শিশির বিন্দু
আমার বুক শূন্য করে,
সোনার
পাখি উড়িয়া গেল বনে,
খুঁজে খুঁজে তারে আমি,
পাগল
হলাম, জগত
কাননে।
হঠাৎ যেন এক ধুমকেতু সে আসলো আমার কোলে,
ক্ষণিক পরে গেল চলে তুষের আগুন জ্বালে।
নয়ন আমার ছোট্টকলি,
আমার
ঘরের আলো,
যত তারে দেখতাম আমি লাগত আর ভালো।
বিদায় নিলো খোকা আমার রইলো পড়ে সব,
কচি জুতা,
কচি
পোষাক, কচি
মুখায়ব।
ছড়ার বই, রঙ্গের তুলি,
এলোমেলো
সব ফেলা,
কচিকন্ঠে বলবে না আর ছড়ায় কথার মালা।
আমার ঘরের সবই যেন নয়ন নয়ন ডাকে,
মার্বেল ঘুড়ি ল্যাটিম বল,
আলমীরার
তাকে।
এসব নিয়ে কে করিবে সারাটা দিন খেলা,
কাহার ডাকে হঠাৎ তার ফুরিয়ে গেল বেলা।
পূস্পমুকুল হয়ে নয়ন ফুটেছিল মোর কোলে,
পাপড়ি মেলার আগে কেন ছিন্ন মুকুল হলে?
রঙ্গিন ফটোয় হাসছো তুমি আমার হৃদয়ধন,
বাঁকা চোখে দেখছো চেয়ে মধুভরা সেই মন।
জানি তুমি আসিবে না,
কচিসুরে
বলিবে না ‘মাগো’ আর,
আমার হৃদয়পটে আমৃত্যু মুছিবে না নামটি
তোমার।
তোমারে না ভুলিবো আমি অভাগিনী মায়ে
কোনদিন,
খোদার স্নেহদ্যানে,
খোকা
তুমি সুখে থেকো চিরদিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন