পটভূমি:
বাংলাদেশের ষড়ঋতুর আবর্তনে যে বিপুল সৌন্দর্য্য এবং রূপ মাধুর্য্যের আবির্ভাব হয় তাহা
প্রতিটি ঋতুতে ঋতুতে আপন আপন মহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠে। এই সৌন্দর্য্য ও বৈচিত্রের যে
ভিন্নতা বিভিন্ন ঋতুতে পরিস্ফোট হয় তাহার এক উজ্জ্বল ধারা বিবরণী “ঋতুচক্রে
ইসফাক”। সবঋতুর সব বৈচিত্র, সব ঐতিহ্য সব মরিচিকা আমার মানসে
যেভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, ঠিক সেভাবে তা রেকর্ড করেছি আমার এই
কাব্যে। আমার এই অনুভূতি একান্তই আমার ব্যক্তিগত; কাজেই এই কাব্য়ের নাম
রেখেছি “ঋতুচক্রে ইসফাক”।
-চৌধুরী
ইসফাকুর রহমান কুরায়শী
সূ চী প ত্র
- গ্রীষ্ম-আট : মধুভরা তার বুক
- গ্রীষ্ম-এক : দাবদাহ
- গ্রীষ্ম-এগার : ঈশান কোণে মেঘ জমেছে
- গ্রীষ্ম-চার : সাহসী সৈনিক
- গ্রীষ্ম-ছয় : আম কুড়াতে যাব আমি
- গ্রীষ্ম-তিন : সূর্য এখন দারুণ গরম
- গ্রীষ্ম-তের : পহেলা বৈশাখ
- গ্রীষ্ম-দশ : ভূলিয়া যায় স্নেহ
- গ্রীষ্ম-দুই : হৃদয় মন করিয়া ফেলে কালো
- গ্রীষ্ম-নয় : হাজার মৃত্যু
- গ্রীষ্ম-পাঁচ : হে প্রদীপ্ত অগ্নি
- গ্রীষ্ম-বার : অসুন্দর হাত তুলে
- গ্রীষ্ম-সাত : মধুময় করে মুখ
- বর্ষা-আট : ধ্বংসের বুকে সৃষ্টির উল্লাস
- বর্ষা-এক : মনে পড়ে তার নাম
- বর্ষা-এগার : কলার ভেলা
- বর্ষা-চার : ভিজে বাংলাদেশ
- বর্ষা-চৌদ্দ : নৌকা বাইচে যাবো আমি
- বর্ষা-ছয় : সারা গ্রামখানি জলে ভাসমান
- বর্ষা-তিন : মেঘের হাজার দল
- বর্ষা-তের : রক্ত পিপাসা
- বর্ষা-দশ : জলের বক্ষে গ্রাম
- বর্ষা-দুই : কাঁদো হে আকাশ
- বর্ষা-নয় : ধন্যরে তোর ফোটা
- বর্ষা-পনের : কদম্বফুল
- বর্ষা-পাঁচ : ছোট্ট ঝরনা
- বর্ষা-বার : বিজলী মেয়ে
- বর্ষা-ষোল : মাছ শিকারে যাবো আমি
- বর্ষা-সাত : জীবন গ্রাসী বন্যা সর্বনাশ
- বসন্ত-এক : চৈত-ফাগুনে মেলা বসে
- বসন্ত-চার : প্রেমরসে সিক্ত করে প্রাণ
- বসন্ত-ছয় : প্রেমের যাদুকর
- বসন্ত-তিন : আমি যেন দিশেহারা মাঝি
- বসন্ত-দুই : যৌন তৃষ্ণা তার
- বসন্ত-পাঁচ : যাদুর ঘোড়া চড়ে
- বসন্ত-সাত : দমকা বায়ু নীলে ভাসায় মেঘ
- শরত-এক : কখনো হাসে
- শরত-চার : বর্ষা শেষে
- শরত-ছয় : ধান্য চাষের খেলা
- শরত-তিন : অলসতা হয়ে গেছে শেষ
- শরত-দুই : মেঘে রোদে লুকোচুরি
- শরত-পাঁচ : মন বলে
- শরত-সাত : কাঁচা অঙ্গে রোদের খেলা
- শীত-আট : উত্তরা হাওয়ায় ঢেউ
- শীত-এক : ঘুমে একাকার
- শীত-চার : হিমশীতল রাত
- শীত-ছয় : রবিশস্যে সারাদেশ
- শীত-তিন : রাজকন্যে সন্ধানে আমি
- শীত-দশ : বিশ্ববাসী উঠল জেগে
- শীত-দুই : স্বপ্ন অবয়ব
- শীত-নয় : ঘুম ভাঙ্গে বার বার
- শীত-পাঁচ : জড়ায়ে ধরবে তোমার হাত
- শীত-সাত : সকল কাজ হয় না সারা
- হেমন্ত-এক : আমি চাষী হবো
- হেমন্ত-চার : গাঁয়ের কুড়ে ঘরে ঘরে
- হেমন্ত-তিন : ঋণহীন শান্তির উদার প্রভাত
- হেমন্ত-দুই : বাংলাদেশের পরিতৃপ্ত বুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন