রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬

গ্রীষ্ম-নয় : হাজার মৃত্যু, হাজার ধ্বংস


গ্রীষ্ম-নয় : হাজার মৃত্যু, হাজার ধ্বংস

বায়ুর ঢেউ ভীষণ সুর,
মরণ ভয় কাঁপায় প্রাণ।
আঁধার দিন নামলো রাত,
সূর্যের আজ থামলো গান।

বৈশাখী মেঘ, কিরিট শির,
করছে গ্রাস সারা আকাশ।
আলোর নেই নামার পথ,
ভয়ার্ত সব জগত পাশ।

বিজলী সুখ, বাজের দাঁত,
হাকছে গলা, করছে ভয়।
আগুন চোখ, জ্বীনের মুখ,
জ্বালাবে অগ্নি বিশ্বময়।

বৃক্ষ ডরায়, মাথা ঘুরায়,
উপড়ে তার নাজানি মূল।
দমকা ঠেলা কখন জানি,
ভাঙ্গবে ডাল, চড়াবে শূল।

কাজল কালো মেঘের রঙ্গ,
জগত হয় হৃদয়ময়।
হাসে বাতাস, দুলায় গাছ,
একে অন্যের গতর ছোঁয়।

বৃষ্টির ফোটা, সূচের ফলা,
দিকবিদিক খবরহীন।
ভিজে দরজা, ডুবে জানালা,
ভাসায় ঘর সারাটা দিন।

বন্ধ কপাট বন্দি সবাই,
তবু শুনায় আকাশ রব।
লেপের নীচে ঘুমের ঘুরে,
তলিয়ে যায় মানুষ সব।

হলুদ পাতা ঝরে হাজার,
সুপারী গাছ নূইয়ে টাস্।
কোন গজব, কোন সে পাপ
পৃথিবী আজ করবে গ্রাস।

মাটির গৃহ, ছনের ছানি,
তলিয়ে যাবে সকল ঘর।
বিপদে সব গরীব লোক,
বক্ষে তাদের মারে চাপড়।

বনের পাখি, কোথায় ওরা,
এই আপদে কাটায় ক্ষণ।
ক্ষুব্ধ আকাশ, ক্ষেপা বাতাস,
হিংসায় ভাঙ্গে সারাটা বন।

কোন ভূতের এমন শক্তি,
আঁধার ফেড়ে, নামলো আজ।
চেঙ্গিস খাঁর মোঙ্গঁর দল,
জুড়িয়ে দিলো নিদন কাজ।

ভয়ে মানুষ হারায় হুশ,
ঝলসে যায়, আজান দেয়।
শিরনি মানে, তছবী গুনে,
ধর্ম আবার মানিয়া নেয়।

থামে প্রবল হিংস্র বাতাস,
কণ্ঠ শুকায়, শুকায় মন।
বক্ষ জুড়ায়, আসে সাহস,
কপাট খুলে বেরোয় জন।

তান্ডব খেলা, হইল শেষ
হিসাব করে সকল দিক।
হাজার মৃত্যু হাজার ধ্বংস
কৃপান হাতে তুফান শিখ।

কাল বৈশাখীর ক্রিকেট ম্যাচ্,
এইমাত্র হইল শেষ।
জগত তরী ধর্ষিতা নারী
দৈত্য খাইল সারাটা দেশ।

রচনাকালঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন