উত্তরের বাড়িতে শাহদাউদ কুরায়শীর দ্বাদশ বংশধর বশির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বাস করতেন। তিনি দুই পুত্র ওয়ায়েস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও লুৎফুল হক চৌধুরী (লতা মিয়া) এবং এক কন্যা বদরুন্নেসা চৌধুরীকে রেখে পরিণত বয়সে ইন্তেকাল করেন।
১.১ ওয়ায়েস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী
তিনি পোষ্টাল সার্ভিসের কর্মরত ছিলেন। তিন পুত্র (ক) ওলিউর রহমান চৌধুরী (লুকু) (খ) অজিউর রহমান চৌধুরী (মিটুু) ও (গ) সুহেলুর রহমান চৌধুরী কে রেখে তিনি মারা যান।
১.২ লুৎফুল হক চৌধুরী (লতা মিয়া)
অল্প বয়সে ভাগ্যের সন্ধানে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানে একজন প্রবাসী রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কয়েক বৎসর আগে যুক্তরাজ্যে তিনি মারা যান। তাঁর দুই ছেলে শামিম ইকবাল চৌধুরী ও সেলিম ইকবাল চৌধুরী সেখানে তাঁর ব্যবসা দেখাশুনা করছেন।
২.০ রশিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী
রশিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ছিলেন দাউদ কুরায়শির দ্বাদশ বংশধর আব্দুল ওয়াসে চৌধুরীর পুত্র। তিনি অনেক দিন দাউদপুর গ্রামের ‘সরপঞ্চ’ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই পদটি পরে পাকিস্থান আমলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তিত হয়। দুই পুত্র ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও ওহিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং একমাত্র কন্যা আছিয়া খাতুনকে রেখে তিনি মারা যান।
২.১ ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী
কলেজে পাঠকালে তিনি পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকুরি লাভ করেন এবং দীর্ঘকাল পুলিশ বিভাগে কাজ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারেন্টনডেন্ট পদ থেকে ১৯৮৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন। কয়েক বৎসর আগে তাঁর মৃত্যু হয় ও দাউদপুরে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর চার পুত্র (১) নওশাদ আহমদ চৌধুরী, (২) ফরহাদ আহমদ চৌধুরী, (৩) পারভেজ আহমদ চৌধুরী এবং (৪) নাঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী সবাই উচ্চ শিক্ষিত। প্রথম পুত্র নওশাদ আহমদ চৌধুরী বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানিতে পারসোনেল ম্যানেজার পদে চাকুরি করেন। তাঁর স্ত্রী নূরজাহান স্কুল শিক্ষিকা। দ্বিতীয় পুত্র ফরহাদ আহমদ চৌধুরী ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আঞ্চলিক প্রধান, রাজশাহী পদে চাকুরি করেন। তৃতীয় পুত্র পারভেজ আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ম্যানেজার, পাবলিক রিলেশন। তাঁর স্ত্রী জিয়াউন্নাহার গ্রিণ ডেল্টা ইনসিওরেন্স কোম্পারিতে ডেপুটি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে চাকুরিরতা। চতুর্থ পুত্র নাঈম আহমদ চৌধুরী গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার। ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর দুই কন্যা: শামশাদ (মিতা) ও মাহমুদা আক্তার। ডাঃ মাহমুদা আক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে ডাক্তারি পেশায় এসিষ্টেন্ট ফর স্লাম ডুয়েলার্স পথশিশু প্রকল্পে কর্মরত।
২.২ ওহিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী
তিনি চট্টগ্রামের ডিভিশনাল কমিশনারের অফিসে দীর্ঘ দিন কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করার পর অবসর গ্রহণ করে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছেন। পরে সিলেট এসে মারা যান। তাঁর পাঁচ পুত্র (১) খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, (২) রাশেদ আহমদ চৌধুরী, (৩) ফুয়াদ আহমদ চৌধুরী এম এস এস/ এম বি এ, বি এস সি লন্ডন সাবেক ডি এম ডি ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, তাঁর পত্নী সানজিদা ফুয়াদ। এই দম্পতির দুই পুত্র ক) সাদমান চৌধুরী আলিফ বি এ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মকর্তা, কমনয়েলথ সেক্রেটারিয়েট, লন্ডন। খ) মাহদিন চৌধুরী আয়ান বিএ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় এবং একমাত্র কন্যা নাজা ফুয়াদ। তাঁরা ২০০৪ সাল হতে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন (৪) সাঈদ আহমদ চৌধুরী ও (৫) নিয়াজ আহমদ চৌধুরী। প্রথম পুত্র খালেদ আহমদ চৌধুরী একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে অফিসার পদে কাজ করেন। দ্বিতীয় পুত্র রাশেদ আহমদ চৌধুরী ও পঞ্চম পুত্র নিয়াজ আহমদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। চতুর্থ পুত্র লন্ডনে বাসরত থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। মেয়ে ফৌজিয়া সুলতানা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ফরিদা সুলতানা মারা গিয়েছেন। বাকী দুই মেয়ে গৃহিণী।
৩.০ শফিক উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও রইস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী
শাহদাউদ কুরায়শীর দ্বাদশ বংশধর আব্দুল ফাত্তাহ চৌধুরীর দুই পুত্র ছিলেন। প্রথম পুত্র শফিক উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বিদেশী জাহাজে কাজ করতেন। এক পুত্র রইস উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে রেখে তিনি মারা যান। রইস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী দাউদপুরের বাইরে স্থায়ীভাবে বাস করেন। দ্বিতীয় পুত্র রফিক উদ্দিন আহমদ চৌধুরী চিরকুমার অবস্থায় মারা যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন