চিত্রঃ কবি, লেখক, ব্লগার ও পূবালী ব্যাংকার ইসফাক কুরেশী
বাংলার মফিজ আলী
১
বাংলার মফিজ আলী, হারিছ মিয়া, হরিদাস
ও বিধবা ফুলবানুর নাড়িছেঁড়া রতনেরা,
ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর সোনালি আশায়,
পৃথিবীর সব বর্ণাট্য দেশে শূন্যহাতে পাড়ি জমায়।
২
বিকি বন্ধক দিয়ে আসে বাপের ভিটা,
মায়ের জমি, বউ ও কন্য়ার শেষ গহনা।
ভাগ্যের শুভ রাশির স্বপ্ন, সুখের মিথ্যে জৌলুষ,
ভিতরে খাঁটি বাঙ্গালি জীবন যন্ত্রণা।
৩
এইতো জেদ্দা, দুবাই, প্যারিস,
রোম, ফ্রাঙ্কফুট, লন্ডন।
কুয়ালালামপুর, সিডনি, সিঙ্গাপুর,
টরেন্টো, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন।
আহা ! কি স্বপ্নময় জগত,
নিয়ন আলোর ঝলকানি।
আরব্য উপন্যাসের জাদুর নগরী,
সুরা ও সাকির অঢেল হাতছানি।
নর ও নারীর অবাধ মেলামেশা,
গলায় গলায় জড়ানো ভালোবাসা।
৪
স্বর্গীয় স্বাধের ফলমূল,
পরিপাঠি পণ্যগৃহ।
রিষ্ট-পুষ্ট মানুষের সতেজ হাসিমুখ,
চারপাশে লাবন্যের সমারোহ।
ঝকঝকে রাস্থা, বালাখানা, ইমারত,
দেখে দেখে বাঙ্গালরা বিস্ময়ে নির্বাক হয়,
বিধবা ফুলবানুর তনয় টুনু মিয়ারা,
এবার হতবাক হয় চেতনার উল্লাসে।
অট্টালিকার তালা গুণে গুণে তারা ক্লান্ত হয়,
ঘাড়ে ব্যথা হয়, চোখে লাগে ধাঁধা,
স্বদেশ তখন মনে হয়, আবর্জনাময়।
৫
এই টুনুমিয়াদের অনেকেই জানে না,
এই বিশাল প্রাচুর্য্য আর অট্টালিকায়,
ইট সিমেন্টের গাঁথুনিতে লুকিয়ে আছে,
গরিব মানুষের অদৃশ্য লাশের রক্ত,
অস্থি, হাড়গুড় ও মাংসের গলিত কনা।
৬
আজ প্রথম বিশ্বে যারা গড়ে তুলেছে,
প্রাচুর্য্যের সুউচ্চ সোপান।
তারা যুগে যুগে ছলে বলে কেড়ে নিয়েছে,
ও বিধবা ফুলবানুর নাড়িছেঁড়া রতনেরা,
ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর সোনালি আশায়,
পৃথিবীর সব বর্ণাট্য দেশে শূন্যহাতে পাড়ি জমায়।
২
বিকি বন্ধক দিয়ে আসে বাপের ভিটা,
মায়ের জমি, বউ ও কন্য়ার শেষ গহনা।
ভাগ্যের শুভ রাশির স্বপ্ন, সুখের মিথ্যে জৌলুষ,
ভিতরে খাঁটি বাঙ্গালি জীবন যন্ত্রণা।
৩
এইতো জেদ্দা, দুবাই, প্যারিস,
রোম, ফ্রাঙ্কফুট, লন্ডন।
কুয়ালালামপুর, সিডনি, সিঙ্গাপুর,
টরেন্টো, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন।
আহা ! কি স্বপ্নময় জগত,
নিয়ন আলোর ঝলকানি।
আরব্য উপন্যাসের জাদুর নগরী,
সুরা ও সাকির অঢেল হাতছানি।
নর ও নারীর অবাধ মেলামেশা,
গলায় গলায় জড়ানো ভালোবাসা।
৪
স্বর্গীয় স্বাধের ফলমূল,
পরিপাঠি পণ্যগৃহ।
রিষ্ট-পুষ্ট মানুষের সতেজ হাসিমুখ,
চারপাশে লাবন্যের সমারোহ।
ঝকঝকে রাস্থা, বালাখানা, ইমারত,
দেখে দেখে বাঙ্গালরা বিস্ময়ে নির্বাক হয়,
বিধবা ফুলবানুর তনয় টুনু মিয়ারা,
এবার হতবাক হয় চেতনার উল্লাসে।
অট্টালিকার তালা গুণে গুণে তারা ক্লান্ত হয়,
ঘাড়ে ব্যথা হয়, চোখে লাগে ধাঁধা,
স্বদেশ তখন মনে হয়, আবর্জনাময়।
৫
এই টুনুমিয়াদের অনেকেই জানে না,
এই বিশাল প্রাচুর্য্য আর অট্টালিকায়,
ইট সিমেন্টের গাঁথুনিতে লুকিয়ে আছে,
গরিব মানুষের অদৃশ্য লাশের রক্ত,
অস্থি, হাড়গুড় ও মাংসের গলিত কনা।
৬
আজ প্রথম বিশ্বে যারা গড়ে তুলেছে,
প্রাচুর্য্যের সুউচ্চ সোপান।
তারা যুগে যুগে ছলে বলে কেড়ে নিয়েছে,
এখনও নিচ্ছে গরিবের মাল সামান।
তাদের লুন্ঠনে লুন্ঠনে রিক্ত আজ,
তৃতীয় বিশ্বের সব জনপদ।
ঔপনিবেশিকরা রেখে গেছে শ্রেণি বৈষম্য,
পুঁজিবাদী আইন, কাটাতাঁরের আপদ।
৭
তাই বাংলার ঘর সংসার,
আজও গোছানো সম্ভব হয় নি,
ঘাড় একবার বাঁকাচুরা হলে,
মেরুদন্ড অস্থিমজ্জা সব বেঁকে যায়,
যা আর সহজে ঠিক হবার নয়।
বাংলার মফিজদের এত্তসব বুঝা সাধ্য নয়।
স্থানঃ জেফার ভবন, সাগরদিঘিরপার, সিলেট
তারিখঃ ২৪ নভেম্বর ২০২০
তাদের লুন্ঠনে লুন্ঠনে রিক্ত আজ,
তৃতীয় বিশ্বের সব জনপদ।
ঔপনিবেশিকরা রেখে গেছে শ্রেণি বৈষম্য,
পুঁজিবাদী আইন, কাটাতাঁরের আপদ।
৭
তাই বাংলার ঘর সংসার,
আজও গোছানো সম্ভব হয় নি,
ঘাড় একবার বাঁকাচুরা হলে,
মেরুদন্ড অস্থিমজ্জা সব বেঁকে যায়,
যা আর সহজে ঠিক হবার নয়।
বাংলার মফিজদের এত্তসব বুঝা সাধ্য নয়।
স্থানঃ জেফার ভবন, সাগরদিঘিরপার, সিলেট
তারিখঃ ২৪ নভেম্বর ২০২০
কাব্যঃ হৃদয়ে বাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন