বৈশাখী তুফান শেষে,
বনেবনে, নামে নীরবতা,
রোগের ঝটিকা দলে প্রাণে এক প্রসন্নতা আসে।
যুদ্ধের প্রখর থাবা থেমে গেলে শান্তিতরী ভাসে,
মহাযুদ্ধ বেয়ে আসে জাতিসংঘ, শান্তির বারতা।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপ, ঢেলে দেয়, বর্ষার প্লাবতা,
পৃথিবী শ্যামল হয়, নবপত্র, জন্মে গাছে গাছে।
ক্ষণকালে পূস্পকলি ফলরাশি, হাসে চারপাশে,
সাফ হয় সময়ের পৃষ্টে বসা সকল জড়তা।
প্লাবণ ভাসিয়ে নেয়, বস্থাপচা, ময়লার স্থূপ,
ধ্বংস আনে সৃষ্টি, আর মৃত্যু আনে মাতৃত্বের স্বাদ।
পতন আনে উত্থান,
অতীতের বক্ষে প্রতিবাদ,
প্রতিবাদ শক্তি দেয়, শক্তি হানে বুর্জুয়ায় কোপ।
'শক্তি' অন্যায়ের বুকে, যুগেযুগে, শক্ত পদাঘাত,
কামের প্রচন্ড ঢেউ, যৌবনের বাসনার রাত।
রচনার তারিখঃ ০৮-০৩-১৯৮৬ইং
স্থানঃ দাউদপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন