূর্ব চৌধুরীবাড়িতে টিকে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন