১
ক্ষুধার্ত মশার
পাল ছুটে আসে বর্ষার জলে ভেসে ভেসে,
পৃথিবীর অসহায়
মানুষের দেশে, একেবারে মৃত্যুর বেশে।
২
কচুবনে মশারা সব, উড়া উড়ি করে,
সুযোগ মত ঢুকে পড়ে, গাঁয়ের কুঁড়েঘরে।
রক্তের সন্ধানে দিবানিশী করে ভন্ ভন্,
ঝাঁকে ঝাঁকে মানব অঙ্গে করে আক্রমন।
৩
মশারা নিয়ে আসে, কালাজ্বর, ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া,
বর্ষার ঘোলাজলে আসে সাতরিয়া।
মানবদেহে বসায় তাদের, যন্ত্রণার হুল,
রক্তখায়,
রোগ
ছড়ায়, হয়না নির্মুল।
৪
ফোলে ফোলে জ্বলে উঠে নরম চামড়াখানি,
নানা জাতের মশার কামড়ে, নানান চুলকানি।
গরীবের ঘুম, রাক্ষসেরা, হারাম করে রাতে,
এই মশারা বাস করে, আমজনতার সাথে।
৫
জলেতে জনম তার,
যৌবনে
আচমকা উড়ে আসে,
লোকালয়ে রক্তের
খোঁজে, মানুষের আশে পাশে।
ওদের সন্ধান মেলে মাটে ঘাটে গৃহে-বারান্দায়,
সবখানে উড়ে ওরা জনতার রক্ত পিপাসায়।
৬
ঘাসে ঘাসে দীঘির জলে শত চিনা জোঁক,
ঘাসে ঘাসে দীঘির জলে শত চিনা জোঁক,
রক্তের খোঁজে মেলে, চোখ-কান-দাতহীন মুখ।
অজান্তে বেয়ে
উঠে, রক্ত চোষা হয়ে গেলে শেষ,
মাটিতে ঝরে
পড়ে হয় নিরুদ্দেশ।
মরণ কামড় হয়না টাহর, না দেখিলে তারে,
আচমকা কাপড় ভিজে রক্ত পড়ে ঝরে।
৭
বর্ষাকালে জলে-স্থলে, জোঁকরা তেড়ে আসে,
হাওয়ায় উড়ে
মাতাল মশা ছুটে লোকের কাছে।
মশা-জোঁকের
অত্যাচারে বাঁচা ভীষণ দায়,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন