বিদায় যৌবন
যৌবন চিরকাল ধরে রাখা যায়না,
মানুষকে নিংড়িয়ে যায় ঢেলে প্রাণে
যন্ত্রণা।
প্রস্ফুটিত উদ্যান কে চাহে কাটিতে,
বহুতল সুরম্য প্রাসাদ কে চাহে
ভাঙ্গিতে।
কে চাহে সোনার খনি জলে ফেলে দিতে,
কে চাহে প্রাসাদ ফেলে কূড়ে ঘরে যেতে।
কে বল, আলো ফেলে যায় অন্ধকার,
বসন্ত ছেড়ে কে বল শীতে হয় ছারখার।
কুসুমও হয়তো না চায় ঝরিতে সন্ধ্যায়,
সকরুন বিষণœতা তাইতো সব পুষ্পচেহারায়।
কুসুমেরা একদিন আমায় কহিয়াছে কানে কানে,
মোদেরও যে দুঃখ আছে কেউ কি তা জানে।
মেরিলিন মনরো হই,
হই
উলঙ্গ,
ক্ষণিকের মধ্যে মোরা হতে চাই
বিশ্ববরেণ্য।
চিরস্মৃতি হতে চাই মোহময়ী মানুষের চোখে,
মেরিলিন মনরো মোরা,
সুখ
নেই আমাদের বুকে।
ঝরিতেনা চাহি তবু,
ঝরিতে
যে হয়,
জগত নিষ্টুর,
এইখানে
সব কিছু হতে হয়, ক্ষয়।
আগুনের লেলিহান শিখার মতো যৌবন উঠে
জ্বলে,
তারপর ক্রমে ক্রমে তেজ তার যায় চুপে
চলে।
বিদায়ী বসন্তের মত চৈতালীর শেষে,
ব্যাদনা বিধুর মুখ রূপহীন হয়,
অবশেষে।
মানুষ বিষন্ন মনে ফেলে দীর্ঘ্যশ্বাস,
ভাবে বসে ভাগ্যের একি পরিহাস।
ঝিরি ঝিরি ব্যথায় কাঁপে বুক,
আয়নাতে দাঁড়িয়ে বলে,
এইখানে
দেখছি কার মুখ।
নিজের চোখ দু’টির অস্তিত্বে হয়
অবিশ্বাস,
শিরে ঠোটে দুইগালে,
তুষারের
বাস।
হাড় নড়ে, চামড়া যায় খসে,
দাঁত পড়ে,
মন
যায় তপস্যায় বসে।
সারাটা অবয়ব হয় বেবুনের মতো,
সাদা কাফন যেন কাঁদে অবিরত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন