সিলেট আমার সুন্দরী এক, কিশোরী এক নারী,
পূষ্প মাখা বনবনানী অঙ্গে তাহার শাড়ি।
ডালে ডালে হরিৎ টিয়ে রূপের কারুকাজ,
খরগোস, হরিণ, সজারু, বানর এই অরণ্য মাঝ্।
হেঁটে বেড়ায় তারা সবাই বনের ফাঁকে ফাঁকে,
বারে বারে খেকশিয়াল, হুঁক্কা হুয়া ডাকে।
টিলারা সব এই কিশোরীর উচ্চ শ্যামল বুক,
সুরমা তীরের পাহাড় ঘেরা ‘শ্রীহট্ট’ তার মুখ।
হাজার পাখির কিচির মিচির কণ্ঠ যেন তার,
চোখ যেন সব বনফুলেরা তাকায় বারংবার।
শরীরে তার বইছে হাজার শিরা,
মনু খোয়াই, সারি গোয়াইন, সুরমা কুশিয়ারা।
লালশ্বেত
বক, জলহাঁস, পায়ের নূপুর হয়ে,
করে ঝন্ ঝন্, জলভরা সব, হাওর বিলের গায়ে।
আকাশ ভরা মেঘের কালো, তার যে এলোকেশ,
হাজার হাজার পদ্ম জলে বিয়ের বধুর বেশ।
মাধবকুন্ড প্রেমের খনি স্বচ্ছ প্রস্রবন,
ললাটে তার রঙিন টিপ সোনার জাফলং।
রঙিন শিলা, মুক্তাদানা, আংটি কর্ণমুলে,
টিকলী হয়ে রবার গাছ মাথার কাছে দুলে।
সিলেট আমার রূপসী এক, যুবতী এক নারী,
এই রমণীর সোনার অঙ্গে, আমার ভাঙ্গা বাড়ী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন