আত্মশুদ্ধির সোনালী আশায়
১
সিলেটের দিন যাবে, রাত যাবে,
বয়ে বয়ে যাবে মহাকাল।
দিবে সেথা আলো এক পূর্ণিমার চাঁদ,
সেই চাঁদ, বাবা শাহজালাল।
২
যে আলোয় যুগময়, উদ্ভ্রান্ত মানুষেরা,
চিনে নেবে স্বচেষ্টায় আপন সুপথ।
আলোর দীপ্তি সেথায় করিবে জল-মল,
আঁধার আসার কোন থাকিবে না পথ।
৩
৩
সাত’শ বছর গেল, তবুও মানুষ,
ভুলেনি, ভুলেও কোনদিন তাঁকে।
তিনি যেন মক্কার, হাজরে আস্ওয়াদ,
মহাকালের
আঁকে বাঁকে।
৪
তিনি যে হারেন নাই কিংবা ডুবেন নাই,
শত শত যুগের আড়ালে আবডালে।
সব বাঁধা টপকিয়ে হাঁটেন তিনি,
নবনব শতাব্দীর সম্মুখ মাস্তুলে।
৫
লক্ষ লক্ষ টন, বয়ে গেল, সুরমার জল,
অনাদী যুগ ধরে।
হয়তো আরও যাবে, অনন্তকাল,
বাবার বিজয় ঘোষণা করে।
৬
মানুষ বিষ্ময়ে তাকায় প্রতিদিন,
মানুষ বিষ্ময়ে তাকায় প্রতিদিন,
জালালী পায়রার পানে।
সিলেটে, আর কতকাল ওরা?
জানিনা গাহিবে গান,
বাবার সম্মানে।
৭
আমি জালালী কবি, তার কথা,
কবিতায়, কী আর লিখিব বলো!
কবিতায়, কী আর লিখিব বলো!
মানুষের মনে 'শাহজালাল' নামটি,
যুগে যুগে কবিতা হয়ে রলো।
এযেন শিলালিপি জনতার যাদুঘরে,
সবরাত মোমবাতি জ্বলে, প্রেম ঝরে।
৮
দলে দলে মানুষেরা শ্রদ্ধায় এখানে দাঁড়ায়,
অমাবষ্যায়, আত্মশুদ্ধির সোনালী আশায়।
বহে, সুগন্ধ আগর ধূনা, গোলাপের জল,
এসে এইখানে, মানুষ হয়, ভাবের পাগল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন