কে তুমি? ব্যর্থ প্রেমিক, ডুবন্ত হতাশায়?
তাহলে এসো একবার পাহাড় মন্তনায়,
পার্বত্য পাথারিয়ায়।
পাহাড়ের গা বেয়ে দুগ্ধ ফেনিল জলধারা,
তিন’শ ফুট উপর হতে পড়িতেছে খাড়া।
জংলী পাহাড়ের ভীড়ে, দেখা যায়না আকাশ,
সুদৃশ জলধারা, গান গেয়ে, নামে বারমাস।
শিলায় বাঁধানো সব, সুবিস্তৃত মাটি,
অপরূপ সুসজ্জিত সুন্দরের ঘাটি।
চিরল রবিরশ্মি এসে পড়ে গায়,
সোনার মত চকচক করে সবটায়।
ঝলমল করে উঠে ছোট্ট হৃদের জল,
ভাসে কত শিলা, শিলায় বাঁধানো তল।
ছন্দে ছন্দে জলধারা নামে অবিরত,
জলে তরঙ্গ নাচে, এক ঝাঁক নর্তকীর মত।
পাহাড়ি নহর বহে কলকল সুরে,
এখানে আমার মন সতত গোসল করে।
গরম কিবা ঠান্ডার এইখানে নেই অত্যাচার,
কে যেন সুইচ দিয়ে রেখেছে এয়ারকুলার।
মধুমধু কুয়াশা ভাসে সকাল সন্ধ্যা দুপুর,
জলের শব্দ কানে বাজে প্রিয়ার নূপুর।
শীতল ফেনিল জলে কর তুমি স্নান,
শিলার গায়ে খোদাই কর নিজ নাম।
মনে হবে, নিষ্পাপ শিশু এক তুমি,
একনদী শান্তি যাবে বুক চুমি চুমি।
পূর্ণিমার রাতে চিড়িয়া দল করে জলপান,
জলে নেমে শেয়াল গায় হুক্কাহুয়া গান।
পাহাড়ি কিশোরী রোজ করে সেথা স্নান,
এখানে ছায়ার বুকে মায়া অফুরান।
এখানে পাহাড়ে সবুজ টিয়ার পাল,
পাতায় পাতায় মেলে সুরভীর হাল।
বৃক্ষ ডালে কাঠবিড়ালী লাফালাফি করে,
বানরেরা বনে বনে নির্ভয়ে ঘুরে ফিরে।
এখানে দেখিয়া তুমি বেহেশতের ছবি,
খানিকক্ষণ বন্ধু তুমি হয়ে যাবে কবি।
বসন্তে তরুনেরা কুন্ডজলে আসে,
নিরিবিলি জলপ্রপাত তারুণ্যে হাসে।
এখানে ভালবাসার বিরহী প্রেমিক,
জল ঢেলে বুকাগ্নি নিবায় দৈনিক।
এখানে বনভোজন ও পুণ্যস্নান করে,
সারিগান গেয়ে সব ফিরে যায় ঘরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন