১
গরিব, আমরা গরিব,
আমরা নিঃস্ব অসহায়।
আমরা বাস্তুহারা,
আমরা খামারহারা,
আমাদের জামা নেই গায়।
২
দু’মুঠো ভাতের খোঁজে আমরা ভিড় জমাই,
বিয়ের কমিউনিটি হলে,
হাড্ডি কিংবা বড়লোকের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট,
জুটে যদি ভাগ্য বলে।
এই হলে রোজ রোজ,
হয় কত বিয়ে সাদি উৎসব,
ভূরি ভূরি ভোজ।
৩
তাইতো, শহরের নেড়িকুত্তোগুলোর মত,
থালা হাতে ভিড় জমাই, আমরা শত শত।
৪
আমরা গরিব, আমরা ছোটলোক, অসহ্য সবার,
যেমন অসহ্য বেওয়ারিশ কুকুর, ঢিল খায় বারবার।
আমরা হীন, আমরা কুৎসিত
আমরা রাস্থার নোংরা কুকুর।
কুকুরের মত খাবার সন্ধানী, আমরা ক্ষুধাতুর।
৫
তাইতো, লাঠি হাতে ওরা ছুটে আসে,
আমাদেরে তাড়িয়ে দিতে পৈশাসিক উল্লাসে।
ওদের পাষাণ থাপ্পড়ে কাঁদে ক্ষুধার্ত শিশুগণ,
অবলা নারীর গায়ে ধাক্কা মারে এই পশুগণ।
৬
উদ্যত লাঠি জখম করে ছোট্ট এক শিশু,
উদ্যত লাঠি জখম করে ছোট্ট এক শিশু,
হয় নি সহায় ওর, সারাটা শহরে কিছু।
নেয়নি তুলে কেহ শিশুটিরে মায়াভরা কোলে,
পাষাণরা দেখে সব তামাশার ছলে।
৭
কুকুর, দারুণ ভাগ্যবান উন্নত দুনিয়ায়,
বাংলার নেড়িকুত্তা আমরা, মূল্যহীন হায়।
৮
যাব না আমি আর বিবাহের হলে,
অতি আদরের কা’রো বিয়ে হলে,
চোখের অশ্রু আর বুকের ধিক্কার,
আমৃত্যু রেখে দিলাম হৃদয়ে দুর্বার।
৯
দাম্ভিকের পুনর্জন্ম হউক কুকুরের ঘরে,
দুরন্ত ছেলেরা ঢিল দিক ওদের উপরে।
ফুটপাতে ওরা যেন লাথি খায়, মানুষের পায়ে পায়ে,
খাদ্যের খোঁজে যেন ঘুরে ওরা, মরে গাঁয়ে গাঁয়ে।
১০
দুঃস্থ মানুষের নয়নের জল মুছে দেবো বারবার।
রচনাকালঃ কলেজ জীবন
রেঙ্গা দাউদপুর, দক্ষিণসুরমা, সিলেট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন