শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নিউটনের গতিসূতের মত বৈজ্ঞানিক সত্য তুমি


নিউটনের গতিসূতের মত বৈজ্ঞানিক সত্য তুমি
আমার স্বপ্নপাখি উড়ে গেল দৃষ্টির ওপারে,
নিঃসীম নীল আকাশে।
তখনই  কালোবৈশাখী এক বজ্র-তুফান এলো,  
হৃদয়ের আশে পাশে।
আমার ডার্লিং
 এক কৃষ্ণচূড়ায় অবিশ্রান্ত তুষারপাত,
সে শীতের  শিশির ঝরা এক সুদীর্ঘ্য রাত।
বসন্তে কোকিলের কুহু কুহু করুন ক্রন্দন,
অকালে ঝরে পড়া পুস্পের অতৃপ্ত নয়ন।
তার অশ্রভেজা দুটি চোখ যেন রক্তজবা, 
 হৃদয় চৌম্বক-ক্ষেত্রে এক অদৃশ্য আকর্ষন।
সে এক প্রেমিকের প্রাণের প্রলাপ,
চঞ্চল কণ্ঠের আলুথালু কথা বলা,
অশান্ত হৃদয়ের বিষাক্ত নিঃশ্বাস।
বর্ষায় একপশলা ভারি বর্ষনসে,
 আমার নিরস হৃদয় ভূমিতে।

শিমি, 
আমার প্রাণের আরশি নগরে তুমি,
  ইস্রাফিলের শিঙ্গা ফুঁৎকার।
কিয়ামতের এক ভূমিকম্প হয়ে গেছে,
  যা সিলেটের শতাব্দীর বড় বইছাল, 
তছনছ করে গেছে
হৃদয়ের মাঠ-ঘাট-উপত্যকা ভূমি।
যা ভেঙ্গে দিয়েছে আমার,
হৃদয় দালানের সব ক’টি ভীত।

শিমি, 
তুমি এক সুগভীর দীঘি, প্রশস্ত সাগর,
আমার হৃদয়ের ঝরে পড়া অশ্রূর।
ওগো তুমি, ওগো তুমি যে আমার,
কখনো অট্টহাস্যে ফেটে পড়া আমি,
পরক্ষণে জুড়ে দেয়া গভীর ক্রন্দন।
কখনোবা চীৎকার, কখনোবা বিড়বিড়।

শিমি,
এমনি এক পাগলা হৃদয়ের পাগলামি তুমি,
অশান্ত প্রাণের  প্রলাপ তুমি,
জগত যখন নিদমহলে, রাতের নিরব অন্ধকার,
এমন সময় দাওগো তুমি, আমার পরানে ঝংকার।
তুমি এক ব্যদনার্থ হৃদয়ের করুন হাহাকার।
আসলে তুমি,
 নিশা-রাতে ঝলকে ঝলকে জ্বলা-জোনাকী,
চিরঅন্ধ মহাকবি হোমারের দৃষ্টিশক্তি।
সেই মহাশক্তি, 
যে একদিন দেখেছিল সারাটা প্রাচীন গ্রীক,
 গ্রীসের শত সহস্র দ্বীপমালা,
তারা-ঝলমলে স্বাধীন নগর রাষ্ট্র,
এথেন্স, স্পার্টা, থেবেস, ট্রয়, মেসিডন,
প্রাচীন পৃথিবীর জ্ঞান-নক্ষত্র
প্লেটো, এরিস্টেটল, সক্রেটিস, 
টলেমি, হিরোডোরাস।
রানী অলিম্পিয়ার সাথে দেবতা জিউসের কামকেলী,
দেবপুত্র আলেকজান্ডারের জন্ম।
এবং পরতে পরতে মেশা অজস্র উপাখ্যান।
গ্রিক সুন্দরী মিসরের রানী ক্লিওপেট্রা,
যিনি দুশমনের প্রতি ছুড়ে দিতেন
তার রূপের অগ্নিবান।
 যার জ্বলন্ত রূপের আগুনে, 
শত্রুরা ধাবমান হত, পতঙ্গের মত
  এসে পুড়ে মরতো তার রূপাগ্নির ফাঁদে।
তা সব নিছক কোন গল্প নয়,
রসালো অথচ সত্য কাহিনী।
তুমি একঝাক সোনালী আলোর বন্যা
নিভে আসা নয়নে আমার।
তুমি আমার সুদীর্ঘ্য স্বপন,
নিশাচর পাখি এক হৃদয়ের ডালে।

আমার যৌবনের উদ্যম গতিতে
নিউটনের গতিসূত্রের মত
চিরসত্য চিরবাস্তব তুমি।
কিশোর কবি সুকান্তের
 উলঙ্গ এক নিঃস্ব ছেলের প্রাণে
 কন্কনে শীতের ভোরে
উত্তাপ প্রদানরত
কোন এক অগ্নিকুন্ড তুমি,
তুমি এক জ্বলন্ত মশালের কেরোসিন।
১০
শিমি,
তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি, 
অনেক জেনেছি,  অনেক শিখেছি,
যা ফুরাবে না কোনদিন।
আমি এক অবৈতনিক ছাত্র তোমার,
কেমনে শুধিবো ঋন।

তুমি আমাকে পন্ডিত করেছ,
লেখক করেছ,
 দিয়েছ ডেলে এক সমুদ্র  জ্ঞান। 
তোমারি জন্য আমি আজ কবি,
লিখেছি এত গল্প, কবিতা ও গান।

রচনাকাল ঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন