সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

হাসন রাজার গানে


হাসন
রাজার
গানে
হাসন রাজার অমৃত গানে গানে,
হ্যামিলনের যাদুর বাঁশী বাজে আমার কানে।
সেই যাদুতে সকল খবর ভুলিয়া আমি যাই,
শিতালংশা, আরকুম শা, সাজিয়া আমি যাই।
সংসারের মায়া আমার হঠাৎ চলে যায়,
দুই নয়নে অশ্রঝরে, কন্ঠে হায়রে হায়।
এমন যাদু, এমন মায়া ছিল যাহার ঠোঁটে
সেই সাধকের চরন তলে হৃদয় আমার লুটে।
মরমী মধুর সুর সূরার আবেশ ভরা,
আজিকে আছি, থাকবনা কাল, হায়রে একোন ধরা।
পড়ে রবে এই দুনিয়া বাজলে মরণ বাঁশী,
অসার শীতল হয়ে যাবো, আমি সর্বনাশী।
মরনটাকে ভুলিয়া আমরা এই দুনিয়ায়,
ধন-জন-ঐশ্যর্য্যের পিছন ছুটি হায়।
চোখের তারায় ভাসে তখন, মিথ্যা জগত,
এইখানেতে আল্লা ছাড়া নাইরে কোনো পথ।
একোন মাটির উপর আমি বাঁধছি, একোন ঘর,
নরম ধূলায় মিশবে হঠাৎ আসলে ভীষণ ঝড়।
খাঁচা ফেলে উড়বে পাখি একদা ঝড়ের রাতে,
এই পৃথিবীর থাকবে না কেউ তখন আমার সাথে।
আপন, আপন বলে সবাই কিন্তু সবাই পর,
এখানেতে তোমার আমার ভাঙ্গা মাটির ঘর।
মরণ সবার কাঁধের উপর, সবাই বেখেয়াল
হাসন রাজার গানের তানে ভাঙ্গে ভূলের হাল।
আপন খবর রাখিনারে, আমি আপন ভোলা,
হঠাৎ আমি চাহিয়া দেখি, চোখ দুটি মোর খোলা।
ভাবের রসে রসাল হয়ে উপচে উঠে মন,
ঘাসের ডাটায় শিশির হয়ে ফোটে এই জীবন।
কোথায় আমি? কোথায় সিলেট? কোথায় রাজা হাসন?
আমার প্রাণে বাঁজে তারি গানের শিহরণ।
রূপকথার রাজা হাসন, তাহার গান শুনিয়া,
কল্পনাতে পাখনা মেলে, পরাণ যায় উড়িয়া।
পিনঞ্জির ছেড়ে যাওনি হাসন, রইছো মন খাঁচায়,
এখাাঁচা মানুষের মন ভাঙ্গা ভীষন দায়।
যুগে যুগে রইবে তুমি অশরীরী হইয়া,
ভাবসিক্ত মানব মনে রইবে অমরিয়া।
তোমার গানে যুগে যুগে কাঁদবে মানব মন,
মনের যাদুঘরে রবে উদাস হাসন।
চিত্রঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন কালে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন