তোমরা যদি আমায় ডেকে বলো, স্বাধীনতার সেনানী কোন জন?
বলব আমি, মুজিব নয়, ভাষানী নয়, ওসমানী সেইজন।
তোমরা যদি বলো, কার কাছে বাংলাদেশের সবচে বেশি ঋণ।
বলব আমি, বঙ্গবীরের দান-সমুদ্র সব তুলনাহীন।
মৃত্যুঞ্জয়ী প্যারেড করে উপড়ালো যে সব গ্লানি,
বাংলামায়ের দামাল ছেলে সুরমাভেলির ওসমানী।
ঝড়ের আকাশ, ঝড়ের বাতাস, রবি শশী হারা,
অকুতোভয় এলো কে সে, অস্ত্র হাতে ভয়হারা।
মারোমুখী মুক্তিসেনার কে বাঁধালো জোট?
কম্যান্ড দিল চালাও সবাই বন্দুক গুলি বুট।
“বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ মুক্ত করো,
বন্দুক হাতে ঝাঁঁপিয়ে পড়ো, ঝাঁঁপিয়ে পড়ো।”
হাজার হাজার স্বাধীনতার মুক্তি সেনাদল,
নিমিষেই গড়ে উঠল, একোন যাদু বল।
সামাল, সামাল রব উঠিলো ঘাতক শিবিরে,
অগণিত মুক্তিসেনা, ঘাতক নিলো ঘিরে।
রক্তপাগল
হায়েনাদের রাক্ষসী সব বুকে,
গ্রেনেড চার্জ করল তাঁঁরা শত্রু ঘাটি ঢুকে।
পৃথিবীর সেরা পাষাণ জল্লাদের দল,
সাথী যাদের চীন-মার্কিন সমরশক্তি বল।
এই দানবেরা লড়লো কাহার সাথে?
কে ইহাদের মিটিয়ে দিলো, যুদ্ধ করার স্বাধ,
পায়ে ওদের পরিয়ে দিলো, শক্ত লোহার বাঁধ?
আপদকালে বাংলাদেশের চেতনা কোন বাতি?
চাঁদের মত ছড়ায় আলো অমাবষ্যার রাতি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মশাল কোনজন?
মুজিবনগর সেনানায়ক, ওসমানী সেইজন।
রচনাকালঃ ১৯৮৫ সাল।
রচনাস্থানঃ দাউদপুর পূর্ব চৌধুরীবাড়ি, সিলেট।
কাব্যঃ সিলেট তোমার নাম, কবিতা দিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন