হজরত শাহজালালের(রঃ) সহচর চাষনি পীর এযাবত হিন্দুস্থানের পথে পথে প্রত্যেক স্থানের মাটি পরীক্ষা করে আসছিলেন। শ্রীহট্টের মাটি হজরতের মামা ও আধ্যাত্মিক গুরু সৈয়দ আহমদ কবির কতৃক প্রদত্ত মাটির সহিত বর্ণে ও গন্ধে অনুরূপ মিলে যাওয়ায় তিনি শাহজালালকে তাহা অবগত করেন। তা থেকে শাহজালাল(রঃ) বুঝতে পারলেন যে এই শ্রীভুমি শ্রীহট্ট তার কর্মক্ষেত্র। সুতরাং এখানেই তিনি আমৃত্যু জীবনযাপন করতে মনস্থ করলেন। শ্রীহট্টের একটি টিলার উপর মসজিদ নির্মিত হল। মসজিদের উত্তরপাশে হজরতের হুজরা স্থাপন করা হল। হুজরার সন্নিকটে নির্জনে হজরতের ধ্যানমগ্ন হবার জন্য আড়াই ফুট বাই সাড়ে চার ফুট গোহাকৃতি চিল্লাখানা নির্মান করা হয়। শাহজালাল জীবনের অবশিষ্ট চৌচল্লিশ বৎসরকাল (১৩০৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দ) এখানে অবস্থান করে ইসলাম প্রচার ও প্রসার, শাসনকার্য পরিচালনায় সিলেটের মুসলিম শাসনকর্তাদের সুপরামর্শ প্রদান, জনহিতকর কার্য্যাবলী পরিচালনা এবং ধর্ম উপাসনাতেই অতিবাহিত করেন। টিলার নীচে উত্তর-পশ্চিম কোনে শাহজালাল একটি কুয়া বা চশমা খনন করান এবং কুয়াতে শাহজালাল(রঃ) তার লাটি পুঁতে দেন। হজরতের এই লাটি পুঁতার পর থেকে এখানে মাটির নিচ হতে মক্কার জমজম কুপের মত বারমাস পানি বেরিয়ে আসতে থাকে। হজরত লোকের অজু গোসলের সুবিধার জন্য তাঁর হুজরার টিলার নীচে উত্তর-পূর্বদিকে একটি পুকুর খনন করান। এই পুকুরে প্রাচীনকাল হতে প্রচুর গজারমাছ বিচরণ করছে। হজরতের প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় মক্তব পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালে বৃহৎ আবাসিক মাদ্রাসায় পরিনত হয়, যা মাদ্রাসায়ে কাশেমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালাল(রঃ) নামে পরিচিত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এইসব স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানগুলো আজও তাঁর পবিত্র স্মৃতি বহন করে যাচ্ছে।
এই ব্লগ ও ইবুকে আছে আমার লেখা শাহজালাল(রঃ) ও ৩৬০ আউলিয়ার ইতিহাস। শাহজালালের(রঃ) সহচর শাহদাউদ কুরায়শীর(রঃ) বিবরণ। গল্পবই 'ঝরাপাতা', প্রবন্ধ ও কলাম বই 'সময়ের দিনলিপি' সনেট কাব্য 'রমণীয় পৃথিবীর বুকে' প্রেমকাব্য 'যে প্রাণে আগুন জ্বলে' বিদ্রোহী কাব্য 'আমার রক্তে যদি, মুক্তি আসে' সিলেট বিষয়ক কাব্য 'সিলেট তোমার নাম কবিতা দিলাম' কাব্য 'ঋতুচক্রে ইসফাক' কাব্য 'আরম্ভ রাগিনী' কাব্য 'হৃদয়ে বাংলাদেশ' ও গানের বই 'লালগোলাপ'। আর আছে ভ্রমণকাহিনি 'দেশে দেশান্তরে' এবং আত্মজীবনী 'জীবনের খেলাঘরে'
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন