মেহনতি মানুষের নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে শুনি,
স্খলিত বীর্য্যের ব্যর্থ আর্তনাদ।
ওদের গলায় যেন আটানো ফাঁসির দড়ি,
ফারাক্কার শক্ত মরণ বাঁধ।
ওদের চোখ মুখ, হাত-পা কথা বলে,
ঘেমে ঘেমে অসহ্য যন্ত্রণায়।
জীবনটা চুল্লির জ্বলন্ত অঙ্গার,
জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রসহীন চেহারা, অবদমিত কন্ঠ,
কথার কলিতে নেই খুশীর উচ্ছাস।
চোখ, মুখ, ঠোট, বুক জড় সব,
ক্ষুধার চাকায় বন্দি বারমাস।
কারখানার কালিমাখা জরাজীর্ণ দেহ,
সদা ঘর্মাক্ত রিক্ত সর্বহারা।
জীবন, যাবৎজীবন সশ্রম কারাদন্ড,
ভবের ক্ষুদ্র সেলে বন্দি দিনের ধারা।
জমির রসে ফেঁপে উঠে বট গাছ,
স্থবির দাঁড়িয়ে মাঠে।
শ্রমিকের ঘামে বেড়ে উঠে তেমন,
বুর্জুয়া মাঠে ঘাটে।
মেহনতি মানুষের আয়ু, চুষে খায়,
বুর্জুয়ার মূল উপমূল।
বছর বছর যায় ঘুমন্ত সর্বহারা,
ভাঙ্গে না বোকার ভুল।
রস শোষণে শোষণে পরগাছা বট,
একদিন হয় মহিরুহ।
রাক্ষুসী থাবা নামায় চারপাশে,
রচিয়া আত্মব্যুহ।
বিভৎস্য এই দানব বৃক্ষ,
আসলে দুর্মর নয়।
উন্মুক্ত তরুণেরা উদ্যত হাতে,
যদিবা কুঠার লয়।
মেহনতি মানুষের আজন্ম নিঃশ্বাসে শুনি,
কুঠার তোলার উদাত্ত আহবান।
পৃথিবীর শ্বাপদসংকুল বন সাফ হবে,
নিষ্পাপ জনতারা পাবে পরিত্রাণ।
রচনাকালঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
রচনাকালঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন