এ কেমন শুভযাত্রা, কান্না জূড়ে, সিক্ত করে আঁখি,
মাতৃক্রোড়ে বেড়ে উঠা মহাদরে, মাতৃদুগ্ধ টানি।
পিতৃ-মাতৃ-স্নেহে বিধি, দয়াময়, সুরক্ষিয়া রাখি,
আদরে পুষিলা মোরে, শোক্রিয়া, শত মেহেরবানি।
গ্রামবাসী, আরিপরি প্রিয়জন, স্নেহে নেই ফাঁকি,
তিন ভগ্নি, চার ভ্রাতা, বড় মিষ্টি ছিল গৃহখানি।
তুড়ুকখলা, নৈখাই, রফিপুর, কাছে হাকালুকি,
রত্না, সুরমা, কেশরখালী কত, বহে স্রোতস্বিনী।
বাল্য-কৌশর গেল, সিলেটের রেঙ্গা-দাউদপুর,
ছেষট্টির কুড়ি আমি, চেয়ে দেখি, ছিয়াত্তরে ছেলে।
কৌশরে ঊনিশ'শ ছিয়াশী পার, যৌবন সকালে,
এখন বসন্ত হাসে, পাখি গায়, জীবন দুপুর।
গ্রীষ্ম-বর্ষা, শরত-হেমন্ত, শীত ও বসন্ত বেয়ে,
জানিনা জীবন-মাঝি, কোন ঘাটে, যাবে তরী নিয়ে।
রচনাঃ ১৯৮৭ সাল, দাউদপুর, সিলেট
আমি কবিতা একেবারেই বুঝি কম৷ কবিতা বুঝতে অস্বাভাবিক কল্পনা শক্তি লাগে৷ সে শক্তি না থাকায় কবিতা থেকে সবসময়ই নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি৷ কবিতা পড়ার আগ্রহ আমার আজন্ম কম, লেখার জন্য কখনোই কলম ধরিনি৷ তারপরও 'জীবনের যাত্রা' পড়ে পুলকিত হয়েছি, ভাল লেগেছে!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। কিছু কবিতা সহজে বুঝা যায়।
মুছুন