প্রজ্জলিত একটি দিবস, প্রিয় বঙ্গভূমে,
করুন বাঁশী বাজায় সে যে আমার হৃদয় চুমে।
আট ফাগুনের স্মৃতির তারা উদাস গানের
সুর,
বাঙ্গালিদের জীবনপথে রক্তঝরা ভোর।
রক্তদিয়ে লেখা মায়ের অশ্র“ভেজা ফুল,
একুশ আমার অগ্নিঝরা মন পোড়ানো দোল।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চেয়ে বাঙ্গালিরা মরতে
শিখিলো,
ঐ দিনের শহিদেরা বাংলাদেশের ঘুম
ভাঙ্গালো।
সালাম, রফিক, বরকত যদি জীবন না দিত,
পরাধীন বাংলদেশ, কি আর স্বাধীন
হত?
কাপুরুষের দীর্ঘজীবন আঁধার রাতের কালো,
বীরের মরণ, পৃথিবীতে ভালোর চেয়ে ভালো।
বসন্তের কুসুমেরা আট ফাগুনে বুটা-ছিন্ন হলো,
হাতের মুঠোয় বজ্রমুষ্টি শীতল হয়ে রলো।
কৈশোরের চপলতায় গাইলো ভাষার গান,
বলল হেসে মায়ের
ভাষার আনবো পরিত্রাণ।
যে ভাষাতে পৃথিবীতে আমরা ঘুরি ফিরি,
অ আ ই, জপে জপে জীবন শুরু করি।
ভাষাপ্রেম তাড়িয়ে দিলো বার্ধক্যের ক্লেশ,
মাতৃভাষার কাফন জড়ে হলো নিরুদ্দেশ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাষা শহিদের নাম,
যুগে যুগে,
মানব মনে রবে মহিয়ান।
বাংলার রক্তলাল গগনের উদয়ন কোণে,
রক্তফুল দেখবে মানুষ করুণ
নয়নে।
নীরস মাটিতে সদা বৃষ্টি হবে এই বাংলায়,
বঙ্গভূমির সবখানে ঢাকা ও কোলকাতায়।
শীতের কুয়াশা হয়ে শহিদেরা আসবে
এইদেশে,
বর্ষার মেঘ হবে মৌসুমী হাওয়ায় ভেসে
ভেসে।
পূর্ণিমার জোয়ার তাঁরা মানুষের জীবন বন্যায়,
ভাসিয়ে দেবে যতসব জমে থাকা মিথ্যা অন্যায়।
একুশ এক সন্ধ্যাতারা বাংলার গগনে,
চেতনার ঢেউ বইয়ে দেয়, বাঙ্গাল জীবনে।
দুপুর বেলায় হয়ত অনেক স্বপ্ন আশা ছিল,
ভাষার ডাকে মৃত্যু এসে তাঁদের কেড়ে নিল।
তাঁরা আসবেনা, আর কখনও বাংলা দেখিবারে,
পদ্মা-মেঘনা, যমুনা-সুরমা, কর্ণফুলির তীরে।
Ode: Ridoyea Bangladesh.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন