হে অসহাবে সুফ্ফা, মহান সাহাবি আবুজর গিফ্ফার,
মানবিক সমাজ গড়বো আমরা, আজ তোমার দরকার।
আমি দারুণ বিপ্লবে ফেটে পড়া একজন শিষ্য তোমার,
বিংশ শতাব্দীর বাংলায় বসে ডাকছি তোমারে আবার।
মানুষের রক্তে মজা খোঁজে আজ আরেক মানুষ,
রক্তচোষে খাদকেরা ফোলায় ভূড়ি বাড়ায় জীবকোষ।
তোমার প্রাণের শত্র“রা আজ দেশে দেশে তৎপর,
হারাম সম্পদে সাঁতার কাটে তাঁরা হারামে বাঁধে ঘর।
মানুষ আজ দুনিয়ার জালে বেঁধেছে শক্ত বাসা,
দিকে দিকে লুন্ঠন করে শরীর করিছে খাসা।
অমানুষ আজ মানুষের ঘামে ডুবছে বিলাস জলে,
যত্ত সব হারাম কারবারে পৃথিবীটা আজ জ্বলে।
ইসলামের ইতিহাসে তুমি শোষণের প্রথম প্রতিবাদ,
শোষকের বিরুদ্ধে রচেছিলে তুমি আসিয়ান বাঁধ।
ধনবাদের প্রতিবাদে তুমি করেছিলে প্রথম মিছিল,
তোমাকে সহ্য করলনা সব দামেস্কের উদ্যত চীল।
বহালে জীবন নদী রুক্ষসুক্ষ মরুর রাধবায়,
রসূলের চিরসাথি পেলে না ঠাঁই তাঁর মদীনায়।
নির্বাসনে পোহালে কাল, কাটালে জীবন,
একাকি মরলে তবু করলে না মিথ্যা বরণ।
একটা উটের দুগ্ধে ভগ্নগৃহে কাটালে ভবকাল,
না খেয়ে, না পরে, কৃচ্ছতায় ছাড়লে না হাল।
রিক্ত মানুষ তাই ঘুরে ফিরে তোমার ঠিকানায়,
দেহ ও মনের স্থায়ী মুক্তির সোনালি আশায়।
তোমার সূর্যদীপ্ত বিপ্লবী রাস্থা ধরে,
ইহকাল ও পরকালে লোক নির্বাণ পেতে পারে।
শৃংখলের জিঞ্জিরে বাঁধা মানুষের প্রাণ,
তোমার বলিষ্ঠ চেতনায় খোঁজে শ্বাসত কল্যাণ।
বিধ্বস্ত মানবতা আজ সত্যের বুকে পদাঘাত,
ভূবন অন্ধকার, চারপাশে অমানিশা রাত।
আল্লাকে ভূলে আজ দুনিয়া ভাবিয়া সব,
করে সবে ন্যায়হীন নীতিহীন জীবন উৎসব।
আমি অপূর্ণ কোন বিপ্লবের সাথি নই ভাই,
মজলুম জনতার সদগতি দেখে যেতে চাই।
শোষণমুক্ত সমাজ গড়বো বুকের রক্ত দিয়া,
পবিত্র কোরান রাখবো তখন শিরে চুমু দিয়া।
পৃথিবীতে সদা তাই তোমারই পদধ্বনি শুনি,
সেই সুরে মানুষের মুক্তির জাল আমি বুনি।
আমার রক্তকণায় চেয়ে দেখি তোমার অবস্থান,
আবুজর গিফ্ফারি বাস করে জুড়ে মোর প্রাণ।
একদিন বের হবে শিষ্য তোমার হাজারে হাজার,
রচিবে মানবমুক্তি, সাম্যবাদের ধারালো তরবার।
রচনাকালঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন