বাংলার বাতাস বিষাক্ত আজ দানবের নিঃশ্বাসে,
ক্ষতবিক্ষত বক্ষ-শরীর নেকড়ে পালের থাবায়।
দুষ্ট নরখেকোরা হাঁটে, জনতার চারপাশে,
নখ গেঁথে ছিঁড়ে, শিরা-উপশিরা, রক্তের পিপাসায়।
কি আশ্চর্য! আজো বসে আছে জনতার দল,
অথচ তাদেরই রক্তে অহরহ চলছে হুলিৎসব।
শোষণ দমন নির্যাতনে পৃথিবী আজ নিশ্চল,
সাম্প্রদায়িক খাটাস দেখে দৌড়ে পালায় সব।
আশাহত মানুষ ভাবে সবি তাঁর কপাল লিখন,
অস্ত্র নেয়না তুলে হাতে।
শকুনের বিষাক্ত থাবায় অতিষ্ঠ জীবন,
পৃষ্টে আচর কাটে সকাল সন্ধ্যা রাতে।
পৃষ্টে আচর কাটে সকাল সন্ধ্যা রাতে।
কংকালের ভিতরে সবার বেঁচে আছে প্রাণ,
এই প্রাণে দিতে হবে সূর্যের তেজ।
এই সৌরতেজে গাইতে হবে অগ্নিদীপ্ত গান,
শিকারী বাঘের মত নাড়াতে হবে লেজ।
শ্লোগানে
শ্লোগানে বাংলার বাতাস হবে মুখরিত,
স্বাধীনতার শ্লোগান নয়, সাম্য ও ভাতৃত্বের শ্লোগান।
নির্যাতিত মানুষের বুক ফেটে বের হবে সত্য,
অগ্নেয়গীরির জ্বালামুখে পুড়ে ছাই হবে শয়তান।
রচনাকালঃ কলেজ জীবন (১৯৮১-৮৬), সিলেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন