স্মৃতিময় পাঠশালাটা
ন’বছর পর,
মনে
পড়ে মোর, পাঠশালাটার কথা,
সব ছেলে মিলে,
কত
দলে দলে, রচেছি বন্ধনলতা।
ছোট ছোট সব,
কচি
মুখঅবয়ব, কোথায় গিয়াছে মিশে,
গোঁফ দাড়ি আজ সকলের মুখে,
যৌবন
এসে গেছে।
কোথায় সে চেহারা,
হাসির
ফোয়ারা, সহস্র চপলতা,
সব যেন আজ অতীতের ভগ্নসাজ,
বিদায়ের
প্রবণতা।
দিন বয়ে যায়,
সবি
মনে রয়, ভূলিতে পারি না কিছু,
সময়টা এক বহমান চোর,
ছুটিতেছে
পিছু পিছু।
জীবন খাতার প্রথম পাতার সাথীরা কোথায়
ভাই,
তোমাদের খুঁজে আমি পদাতিক,
বিশ্বে
ঘুরিয়া বেড়াই।
তোমাদের চেনামুখ,
দেখা
হলে কাঁদে চোখ, উঠে নিজ কেচ্ছা কত,
মনের আনন্দে জীবন প্রভাতে চলে যাই
অবিরত।
পাঠশালা ঘরে মেঝের উপরে জুড়িতাম গুট্টি
খেলা,
“একে বাদাঘাটে,
দু’য়ে
শালুক নাচে ...” বকে কাটতো বেলা।
বেঞ্চে কখনো,
দু’দলে
বসানো, হয়েছি
আমরা সবে,
শক্তি পরীক্ষা,
কত
ঠেলাধাক্কা, করেছি সে কোনদিন কবে।
কখনো আবার দলবেধে বারবার করিয়াছি
সংগ্রাম,
বিয়ে বিয়ে খেলে,
হাসাহাসি
করে, হয়ে
যেত দিবা অবসান।
ছুটির ঘন্টায় খুশীর বন্যায় কি যে শিহরণ,
“ছুট্টি” বিকট শব্দ চারপাশে হতো অনুরণ।
শত শত ছেলে নেমে পড়ে রাস্থায়,
প্রচন্ড
হল্লায়,
যে দিকে পারে কেউ বা দরজা দিয়ে,
কেউ
বা জানালায়।
ভীড় জমে উঠে বাজারের দোকানের বারান্দায়,
রকমারি কথার মালা জমে উঠে চারপাশে
বাতাসের গায়।
দুপুরের ছুটি হলে বালকেরা আঙ্গিনায়
জুটি,
বন্ডি কবাটির উন্মুক্ত মাঠে করিতাম
ছুটাছুটি।
সোনাদিয়ে মুড়া এসব আমার স্মৃতির
যাদুঘরে,
সযতনে রাখবো হৃদয়ে সাজিয়ে তরে তরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন