বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

হেমন্ত-এক : আমি চাষী হবো



হেমন্ত-একঃ আমি চাষি হবো

ঐ যে দূরে ধানের ক্ষেতে হচ্ছে কোলাহল,
কাস্তে দিয়ে কাটছে চাষি হেমন্তেরই ফল।
মাথা নূয়ে কোমর বেঁধে গাইছে সারিগান,
হেমন্তের ধান্যক্ষেতে বইছে খুশীর বান।

বাদাই চাষি, লালই চাষি, হাজার চাষির দল,
কাটছে ধান, গাইছে গান, করছে কোলাহল।
ধানের ছড়া হলুদ হয়ে ছড়ায় সোনার আলো,
ধান্যকাটা দেখতে আমার লাগে দারুণ ভালো।

আমার বড় ইচ্ছে করে কাটতে ধানের ছড়া,
হেমন্তের নরম রোদে সোনার ধানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
বাবা আমায় বারণ করেন, ওসব চাষির কাজ,
সম্মান আমার ধূলোয় যাবেধরলে ওদের সাজ।
 
বাবা আমার ভুলে গেছেন, আমি গাঁয়ের ছেলে,
হালচাষের করবো খেলা একটু সুযোগ পেলে।
আমি কিন্তু হবো একদিন, পচার বাবার মতো,
সারাটা দিন লাঙ্গলে চাষ, করবো অবিরত।

শীষ দিয়ে বলদ দু’টো করবো মাঠে তাড়া,
চাষির দলে গাঁয়ের মাঠে হবো আত্মহারা।
বাবা তুমি জমির মালিক, মানে জমিদার,
আমি হবো গাঁয়ের চাষা, চাইনা কিছু আর।

শত শত মানুষ যেথায় করছে চাষের কাজ,
আমি সেথায় কৃষক হবো, নেই রে কোন লাজ।
আর কর না বারণ আমায়, আমি চাষি হবো,
লাঙ্গল-জোয়াল কাঁধে নিয়ে ধানের মাঠে রবো।

চিত্রঃ কবি চৌধুরী ইসফাকুর রহমান কুরেশী
রচনাকালঃ ১৯৮০ সাল হতে ১৯৮৫ সালের কোন একদিন
রচনাস্থানঃ দাউদপুর, পূর্ব-চৌধুরী বাড়ি, সিলেট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন