বিশ্বমানচিত্রে একটি ছোট্টদেশ, আমার বাংলাদেশ,
পরতে পরতে তার কোটি কোটি মানুষের ভীড়।
সাংঘাতিক লোকভীড়ে আমি,
বাঁধিয়াছি জীবনের নীড়।
চারপাশে ছুটাছুটি, শতশত মানুষ আর মানুষ,
তাঁরা আসছে, জলে ভাসছে, নেই কারো হুশ।
ঠাই নেই, ঠাই নেই, নতুন অতিথির,
স্থান নেই, স্থান নেই, নেই আশ্রয়।
পথপ্রান্তরে নিঃছিদ্র ভীড়,
অকালে মুকুল ঝরে, এই তো অভয়।
ক্ষুধার পালংকে শুয়ে কংকালচার শিশু,
বেড়ে উঠে অবহেলা অনাদরে।
কত কলি ঝরে পড়ে চুপে চুপে,
যাহাদের ভিত্তি নড়বড়ে।
দুপুরে পাপড়ি মেলার হইলে সময়,
দু’বেলা ভাতের খুঁজে ফেলতে হয় ঘাম।
পাংশু বিবশ দেহ নিয়ে রাস্থায়,
চালাতে হয় বাঁচার সংগ্রাম।
যৌবনে রোগশোকের আরাম কেদারায়,
লাল-নীল-হলুদ চিন্তায় দিন বহে যায়।
হতাশার অনলে পুড়ে যৌবন কানন,
ভাবে সবে পালিয়ে যাই ছেড়ে এ জীবন।
কালো সন্ধ্যা দেখার ভাগ্য হয়না সবার,
আগেই সাক্ষাৎ মেলে আজ্রাইল চাচার।
বার্ধক্য লেগে থাকে এইখানে বর্ষে বারমাস,
মানুষের বিষন্ন চোখে অন্ধকার করে বসবাস।
তেজহীন জমাট বরফ আজ, সারা বাংলাদেশ,
দশকোটি বাঙ্গালি জ্বলে পুড়ে হচ্ছে নিঃশেষ।
বাংলাদেশ আজ বুনোহস্থিদের জবর দখলে,
সবার স্থান হবে, একই সমতলে সর্বজন এলে।
রচনাকালঃ কলেজ জীবন (১৯৮১-৮৬ সাল)
কাব্যঃ হৃদয়ে বাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন