পুণ্য পবিত্র আমার সিলেটের মাটি,
হাজার বেহেশত্ যেন সাজানো পরিপাটি।
শতশত যুগধারা বয়েছে এখানে,
ইতিহাসে সামান্য লিখা, বাকী সব শয়নে।
শতসহস্র যুগের পর যুগ,
ডুবে গেছে সিন্ধুজলে, বাঁচিবার পায়নি সুযোগ।
ছোট ছোট রাজ্য রাজা, জ্ঞানী মহাজন,
কাব্য কবি, ওলী, দরবেশ, সাধক সজন।
সাক্ষ্যি আজ পুড়াবাড়ী শতশত দিঘী,
অতীতের স্মৃতি হয়ে প্রাণে উঠে জাগি।
গ্রামে গ্রামে মাযার আর সাথে উপখ্যান,
ইতিহাসের মাল-মসলা সাক্ষ্যি প্রমাণ।
ঢাকাদক্ষিণ শ্রী চৈতন্যের প্রদীপ্ত ছবি,
অন্ধকবি আর্জুমন্দ, ভাদেশ্বর রবি।
আরকুম শাহ, শিতালং শাহ, ইব্রাহীম তষ্মা,
পুণ্যভূমির মাঠে মাঠে প্রাণের চেতনা।
বাউল আব্দুল করিমের সুর উঠে দু’তারায়,
ঝিল মিল, ঝিল মিল, করেরে ময়ূর পঙ্কী নায়।
হায়রে পবিত্রভূমি, কে লিখিবে ইতিহাস তোর,
হেরে গেছে সব রত্ম, শূণ্য আজ, বাহির ভিতর।
হেরে গেছে জৈন্তারাজ্য আর পৃথিমপাশা,
লাউড়, ইটা, লংলা আর কই রামপাশা?
কোথায় আজ খাজা ওসমান, সুবিধ নারায়ন,
কোথায় আজ লংলা ইটা রাজ সিংহাসন।
কোথায় আমার রেঙ্গাভূমি কোথায় তাঁর কথা?
রেঙ্গার জমিদারী কই, কোথায় আঁচল পাতা?
সুরমা থেকে কুশিয়ারা, রাজ্য কোথায় আজ,
ইতিহাসে কেন আজ নাইরে চিহ্ন সাজ?
কোথায় আগের মানবতার হাজার বিবরণ,
কোথায় তাদের বলদর্পী সুন্দর সুশাসন।
কোথায় সেই ন্যায় বিচারের সাম্যদন্ড আজ?
কালের গর্বে বিলীন সব, বলতে লাগে লাজ,
লিখিত না হয়ে মোদের, প্রদীপ গেল নিভে,
‘জারদ’ নামটি অবশেষে ভাগ্যলিখন হবে।
কে আছ ভাই, এই মাটিতে রাখবে তোমার হাত,
সন্ধানিবে পূণ্যভূমির হারানো দিন রাত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন