অনেক অনেক সাধনার পর
সারি নদীর শ্বেতশুভ্র জল বেয়ে,
কখনও সাতরে কখনো উড়ে,
কখনও সাতরে কখনো উড়ে,
তামাবিলের নিথর কাননে,
এলো এক শীতের বুনো হংসী।
এলো এক শীতের বুনো হংসী।
বিচরণে মত্ত হলো সে
আমার ‘হৃদয়’ নামক স্বচ্ছ হ্রদে,
যে হ্রদে কোনদিন সাঁতরায়নি কোন হাস।
দোহাই, হে ষোলটি বছর,
আমার বয়ে যাওয়া জীবনের সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার,
হে ষোলটি বছর আমার,
তুমি আমার নাতিদীর্ঘ্য জীবনের অতৃপ্ত নিঃশ্বাস।
অনেক রাস্তা হেঁটে হেঁটে আমি
বহুদিন পর এলাম এই মধুবসন্ত বনে,
ঠান্ডা মাঘের অবসানে।
কী যেন হয়ে গেল আমার,
উম্মাদ হলো এই প্রাণ,
সারাক্ষণ অস্থির চঞ্চল।
নূপুর পায়ে ঝুমুর তালে বয়ে যাওয়া
পাহাড়ী নদীর মত ছলাৎ ছলাৎ জল।
বসন্তের রাঙ্গাবনে যৌবনের লেগে সুঁড়সুঁড়ি,
বারবার প্রাণ আমার উঠে দুলি দুলি।
সতের বছরে জ্বলে উঠা অগ্নিশিখা আমি,
ফাগুনের কৃষ্ণচূড়া পলাশের ডাল,
যৌবনের রক্তিম আলাপনা।
যৌবনের তরঙ্গে তরঙ্গে দুদোল্যমান,
আমি এক মাতাল ননসেন্স সাজিলাম।
রচনাকাল ঃ ১৯৮১ সাল।
রচনাকাল ঃ ১৯৮১ সাল।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন