অশোকের গোহাগাত্রলিপি
রাত্রি এলে প্রতিদিন দিন হয় শেষ,
থেমে যায় কেরানীর পাতা আটা,
থেমে যায় শহরের মিটিং মিছিল,
ছেলে মেয়ে যায় ফিরে ঘরে।
শেষ হয় দিবসের সব কোলাহল,
স্টেডিয়ামের খেলা হয় শেষ।
বন্যার মত সব নেমে যায় শহরের রাস্তায়,
মানুষ পশু পাখি ফিরে সব নীড়ে,
থাকতে চায়েনা কেউ ব্যস্ততার ভীড়ে।
সংসার সবার ডাকে মায়ার বাঁধনে,
মজে যেতে মহাসুখে ঘুমের স্বপ্নপুরে,
একদিন একদিন করে
এমনি হারিয়ে যায় জীবনের অগনন দিন।
আমার জীবনের নাতিদীর্ঘ্য রাস্তায়
এমনি বহুদিন, হলো যে বিলীন
স্মৃতির আড়ালে
আমার অগোচরে আমারই অজান্তে
সে হিসাব বুক কিপিং করি নি আমি।
অজস্র সে দিনগুলোর একটি মাত্র দিন
আমার হৃদয়ে কভু, হবেনা নিশ্চিন।
হৃদয়ে সেদিন ক্ষুধিত হলো একটি নাম “শিমি”।
এ কেবল তুচ্ছ একটি
নাম নয়,
এ ছিল ফারাও সম্রাটের অজর পিরামিড,
এ ছিল শাহজাহানের অমর তাজমহল,
এ যেন অশোকের খোদাই করা পর্বত-গাত্র-লিপি।
আমি প্রাচীন মিসরের ফারাও নই,
আমি প্রেমের বাদশা শাহজাহান নই,
কিংবা নই মহান সম্রাট অশোক।
আমি এ যুগের তুচ্ছ এক উম্মাদ সন্তান
আমি আঁকবো মানসীর ছবি পবিত্র কালিতে
যে কালি বের হবে আমার বক্ষ ফুটে,
যেমন ফুটে বের হয় শীতের বিবর্ণ পত্রহীন বৃক্ষে
হঠাৎ লাল লাল কৃষ্ণচূড়া শিমুলের ফুল।
আমি ফুটাবো রাঙ্গা কুসুম তোমার দহনে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন