সূর্যের উদয়ে সেদিন বাংলার রিক্ত
কাব্যবনে,
একপাখি গেয়েছিল গান নিরলে আপন মনে।
সেই সে গানের তানে বনেবনে হয়ে
প্রতিধ্বনি,
বাজিল মধুর সুর,
নাচায়ে কাঁপায়ে সারা বিশ্ববনানী।
সেই সে শীতল সুরে কেঁপেছিল বাংলার আকাশ,
সর্বহারা কাব্যপাখি পেয়েছিল বিশুদ্ধ
বাতাস।
পেয়েছিল কংকালদেহে চেতনার সুপ্রদীপ্ত
প্রাণ,
শূন্য বঙ্গকোলে পূর্ণচাঁদ ঈশ্বর করিলেন
দান।
যে কুকিল গাহিল গান, তার তানে জগত সভায়,
দুঃখিনী বাংলা ভাষা সগৌরবে পেয়ে গেল ঠায়।
পৃথিবীর বিশাল প্রান্তরে কে জানিত
বাংলার পরিচয়,
বঙ্গোপসাগর তীরে রূপসী এক ভাষা আছে
তুচ্ছ তাহা নয়।
রানির আসনে বাংলা, বসিলো কার দানে,
বাংলাকে চিনিলো বিশ্ব, বলো কার গানে?
সেইপাখি কেউ নয়,
আমাদেরই
একজন, কবিগুরু
রবি,
আমাদের হৃদয়দেশে,
আঁকা
আছে, তার
এক প্রাণময় ছবি।
রচনাকাল ঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ,
মোগলাবাজার আর আর হাইস্কুল জীবন, সিলেট
রচনাকাল ঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ,
মোগলাবাজার আর আর হাইস্কুল জীবন, সিলেট
রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করা অসাধারণ কবিতা!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জানাই। আপনাদের দোয়া কামনা করি।
মুছুন