বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

প্রতারিত প্রাণটা আমার

প্রতারিত প্রাণটা আমার

তারে আমি ভালোবাসি, তারে যেন লাগে বড় ভালো,
তার মুখে দেখিয়াছি আমি, পূর্ণিমার আলো।
দুই হাতে বন্দি করে, তারে আমি আনিয়াছি বুকের কানায়,
যৌবনের চিরউম্মাদ, নাতিশীতোষ্ণ; প্রভাত বেলায়।

রঙ্গীন পাপড়িতে আমি ভ্রমরের মতন,
অঙ্গে তার চুমা খেয়ে পরিতৃপ্ত মন।
কেন এত ভালো লাগে, চাহি বারবার,
মনে হয়, এতরূপ কোনোদিন দেখিনাই আর।

একদিন সে রাখিল পা আমার হৃদয় বাগে,
আমাকে সে ডুবিয়ে দিলো রসের অনুরাগে।
কোন সে বনের অচীন পাখি আসলো আমার ঘর,
বাঘ্রনখে আমার প্রাণে কাটিলো আচড়।

জানিনা সে কোন অরণ্যে করতো গানের খেলা,
গুন গুন গানের দেশে কাটাইতো তার বেলা।
যৌবনের পুষ্পকলি ফুটলো যখন হেসে,
বীর্য্যরে রসাধার উপচে গেল ভেসে।

আমার প্রতিচ্ছবি তখন, সুবাস দিলো তারে,
‘প্রিয়তম’ বলে তখন, আসলো আমার দ্বারে।
ডানামেলে আমি যে এক হলাম প্রজাপতি,
তাঁরি মাঝে খুঁজে পাই, জীবনের গতি।

মনের খাঁচায় বন্দি পাখি, মনের ক’পাট খুলে,
বনের পাখি গেল বনে, হাওয়ার দুলে দুলে।
বনের পাখি খাঁচায় আবার, আসিবে কি আর ফিরে,
শূন্য খাঁচা, তার অভাবে, শোকে হা-হা করে।

প্রতারিত শূন্য খাঁচা, দরজা খোলা তার,

আবার হয়তো আসবে পাখি, তাকায় বারংবার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন