অগ্রজা আনিছা মৌলা বেগম চৌধুরী মান্নার বিয়ের
স্মৃতিমালাঃ 
এইবোন ও আমি
শৈশব হতে একসাথে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করে বেড়ে উঠি যদিও তিনি আমার চেয়ে তিন বছরে
বড়। পাঠশালা হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত
আমার সাথে সহপাঠ করে তিনি এক অদৃশ্য রোগ যাতনার কারণে
লেখাপড়ায় ইতি দেন। তিনি ছিলেন শ্বেতকায়া ও ভীষণ
সুন্দরী, কিন্তু কৈশোরে ঘরের সামনে ফোটা প্রথম ফোটা জবাফুলের রহস্যজনক ঘটনার পর এক
অদৃশ্য ও অজ্ঞাত সমস্যার যাতাকলে দীর্ঘকাল পলেপলে দগ্ধ হন। তার অমুলক ভয় পাওয়া,
ভুত ও আজেবাজে কিছু দেখা, হঠাৎ কথাবার্তা কমে যাওয়া, কখনো কখনো মূর্ছা যাওয়ার মত
লক্ষণগুলো আমাদের গৃহের ভিতর প্রায়ই এক তীব্র অশান্তির অনল জ্বালিয়ে দিত।
তাবিজ টুটকা
দোয়া কিছুই যেন কাজ করেনি। মোল্লারা দলেদলে এসে অনেক তাবিজ, পৈত্য ও দাওয়াই
দেন, কিন্তু কোন উপসম হয়নি। দুইএক দিন পর দেখা যেত, সবই বৃথা আগের যেই লাউ সেই
কদু। বিয়ের ভাল ভাল আলাপ আসলেও কিভাবে যেন বরপক্ষ জেনে ফেলে সরে পড়ত। যাক শেষ
পর্যন্ত রনকেলী গ্রামে তার বিয়ে ঠিক হয়, বর লিয়াকত হোসেন চৌধুরী সৌদি প্রবাসী।
তিনি জেদ্দায় একটি আমেরিকান ফার্মে চাকুরি করতেন।
দাউদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এই বিয়ে
অনুষ্ঠিত হয়।
তখন ডেকোরেটার্সের যুগ এসে গেছে কিন্তু বিয়ে সেন্টারের যুগ আসেনি। সিলেট কদমতলীর হোসেন ডেকোরেটার্স হতে বিয়ের গেট, ডেগ ডেসকি, বাসনকোশন সব চলে আসে। বড় বাংলোর ভিতর অনুষ্টান হয়। কনের বিদায়বেলায় হঠাৎ তিনি মূর্ছা যান, মাথায় অনেকক্ষন পানি ঢালার পর তার চেতনা ফিরে আসে। ছোটমামা শহিদ চৌধুরী তাকে কোলে করে নিয়ে কোনমতে বরের গাড়িতে তুলে দেন। তার অদৃশ্য রোগটি নিয়ে আম্মা খুবই শঙ্কিত ছিলেন কিন্তু বিয়ের পর আল্লাহর অপার মেহেরবানিতে তার এই অসনাক্ত রোগটি চিরতরে বিদায় নেয়।
১৯৮৩ এবং ১৯৮৪ সালের কিছু মজার স্মৃতিঃ
১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের বাড়িতে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে। আমার চাচাত ভাই মুজিবুর রহমান কুরেশী মুরাদ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী, তার প্রচেষ্টায় কোন বাজে খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ আসে ও গ্রামের মধ্যে আমাদের বাড়িতে সবার আগে বিদ্যুৎ জ্বলে। আমরা কেরোসিন দিয়ে ল্যান্টন জ্বালিয়ে পড়তাম। কেরোসিন বাঁচাতে দুই কক্ষের মাঝে মৃদু আলোর হারিকেন সারারাত জ্বলতো ঘরে। পাকঘরে জ্বলত কেরসিন বাতি। এই বিদ্যুৎ আসার পর বাড়িতে কেরসিনের লেন্টন ও বাতির যুগের অবসান ঘটে। তখন ছিল শীতকাল, বাহিরের বাতিগুলো জ্বলে উঠার পর আমি মনের আনন্দে ছোটভাই নিশাতকে নিয়ে যতদূর আলো যায় ততদূর পর্যন্ত মনের আনন্দে বারবার হাঁটাহাঁটি করি, এযেন এক মহাস্বপ্নের আগমন। বাড়িতে তখন এক উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
১৯৮৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর আমি দুইবার কুমিল্লা গমন করি। চট্টগ্রামগামি ট্রেনে চড়ে কুমিল্লা স্টেশনে নেমে পড়ি। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তি হবার জন্য পরীক্ষার সনদপত্র ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে কান্দিরপারে পুলিশ ইন্সপেক্টার গাংকুলি ফুফুতো ভাই আতিক চৌধুরীর নিজস্ব বাসায় উঠি। আতিক ভাই ও ভাবী আমাকে খুব আদরযত্ন করেন। ভাতিজা মামুন ও মঞ্জু আমাকে নিয়ে পুবালী চত্বর, ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কবি নজরুল স্মরণী, সাগরদিঘিপার পার্কের বাগান ও চিড়িয়া ভাস্কর্য্যসহ সারাটা শহর ঘুরে দেখান।
তখন
কুমিল্লা শহরটিকে আমার কাছে সিলেটের চেয়ে নিস্প্রভ ও অসচ্ছল মনে হয়। কিন্তু
শহরটি সিলেটের চেয়ে আর ঐতিহ্যবাহী, এখানে প্রায় আড়াই হাজার
বছর আগের বৌদ্ধ সভ্যতার সমৃদ্ধ নিদর্শন ময়নামতি বিহার রয়েছে। দ্বিতীয়বার কুমিল্লা গমন করি সেনাবাহিনীর
সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পদে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা দিতে ফুলবাড়ির ফুফুতো ভাই মেজর
ডাঃ রুকনউদ্দিন চৌধুরীর (সারুফ) বাসায়। ময়নামতি সেনানিবাসের ভিতর একটি সেমিটিলা
এলাকায় তার বেশ বড়সড় সরকারি বাসাটির অবস্থান। ভাবি ও দুইকন্যা নিয়ে তাঁর ছোট্ট সংসার। 
সিএমএইচ
এ তিনিই আমার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে বললেন, আমি তোমাকে এখানে পার করে
দিলেও অচিরেই তোমার ডান পায়ের
ক্রুটির জন্য ধরা খাবে এবং ঘটলও তাই। তিনি আমাকে হতাশ করে আরও বলে দেন যে সরকারি কোন ক্যাডার বাহিনীতেই একারণে আমার নিয়োগ পাবার সম্ভাবনা নেই। আমার পুলিশ
ইন্সপেক্টরে ঢুকার যে এক উজ্জল সম্ভাবনার চিন্তা  মাঝে মাঝে মাথায়
ঘুরপাক খেত, তার বক্তব্যে সেই আশাও বিলীন হয়ে গেল।
মনে হল আমি তাহলে আরেকজন সেই বঙ্গবিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি, যার হাতের ক্রুটির জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেও কাবুল কিংবা দিল্লির সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাননি। ময়নামতি সেনানিবাস ঘুরে দেখি রাস্তাগুলো স্বাধীনতা যুদ্ধের অসংখ্য শহীদ সেনানীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। মনে পড়ল আমার আপন চাচাতো ভাই শহীদ সৈনিক শামসুদ্দোহা চৌধুরীর কথা, তিনি এই সেনানিবাসে সিগন্যাল কোরে কর্মরত অবস্থায় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যে এই সেনানিবাসে শাহাদত বরণ করেন। তাঁর নামে এই ময়নামতি সেনানিবাসে কোন একটা রাস্তা দেখতে পেলে খুব খুশি হতাম।
১৯৮৪ সালে আমি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে অবস্থিত আটলান্টিক কমিউনিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্সে ভর্তি হই। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে সিলেট থেকে কলেজে টিউশন ফি বাবদ ১৫০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করি। আমার এমসি কলেজ ও সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের চট্টগ্রামী সহপাঠি শ্রীসুশান্ত শেখর চক্রবর্তীর বাবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা আমাকে এব্যাপারে দারুণ সহায়তা করেন। অনেকের দরবারে ঘুরে ব্যর্থ হলেও উক্ত ডলারের ড্রাফট করতে ছোট দুলাভাই রনকেলির লিয়াকত হোসেন চৌধুরীর কাছে আমি মোঠ বায়ান্ন হাজার টাকা ধার পাই। তার কাছে আমি জীবনে বেশ কয়েকবার অতি প্রয়োজনের সময় ঋণ পাই। তার প্রতি জানাই সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।
ফাজিলপুরের
ফুফুতো ভাই এবাদত চৌধুরী তখন আমেরিকার সেই কলেজের
ছাত্র ছিলেন। তিনি ভর্তির ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা করেন। যেদিন আই-২০ ফরম আসে তার
আগের রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে নীল কার্বন লাগানো আই-২০ ফরমের চারপাতা দেখে ফেলি।
চৌধুরীবাজার পোষ্ট অফিসে আই-২০ ফরমটি হাতে নিয়ে অবাক হয়ে যাই, খাম খোলে
যখন দেখি গতরাতের অবিকল সেই স্বপ্নে দেখা ফরম। অথচ আগে আমি কোনদিন কোন আই-২০ ফরম চোখে দেখিনি। আলৌকিকভাবে স্বপ্নটি সত্যে পরিণত
হওয়ায় আমার মনে দৃঢ় প্রত্যয় জন্মায় নিশ্চিত
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাব।
তখনকার সময়
বাস যোগাযোগ এত উন্নত ছিলনা, সিলেট ঢাকা মহাসড়ক ছিল অনেক ঘুরালো, লোকেরা সাধারণত ট্রেনে ঢাকায় যাতায়াত করত। প্রথমে
দুই ধরনের ট্রেন ছিল- লকেল ট্রেন ও মেইল ট্রেন। লকেল ট্রেন প্রতি স্টেশনে ও মেইল
ট্রেন কেবল গুরুত্বপুর্ণ স্টেশনগুলোতে থামত। মানুষ মেইল ট্রেনে ঢাকায় গমন করত।
তখনও অন্তঃনগর ট্রেনের আবির্ভাব হয়নি। আমার প্রথমবার ঢাকা যাত্রা হয় উল্কা মেইলে,
আগের দিন সিলেট স্টেশনে গিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় শ্রেণির
টিকেট সংগ্রহ করি।
সময়টা ১৯৮৪ সালের প্রথম কোয়ার্টার হবে, জীবনে এই প্রথমবার আমি একাকী রাজধানী যাত্রা করি, বাড়িতে আম্মার উৎকন্ঠার কোন সীমা পরিসীমা ছিলনা। তখনকার সময় সিট নম্বর ছাড়াও প্রচুর টিকেট ইস্যু করা হত ফলে ট্রেনে উঠে দেখি প্রচন্ড ভীড়। আমি সিটে বসার পরও সামনে দাড়ান অনেক যাত্রী। একটি ব্যাগে পাসপোর্ট, আই-২০, সনদপত্র ও সামান্য কাপড়চোপড়। রাত ৮ ঘটিকায় ট্রেনটি সিলেট ছাড়বে, কিন্তু ছাড়তে প্রায় ত্রিশচল্লিশ মিনিট দেরী হল। ব্যাগ চুরি হলে সব শেষ, তাই ব্যাগটি বুকের সাথে আকড়ে ধরে অর্ধজাগরণের মধ্যে রাত পেরুল। দাড়ান যাত্রিরা পথে পথে উঠানামা করল ও কেউ কেউ আমাদের পাঘেঁষে মেঝে শুয়ে বসে রল।
সকাল ৬ কিংবা ৭ ঘটিকায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে দেখলাম অসংখ্য অসহায় গরিব মানুষ নোংরা ময়লা কাপড় গায়ে জড়িয়ে লাইন ধরে মেঝে ও পথে শুয়ে আছে। মশামাছি এই মানুষগুলোর উপর ভেনভেন করছে। এসব মানুষকে ডিঙ্গায়ে বেরুতে আমার মন ভারি হয়ে আসে। ঘরবাড়িহারা এত ছিন্নমূল মানুষের খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর দৃশ্য আমি আর কোনদিন দেখনি, তাই হঠাৎ মনের অজান্তে আমার দুইচোখ জলে সিক্ত হয়ে গেল। এই করুণ দৃশ্য প্রাত্যহিক দেখা অন্য যাত্রিদের মনে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে বলে মনে হলনা।
এবার রিকশায়
ছুটলাম ওয়ারীর ১নং ফোল্ডার স্ট্রিটের আমার ফাজিলপুরের ফুফুতভাই আব্দুল্লাহ চৌধুরীর
নিজস্ব ফ্ল্যাটে। তিনি বাংলাদেশ বিমানের একজন উচ্চপদস্থ আন্তর্জাতিক
এভিয়েশন কর্মকর্তা। বাসাটির ভবনের পাঁচতলায় ও বলদা গার্ডেনের পারে অবস্থিত। এবাসার
বারান্দায় বসে বলদা গার্ডেনের নিঃসর্গ উপভোগ করা যায়। ভাতিজা সাইয়িদ ও রিকুকে নিয়ে
বলদা গার্ডেন ঘুরে দেখলাম, গার্ডেনের ছায়াঘাটসহ অপুর্ব পুকুরটি আমার কাছে দারুণ
সুন্দর লাগল। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মধ্যখানে এই বলদা গার্ডেন ও বাসাটির
অবস্থান। বাহিরে লোকারণ্য ও কোলাহল, গাড়ির তীব্র জটলা
ও শব্দদুষণ হতে বলদা গার্ডেনে ঢুকেই
মনে হত এযেন এক স্বস্থিকর জায়গা, এযেন এক আদিম শ্যামল অরণ্য।
বিখ্যাত হিন্দু জমিদারের প্রতিষ্ঠিত বলদা
গার্ডেন যেন অশান্ত ও দুষিত ঢাকা মহানগরীর বুকে চিরসবুজ একখন্ড ছোট্ট ছায়া সুনিবিড়
শান্তির নীড়।
১৯৮৪ সালে
আমেরিকান এমব্যাসি অফিস ছিল আদমজি কোর্ট, মতিঝিল। ভিসা প্রার্থীরা
শেষরাতে গিয়ে লাইনে দাড়াত। শেষরাতে রিকশায় যখন মতিঝিলের ভিতর দিয়ে যাই, তখন এত এত
উচুউচু ভবনমালা ও আলোকবন্যা দেখে স্থম্বিত হই ও হৃদকম্প অনুভব করি। আজ পৃথিবীর
অসংখ্য বড়বড় মহানগরী ঘুরে ফিরে আসা
আমি ঢাকা মহানগরী দেখে সেই প্রথমবার দেখার মত চোখেমুখে এত বিস্ময় ও শিহরণ অনুভব
করিনা।
শেষরাতে মতিঝিল গিয়েও দেখি আমেরিকান এমব্যাসির সামনে ভিসা আবেদকদের সুদীর্ঘ সারি। এই সারিতে বেশ কয়েকজন সিলেটিও দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে ক্রমানুসারে ভিসার জন্য ডাকা হল। জানালার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম একজন অপুর্ব সুন্দরী শ্বেতাঙ্গিনী লালগাউন পরে আমার ইন্টারভিউ নিতে সামনে দাড়ান। সেই আলৌকিক স্বপ্নের ঘটনায় আমি নিশ্চিত ছিলাম ভিসা পেয়ে যাব, কিন্তু ঘটনা ঘটল উল্টো। কয়েক মিনিট পর নির্দয়া স্বর্ণকেশী সুন্দরী রিলিজ সীল মেরে পাসপোর্টি ফেরত দেয়। আমার এতদিনের যুক্তরাষ্ট্র যাবার স্বপ্ন নিমিষেই নিভে গেল।
আশাহত আমি ভিতরের জানালায় দাঁড়িয়ে রইলাম কিন্তু সামনে দাঁড়ানো হৃদয়হীনা অস্পরীর হৃদয়ে কোন দয়ার উদয় হলনা, তিনি সরে গেলেন। মনে পড়ল একটি গানের কলি ‘এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের কি দাম আছে’। তখন একজন সিকিউরিটি এসে বাংলায় বলল, আপনার কাজ হবেনা, দয়াকরে চলে যান।
স্বপ্নভঙ্গের এক দুঃসহ যন্ত্রণা
বুকে নিয়ে ভগ্নহৃদয়ে ইউ ইস এমব্যাসি, আদমজি কোর্ট, ঢাকা হতে আমি আটার
বয়সের একজন উদ্ভ্রান্ত যুবক নিরাশ হয়ে বেরিয়ে এলাম। আমার টোফেল করা ছিলনা। স্পন্সর ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী আমার মামা ফজলুর রহমান চৌধুরীর বন্ধু আব্দুল জলিল চৌধুরী। দুঃখ পেলাম অনেক আত্নীয় স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে আমেরিকা গেল, আমার হলনা। নিজেকে কেমন যেন হতভাগা মনে হল। আল্লাহ সহায়, তিনি যা করেন বান্দার ভালোর জন্য করেন, একথা বলে নিজেকে সান্তনা দিয়ে সেইদিনই ট্রেনের টিকেট কেটে সিলেট পানে ফিরলাম।    
 
 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন