বাংলার স্বাধীনতা
স্বাধীন বাংলাদেশে যে ঘাতক হানবে আঘাত,
প্রাণ দিয়ে রুখবো তার, কালো হানাদার হাত।
শত্র“কে তাড়ায়ে যখন আসবে রূপালি রাত,
ফিরবো ঘরে, নিশ্চিন্তে মুখে তুলে নেবো ভাত।
তিরিশ লক্ষ বাঙ্গালি হাসিমুখে দিয়ে গেল প্রাণ,
রচলো বাংলাদেশ তাজা রক্তে, এ জাতি মহিয়ান।
বাঙ্গালি মৃত্যুহীন, ধ্বংস নেই প্রলয় দিনের আগে,
বাংলাদেশ, আমরা বাংলাদেশী, উঠিয়াছি জাগে।
বিশ্বে যবতক, রবে এ মাটি, রবে তার সন্তান।
স্বাধীনতার সৈনিক হয়ে থাকবে সকল প্রাণ।
প্রয়োজনে এদেশের মাটি হয়ে যাবে ভিয়েতনাম,
প্রতিটি মানুষ বুলেট হবে, অকুতোভয় আফগান।
আমরা সবাই মুক্তিসেনা, গ্রেনেড মেশিনগান,
হাজারে হাজারে রক্ত ঢেলে রাখবো দেশের মান।
বাংলাদেশ, রক্তে রক্তে ফুটেছে লালফুল,
খোদার কছম, এ ফুলে আমরা ফুটাতে দেবনা হুল।
শেষবিন্দু রক্ত দেবো, লাশ হয়ে যাবো মাটির ঘর,
ভাঙতে দেবনা, অনেক রক্তে গড়েছি যখন ঘর।
লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী পরবো কাফন গায়,
এই গ্রহে কোন শক্তি আছে? বাংলাকে গিলে খায়।
যতদিন রবে চন্দ্র সূর্য পৃথিবীর নীলাকাশে,
দুর্মর বাংলা রবে ততোদিন শুকতারা হয়ে ভাসে।
জয় বাংলা, জয় তুমি, বেঁচে থাক অনন্তকাল,
তোমার শত্র“রা সব, নিশ্চিহ্ন হউক চিরকাল।
রচনাকালঃ কলেজ জীবন (১৯৮১-৮৬)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন