বুকভরা দীর্ঘশ্বাস, এ জীবন, বারুদ শলাকা,
ষড়ঋতু তারি মাঝে,
বারমাস, করে লুকোচুরি।
হতাশার অন্ধকারে জ্বালায় সে, স্বপ্ন ফুলঝুরি,
শতবাঁকে শতাবর্তে, জীবনদী, বহে আঁকাবাঁকা।
জীবন পবনে উড়ে, ঘুড়ি হয়ে, মেলে রঙ্গ পাখা,
নিয়তির সুতা তাঁরে টেনে রাখে মুঠোবন্দী করি।
মনে ফোটা পুস্পকুঁড়ি, কিছু ফোটে, বাকি যায় ঝরি,
জীবন তুখোড় শিল্প, পিকাসোর জলরঙ্গে আঁকা।
জীবন নেশায় ঘোরে, সদা থাকে সুখের আশায়,
সে কবু চায়না শীত,
তরতর, হাড়কাঁপা রাত।
চায়না গ্রীষ্মের জ্বালা, বৈশাখের অগ্নিদাহ হাত,
শীতে সে বসন্ত খোঁজে, গ্রীষ্মে চায়, ভিজিতে বর্ষায়।
জীবন আসলে এক, সাহারার মরু মরিচিকা,
কঠিন সে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে সুখী হয়ে টিকা।
তারিখ: ০১-০১-১৯৮৫ স্থান: দাউদপুর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন