হেমন্ত কাল
ঐ যে দূরে ধানের
ক্ষেতে হচ্ছে কোলাহল,
কাস্তে দিয়ে কাটছে
চাষী হেমন্তেরই ফল।
মাথা নূয়ে কোমর
বেঁধে গাইছে সারিগান,
হেমন্তের ধান্যক্ষেতে বইছে খুশীর বান।
বাদাই চাষী,
লালই
চাষী, হাজার চাষীর দল,
কাটছে ধান,
গাইছে
গান, করছে কোলাহল।
ধানের ছড়া হলুদ
হয়ে ছড়ায় সোনার আলো,
ধান্যকাটা দেখতে
আমার লাগে দারুন ভালো।
আমার বড় ইচ্ছে
করে কাটতে ধানের ছড়া,
হেমন্তের নরম
রোদে সোনার ধানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
আব্বা আমায় বারণ
করেন, ওসব চাষীর কাজ,
সম্মান আমার যাবে ধূলায়, ধরলে ওদের সাজ।
তিনি হয়তো ভুলে
গেছেন আমি গাঁয়ের ছেলে,
হালচাষের করবো
খেলা একটু সুযোগ পেলে।
আমি কিন্তু হবো
একদিন পচার বাবার মতো,
সারাটা দিন
লাঙ্গলে চাষ করবো অবিরত।
শীষ দিয়ে বলদ
দু’টো করবো মাঠে তাড়া,
চাষীর দলে
গাঁয়ের মাঠে হবো আত্মহারা।
বাবা তুমি জমির
মালিক, মানে জমিদার,
আমি হবো গাঁয়ের চাষা, চাইনা কিছু আর।
শত শত মানুষ
যেথায় করছে চাষের কাজ,
আমিও কৃষক হবো, নেই কোনো মোর লাজ।
আর কর না বারণ
আমায়, আমি চাষী হবো,
লাঙ্গল-জোয়াল
কাঁধে নিয়ে ধানের মাঠে রবো।
রচনাকালঃ ১৯৮০ সাল হতে ১৯৮৫ সালের কোন দিন
রচনাস্থানঃ দাউদপুর, পূর্ব-চৌধুরী বাড়ি, সিলেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন