ওগো বিদ্রোহী,
ওগো
নজরুল, ওগো
কর্মবীর,
এসো তুমি প্রলয়ের বেশে,
এই চিরসবুজের দেশে,
শিখাতে উন্নত করিতে জাতির শির।
তুমি মহাবিদ্রোহে ছুটে পড়া ভয়ঙ্কর তির,
তুমি এসো ধার তরবারি নিয়ে,
নবসৃষ্টির হুংকার দিয়ে,
জমে উঠা অন্যায়ের রচিতে সমাধির।
পৃথিবীর পৃষ্টদেশে জমেছে যত অন্ধকার,
মশাল জ্বেলে দাও করে,
আলোকে উজ্জল তারে,
গর্জে উঠুক মহাবিশ্বে তোমার হুংকার।
সত্যের বাঁশি যত আছে মহাবিশ্বে,
সংগ্রামের গান গেয়ে গেয়ে,
রক্তিম সাগরে তরী বেয়ে,
বীনা সব বাজুক তুর্যে,
ইতি
হোক বিদ্বেষ ঈর্ষে।
চারপাশে ক্ষণে ক্ষণে ধ্বনিত হোক
সাইরেনে,
বাংলার সন্তানেরা জেগেছে আবার,
পদেপদে বন্ধন কতদিন রবে আর,
হবে নাকি বিধ্বস্ত ইহা গণ-বিস্ফোরণে।
চাতক নয়ন মেলে চেয়ে দেখি সুদূরের পানে,
আসিবে তোমার সেই বিদ্রোহের সুর,
আনিবে বাংলার মাঠে বসন্তের ভোর,
বাংলার মাঠঘাট উঠিবে নেচে বিজয়ীর গানে
গানে।
একহাতে বাঁকা বাশের বাঁশরী অপর হাতে
রণতুর্য,
বিজয়ের আনিবে সুর,
কুসংস্কার করে দূর,
নবজন্ম লভিবে পৃথিবী,
বহিবে
তারুণ্য বীর্য্য।
কবি লেখক ব্লগার ও পূবালী ব্যাংকার ইসফাক কুরেশী
রচনাকালঃ আমার হাইস্কুল জীবন(১৯৭৮-৮০ খ্রিস্টাব্দ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন