মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

তৃতীয়বার যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা- সাউথ ক্যারোলিনা, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস সফর পর্ব- তিন

 

তৃতীয়বার যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা- সাউথ ক্যারোলিনা, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস সফর    পর্ব- তিন

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ দিবসঃ   

২৪ জুন ২০১৭ সাল। ঘুম হতে উঠে সেভ করি। আমেরিকার গ্রীন কার্ড ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হতে যাকিছু প্রয়োজন আল্লাহ পাকের অপার মেহেরবানীতে সবই আমাদের হাতের মুঠোয় এসে গেছে। একজন ভুক্তভোগী বললেন যে সোনার হরিনের পিছনে আমরা বছরের পর বছর ছুটাছুটি করেছি আপনারা তা বিনা কষ্টে কোন খরচ ছাড়াই পেয়ে গেলেন। আমি বলি, সবই করুনাময়ের অপার অনুগ্রহ, এজন্য তাকে বেশুমার শোকরিয়া জানাই।

আমেরিকা আধুনিক সভ্যতার পীটস্থান। ধনসম্পদে, জ্ঞানে বিজ্ঞানে, উন্নয়নে আধুনিকায়নে বিশ্বের একটি শ্রেষ্ট দেশ। এই সুন্দর, শান্ত ও সুশৃংখল দেশটি ছাড়তে কার মন চায়। অথচ বাস্তবতা হল আমরা আবার ফিরছি জন্মভূমি বাংলাদেশে। চাইলেও আমরা আপাততঃ থেকে যেতে পারছিনা আমেরিকায়।

সাউথ ক্যারোলিনার অনিন্দ্যসুন্দর বাসার বাগানের ফটো তুলি। গোলাপ, গন্ধরাজ, গাঁদা ইত্যাদি চৌদ্দ জাতের ফুলগাছে বসেছে কুসুমের মেলা। সবুজ ঘাসের গালিচায় কিছুক্ষন খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি করি।

চব্বিশ ঘন্টা আদ্রতা ও শীতোতাপ নিয়ন্ত্রিত বাসাটিতে চারদিন পাঁচ রাত অবস্থান করি। মেঝভাই জামিল চৌধুরী ও ভাবীর আথিতেয়তা ও সেবাযত্নে খুব আনন্দে কেটে গেল চারটি দিন। বিদায়বেলা আসন্ন। মনখারাপ সবার। বিকাল ৫টায় বের হলাম। তাইবা গাড়ি চালক। যাত্রি আতিফ, মেঝভাই জামিল চৌধুরী ও আমরা তিনজন। সার্লেট বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পার হলাম। আমাদের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রলো তিন জোড়া চোখ। দৃষ্টিসীমা পার না হওয়া পর্যন্ত তাইবা, আতিফ ও মেঝভাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। জানিনা, দেখা হবে আবার কবে।

রাত ১০টা ৩০ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইনের উড়ালযানটি যাত্রা শুরু করে। বিদায় আমেরিকা, বিদায় সাউথ ক্যারোলিনা।

পরদিন লন্ডন সময় সকাল ১০টায় আমরা London Hethrow International Airport  এ অবতরণ করি।

আবার স্বাগতম লন্ডনঃ

২৫ জুন ২০১৭ সাল। সার্লেট হতে রাত ১০টায় আমেরিকান এয়ার লাইনের উড়ালযানটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়। হিথ্রো হতে আমরা ভূল গেট দিয়ে বের হই। অন্য একটি গেটে আমার বড়ভাই তাহমিদ চৌধুরী গাড়ি নিয়ে আমাদের অপেক্ষায় আছেন। ঐ দিনটি ছিল ঈদুল ফিতর। ভাই ঈদের নামাজ না পড়েই আমাদেরকে নিতে আসেন। একজন ভদ্রলোকের মোবাইলে ফোন করে তাকে আমাদের অবস্থান জানাই। তিনি কয়েক মাইল পথ ঘুরে এসে আমাদেরকে বের করেন এবং দুই ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে পূর্বলন্ডনে তাদের বাসায় নিয়ে যান।

বহু বছর পর এই প্রথম আমাদের ঈদের জামাত মিস হলো। তবে এই লন্ডনে ঈদের আনন্দের কোন কমতি ছিলনা। এখানে ঈদ ও আমাদের আগমন উপলক্ষে নতুন জামাকাপড় পরে অনেক আত্মীয়স্বজন জমায়েত হন। ভাগনা, ভাগ্নি, ভাতিজা, ভাতিজী, নিপা, আফজল, নার্গিস ও নাদিরা সহ অনেক আত্মীয় স্বপরিবারে আসেন। ভাবী ও নওসীন রাতজেগে নানাপদের মজাদার নাস্তা তৈরী করেন। গল্পগোজব, হাসি-টাট্টা ও আনন্দবন্যায় লন্ডনের ১৮ঘন্টার সুদীর্ঘ্য দিনটি পার হয়ে যায়।

রাতে ফুলবাড়ির ফুফুতো বোন রুনু আপার মেয়ে তার চারকন্যা ও স্বামীকে নিয়ে আসে। এই চার নাতীনের সাথে এটাই আমার প্রথম দেখা।

২৬ জুন ২০১৭ সাল রোজ সোমবার। সকালে বীম ভেলি নেচারেল পার্কে নিয়মমাফিক চল্লিশ মিনিট প্রাতঃভ্রমন করি। ঐদিন ১০টায় আমরা লন্ডন শহর দেখতে বের হই। প্রাচীন শহর লন্ডন মানব সভ্যতার এক পীঠস্থান। এই শহর এক সময় বিশ্বের ছয়টি মহাদেশে বিস্তৃত পৃথিবীর বৃহত্তম বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এই শহরটি এখন ইংল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী, সেইসাথে যুক্তরাজ্যেরও রাজধানী। লন্ডনের সেই সোনালী দিন আজ আর নেই। যে সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যের অস্ত যেতনা, তা আজ বৃটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে এসে সংকুচিত হয়েছে। আরও ভাঙ্গনের সুর বাজছে। ভেঙে যেতে পারে এমন প্রথম দশটি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নাম রয়েছে। কিছুদিন আগে সামান্য ভোটের ব্যবধানে স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যে রয়ে গেল। যদি গনভোটে স্কটল্যান্ড সরে যেত তাহলে অন্য রাজ্যগুলোও তাসের ঘরের মত ভেঙে যেত। আমরা আরেকটা সোভিয়েত ইউনিয়ন কিংবা যুগাশ্লাভিয়ার পতন প্রত্যক্ষ করতাম। যুক্তরাজ্য নামক প্রভাবশালী রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব চিরদিনের জন্য বিলীন হয়ে যেত।

লন্ডন পৃথিবীর বড় ও আদর্শ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। নগরটির আয়তন ১৭৩৮ বর্গ মাইল এবং জনসংখ্যা ৯৮ লক্ষ। এই প্রথম একজন পাকিস্থানী মুসলিম সাদেক খান শহরটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। লন্ডন প্রবাসী তৃতীয় প্রজন্মের এই এসিয়ান লেবার পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা এবং তিন প্রজন্মে বদলে যাওয়া একজন আধুনিক বৃটিশ মুসলিম।

ভাবী গাড়িটি নিয়ে থামান Canarioff Square. এই স্কয়ারে অপূর্ব সুন্দর ঝর্না, পানির ফোয়ারা বইছে মানবসৃষ্ট জলপ্রপাতে। এই ফোয়ারা ও ঝর্নার চারপাশে ঘুরি, ফিরি, বসি ও ছবি তুলি। ঢাকার মতিঝিল, নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের মত এখানে যুক্তরাজ্যের সব বড় বড় কর্পোরেট অফিসের অবস্থান। অসংখ্য নীল গ্লাসঘেরা পরিচ্ছন্ন ভবন সৌরকিরনে ঝলমল করছে। মতিঝিলের মত এখানে যানবাহনের বিশৃংখলা ও দুষন নেই। এখানে একটি সুন্দর বহুতল ভবনে আমার প্রিয় ভাতিজা আজফারের অফিস। এখানে বড়বড় রাস্থা, ফাঁকা জায়গা ও পার্কিং স্পেস রেখেই ব্যাংক, বীমা ও কর্পোরেট প্রতিস্টানগুলোর সুউচ্চ স্টিল ও কাচের ভবনমালা গড়ে উঠেছে। কোথায়ও জ্যাম নেই, সর্বত্র শৃংখলার রাজত্ব। গাড়ির হর্ন, কালো ধূয়া কিছুই নেই যা মানুষকে বিরক্ত করতে পারে। এ এক নিরবতার ভিতর গড়ে উঠা ব্যস্ত ও কর্মচঞ্চল স্কাইলাইন বিস্তৃত উপনগরী।          

Canarioff Square হতে সিড়ি বেয়ে নিচে একটি ভূতল নগরে যাই। এই ভূতল নগরে একটি নদী বয়ে গেছে। সেই নদীর তীরে তীরে গড়ে উঠেছে হোটেল, বার, সেলুন, বিউটি পার্লার, দোকান ও ব্যবসা কেন্দ্র। নদীটির উপর সেতুও আছে। খুব সম্ভব টেমস হতে আসা মানবসৃষ্ট কোন উপনদী যাহা এই সুন্দর জল সরোবর। আমাদের কার ১৯০৮ সালে টেমসের তলদেশে নির্মিত বিশ্বের প্রথম ট্যানেল দিয়ে নদী অতিক্রম করি। টেমসের কাদাস্থরের অনেক নিচ দিয়ে ট্যানেল্টি নির্মিত। আমরা গাড়ি পার্কিং করে টাওয়ার ব্রিজে আরহন করি। সেতুর মধ্যবর্তী স্পেন যান্ত্রিক উপায়ে উঠানো যায়। ব্রিজটির দুইপারের কাছাকাছি দুদিকে দুটি বড় বড় টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ার দুটি বহুতল বিশিষ্ট। ব্রিজ হতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামি এবং টেমসের সুন্দর ভাবে বাঁধানো পার দিয়ে আমরা হাঁটতে থাকি। আকাশ প্রদীপ তখনও কড়া মিঠে তাপ বর্ষন করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে আগত নানা বর্ন ও পোষাকের লোকজন টেমসের পারে তখন আনন্দমত্ত ছিল। আমরাও নদীর পারে টাওয়ার ব্রিজ সামনে রেখে অনেক ফটো উঠাই। সামনে টেমস নদী। আমাদের সুরমার চেয়ে খানিক বড় হবে। আসলে টেমস নদী বিস্তারে সুরমা নয়, কুশিয়ারার মত হবে। নদীটির বুক চিরে নীল নয় বরং ঘোলা জল বইছে। নদীতে বেশকিছু জাহাজ, ইঞ্জিন বোট চলাচল করছে। ভাবী বললেন টেমসের পার দিয়ে সারাদিন হাটলেও শহর শেষ হবেনা। বাঁধাই করা পার ঘেষে সুন্দর হাঁটার রাস্থা, বসার জায়গা, বানিজ্য কেন্দ্র, সুরম্য ইমারতমালা, বাগান, ভাস্কর্য্য, নানা ডিজাইনের বার, টেকওয়ে ও দোকানের ছড়াছড়ি।

লন্ডন শহরে প্রতিবছর প্রায় চারকোটি পর্যটক আসেন। এই পর্যটকরা গরীব দেশের ধনী লোকজন, সেইসাথে ধনী দেশের পর্যটকের ছড়াছড়ি তো আছেই। ক্রেতারা ভিনদেশী ধনী লোকজন, তাই ব্যবসাও বেশ রমরমা অবস্থায় রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটন নগরীর মত লন্ডনেও ট্যুরিস্ট বাসের ছড়াছড়ি। দুতলা বাস। ছাদে সিট বসানো। পিছনে সেড থাকলেও সামনা খোলা। ছাদের সিটে বসে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে পর্যটকরা ইতিহাস ও বিবরন শুনে শুনে এই ঐতিহাসিক নগরী লন্ডনের রূপ সুধা পান করছেন। সাদা, কালো, হলুদ, বাদামী নানা বর্নের মানুষ সারাটা শহরময় পায়চারী করে বেড়াচ্ছেন।

বিশ্বের গনতন্ত্রের সুতিকাগার বৃটিশ পার্লামেন্ট। পঞ্চদশ শতকের স্থাপত্যের নিদর্শন টেমস পারের পার্লামেন্ট ভবন দেখে দুনয়ন ধন্য হল। পাশে কয়েক শতাব্দী আগে স্থাপিত ঘড়ি বিগবেন টক টক করে সময় জানান দিচ্ছে। কাছেই ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি দেখা হল। সুপ্রাচীন সেন্ট থমাস হাসপাতাল চোখে পড়লো। সামনে টেমসের পারে সুউচ্চ লন্ডন আই। লন্ডন আই তে আরোহন করে দিগন্ত বিস্তৃত লন্ডন শহরের পাঁচ ছয় বর্গ মাইল এলাকা দেখা যায়। আমাদের গাড়ি ওয়াটার ব্রিজ অতিক্রম করল। আজা পুরাতন লন্ডনের Coven Garden গমন করি। আমাদের দেশের পুরান শহরের মত এখানে কোন ঘিঞ্জি বা দুষন নেই। বরং এখানে বাড়িঘর খুব দামী এবং ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষ্যবাহী।

এবার আসি বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুদ্ধে বৃটিশদের বিজয়ের স্মৃতিস্থম্ব এখানে রয়েছে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্পেনের রানী ইসাবেলা ইউরোপ হতে মুসলমানদের বিতারিত করে প্রবল শক্তিশালী হয়ে যান। ইসাবেলার নৌ-সাহায্য নিয়ে কলম্বাস আমেরিকা আবিস্কার করেন। উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকায় স্পেনের উপনিবেশ স্থাপিত হয়। স্পেনের নৌবাহিনী তখন ইউরোপে অপ্রতিহত ছিল। সুদূর ডেনমার্ক পর্যন্ত স্পেন সাম্রাজ্য প্রসারিত হয়। প্রবল নৌ-শক্তি স্পেনিশ আর্মাডা তখন ইংল্যান্ড দখল করতে অগ্রসর হয়। বৃটেনের সেই দুর্দিনে বৃটিশ সেনাপতি জেনারেল নিলসনের সাহসী ও নৌপুন্যময় রননেতৃত্বে বৃটিশরা জয়লাভ করে। সেনাপতি নিলসন স্পেনিশ আর্মাডাকে সম্পূর্নরূপে বিধ্বস্থ করে দেন। এই যুদ্ধের বিজয়ের পর ইউরোপের সেরা নৌশক্তি হিসাবে বৃটিশদের উত্থান ঘটে। এই মনুমেন্টের সর্বোচ্চ শিখরে আছে জেনারেল নিলসনের উর্দিপরা ভাস্কর্য্য।

১৮৫৭ সালে ভারতবাসীর প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ দমনকারী সেনাপতি মেজর জেনারেল স্যার হেনরির ভাস্কর্য্যও দেখতে পেলাম। এই লোকটি ভারতবাসীর কাছে ঘৃনার পাত্র হলেও এখানে একজন সম্মানিত দেশপ্রেমিক। আর অনেক যুদ্ধ বিজেতা সেনাপতির মুর্তি নিজনিজ মর্যাদানুসারে বড়-ছোট, উচ্চ-নিচে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি মূর্তির তলায় স্মৃতিফলকে ইতিহাস লিখা আছে। বৃটেনের বিখ্যাত King 4th Joerge এর মূর্তিটিও দেখা হয়।

এবার ট্রাফালগার স্কয়ারের পিছনের জাদুঘরে লাইন ধরে প্রবেশ করি। বৃটিশ ইতিহাসের এত স্মারক চিহ্ন এখানে রয়েছে যে টা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই হয়ে যাবে। বিখ্যাত সব যুদ্ধ বিজয়ী সেনাপতি ও রাজাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাকিংহাম রাজপ্রসাদের সামনের যাই। প্রাসাদের সামনের বড় গেট বন্ধ। গেটের দরজা ফাঁকা গ্রিলের তৈরী। ভিতরে ভবনের সদর দরজার সামনে লাল ইউনিফরম পরা চার জন মোমের মূর্তির দেখা পাই। দেখতে মনে হল এগুলো বুঝি দ্বার রক্ষীদের ভাস্কর্য্য। কিন্তু ভূল ভাঙল যখন দেখি দুটি মূর্তি হাতের বন্ধুক নামিয়ে সামনে মার্চ করে অগ্রসর হচ্ছে এবং অন্য দুটি অনুরূপ মূর্তি এসে ওদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে। আসলে মূর্তিগুলো রানীর জীবন্ত নিরাপত্তা প্রহরী।

আমরা এবার National Art Gallery তে টিকেট কেটে প্রবেশ করি। ট্রাফালগার স্কয়ারের সন্নিকটস্থ এই আর্ট গ্যালারীতে বিগত কয়েক শত বছরের শিল্পীদের আঁকা হাজার হাজার অদ্ভুদ সুন্দর চিত্রকর্ম সাজানো রয়েছে। প্রতিটি শিল্পকর্মে রয়েছে বিভিন্ন যুগের বিখ্যাত সব শিল্পীদের চিন্তা-ভাবনা ও দর্শন। এসব জলরঙ্গ ও তৈলরঙ্গ ছবিগূলোর মধ্যে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঘটনা, গল্প ও ইতিহাস। সপ্তম শতাব্দীরও ছবি দেখতে পেলাম। মানুষের জীবন, সংগ্রাম, যুদ্ধ, অভিজাততন্ত্র, সাধারন মানুষের প্রাত্যহিক জীবন যাত্রা, বিপ্লব, বিভিন্ন যুগের ফাঁসি চিত্র, রাজারাজড়া, প্রকৃতি সব এসেছে এসব অমর চিত্রকর্মে। একজন শিল্পপ্রেমিক সারা জীবনও এই শিল্পকর্মগুলো অধ্যয়ন ও গবেষনা করে শেষ করতে পারবেনা। এযেন চিত্রকর্মের এক মহাসাগর যার কোন সীমা পরিসীমা নেই।(চলবে)




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন